আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪ || ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি...

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
" আজ বুধবার-২৭শে আশ্বিন-১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১২,অক্টোবর - ২০২২ খ্রিস্টাব্দ "

মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

IMG-20221011-WA0003.jpg

ছবির লিংক

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করব। বাংলায় একটা গান আছে, "একটাই কথা আছে বাংলাতে মুখ আর বুক বলে একসাথে সে হল বন্ধু, বন্ধু আমার"। তবে সেই বন্ধুকে বন্ধুর মত বন্ধু হতে হবে। কেননা প্রকৃত বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। অনেকেই হয়তো সেরকম ভালো বন্ধু পায় না, আবার অনেকেই পায়। আমিও সৌভাগ্য করে খুবই ভালো বন্ধু পেয়েছিলাম আর আজ সেই বন্ধুত্বের কথাই বলতে চলেছি। আমি যখন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন দেখেছি তখনই আমার ভেতরে কেমন যেন উদ্দীপনা কাজ করছিল। কেননা অনেকদিন পর আমার বুকের ভেতর জমে থাকা অনেক অনেক কষ্টের কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারব এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।

IMG-20221011-WA0000.jpg

ছবির লিংক

আমি যখন প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই, তখন নতুন একটি স্কুলে গিয়ে নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে মিশতে ভীষণ রকম ভালো লেগেছিল। তবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি কার সাথে বেশি অন্তরঙ্গ হব। বেশ কিছুদিন কাটতে না কাটতে আমরা চারজনের একটি বন্ধুর গ্রুপ হয়ে যাই। আর এই চারজন হল আমি রিয়াদ, সূপর্ণ ও মামুন। আমরা চার বন্ধু মিলে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভীষণ আনন্দ উল্লাস করে বছরগুলো কাটিয়েছি। আমাদের স্কুলের প্রতিটি স্যার ও ম্যাম আমাদের চারজনকে চার বাদর বলে ডাকতো। তবে আমাদের এই চারজনের মধ্যে, আমি ও মামুন ছিলাম সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ বন্ধু। আমি ও মামুন দুজনেই দুজনকে ছাড়া চলতে পারতাম না। এমনকি একদিনও দেখা না করে থাকতে পারতাম না।

IMG-20221011-WA0002.jpg

ছবির লিংক

যাই হোক এভাবে দিন কাটতে কাটতে একদিন আমাদের স্কুলের পিটির সময়কার কথা, সেদিন ছিল প্রচন্ড রোদ মাথার উপরে যেন সূর্যি মামা তার তাপের দাবানল ছাড়ছে আমাদের উপরে। এরকম মুহূর্তে আমার বন্ধু মামুন পিটি করা অবস্থায় হঠাৎ করে আমার সামনে ঢলে পড়ে যায়। আমি তার পড়ে যাওয়া দেখে চিৎকার করতে থাকি, এ সময় পিটির সবুজ স্যার দৌড়ে এসে আমাদেরকে বলল মামুনকে ধরে অফিস রুমে নিয়ে চলো তাড়াতাড়ি। আমরা তিন বন্ধু মিলে মামুনকে ধরাধরি করে অফিস রুমে নিয়ে যাই, এবং ফুল স্পিডে ফ্যান চালিয়ে তার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিতে লাগলো সবুজ স্যার। আমি যখন মামুনের মুখের দিকে তাকালাম দেখলাম ওর মুখ যেন রোদে পুড়ে গিয়েছে। ওর মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল আমার বুকের ভিতরে কেউ যেন বড় একটি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। আমি ওকে দেখে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলাম। হঠাৎই দেখি মামুনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। আমরা তিন বন্ধু ওর অবস্থা দেখে কাঁদতে শুরু করলাম। মামুনের এই করুণ অবস্থা দেখে, আমাদের আরো অন্যান্য স্যাররা এসে কেউ ওর বাবা মাকে ডেকে আনতে গেল আবার কেউ গাড়ি আনতে গেল মামুনকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলের একজন পিয়ন একটি টেম্পু গাড়ি নিয়ে আসলো, আমরা সকলে মিলে ওকে ধরাধরি করে টেম্পু গাড়িতে তুলে ফেললাম। টেম্পু গাড়িতে জায়গার পরিমাণটা কম হওয়ার কারণে আমাদের তিন বন্ধুর কোলে মামুনকে শুইয়ে নিলাম। মামুনের মাথাটি ছিল আমার কোলে যার কারণে আমি বারবার ওর মুখটি দেখছিলাম।

IMG-20221011-WA0001.jpg

ছবির লিংক

আমাদের স্কুল থেকে হাসপাতালের দূরত্ব খুব বেশি নয় মাত্র 10 মিনিটের রাস্তা। আমরা গাড়িতে করে মাত্র পাঁচ মিনিটের মত রাস্তা যাওয়ার পর হঠাৎ মামুনের মুখ দিয়ে আরো বেশি ফেনা বের হতে লাগলো, সেই সাথে ওর মুখটি উপরের দিকে উঠে আসছিল, আমি ওর এই অবস্থা কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই হাউমাউ করে কান্না করতে লাগলাম। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম মামুন একদম নিস্তেজ হয়ে পড়েছে, আমাদের কারো বোঝার বাকি নেই যে মামুন আমাদের কোলেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। এই মুহূর্তটা যে কি কষ্টের তা আপনাদের হয়তো বলে বা লিখে বোঝাতে পারবো না। আজও যখন এই কথাগুলো লিখছি, আমার দু চোখের পানি যেন কিছুতেই ধরে রাখতে পারছি না, আমার বুকের ভেতরে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। এই কষ্ট যেন কিছুতেই সহ্য করার নয়। আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছালাম দেখি মামুনের বাবা ও মা ইমারজেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ইমারজেন্সির কর্তব্যরত ডাক্তার মামুনকে পরীক্ষা করে মৃত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিল। তখন এমার্জেন্সির সামনেই ওর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলল, ওর বাবা চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। চোখের সামনেই ছেলের তরতাজা দেহ নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে, তা কোন বাবা মায়ই সহ্য করতে পারবেনা। আমরা তিন বন্ধু আমাদের সাথে থাকা দুই স্যার কেউ যেন এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছিলাম না। মামুন কে হারিয়ে আমি যেন দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। মামুনের মৃত্যুর পর স্যাররা স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। এবং সকল স্যার ও ছাত্র মিলে মামুনের জানাজায় শামিল হয়েছিল। পরবর্তীতে জানতে পারি মামুনকে যে ডাক্তার পরীক্ষা করেছিল, সে ডাক্তার নাকি বলেছে মামুন ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। মামুনের বাবা আমাদের তিন বন্ধুকে এখনো ভীষণ ভালোবাসে। মামুনের বাবা এখনো আমাকে মাঝে মাঝেই ফোন দিয়ে ডাকে। আমি ওর বাবা মার কাছে খুব একটা যেতে চাই না, কেননা তাদের কষ্ট আমার সহ্য হয় না। ওর মা আমাকে দেখে সব সময় কাঁদে আর আমাকে আদর করে। ওর মায়ের আর্তনাদ ও কান্নায় আমার বুক ফেটে যায়। তারা আমাকে দেখে হয়তো মনে মনে ভাবে, আজ মামুন বেঁচে থাকলে হয়তো আমার মত এত বড় হত, সংসার করত, তাদের ঘরেও নাতি নাতনি আসতো।

IMG-20221011-WA0004.jpg

ছবির লিংক

আমার প্রিয় বন্ধু মামুনের মৃত্যুর সময়কার মুখটি যেন আজও আমার চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। তার সেই কষ্টের মুখটি চিন্তা করলেই আমার দুচোখ বেয়ে অঝোরে পানি ঝরতে থাকে। মৃত্যুর সময় আমার বন্ধু কাউকে কিছু বলেনি, শুধু একবার দুবার চোখ খুলে তাকিয়ে ছিল। আমার মনে হয়েছিল ও যেন কাউকে খুঁজেছিল। তার চোখের ভাষা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু মনে হয়েছিল ও যেন কিছু বলতে চায়। মামুনের কিছু না বলা কথা, মায়াবী চোখের চাহনি আমাকে আজও পীড়া দেয়। আমার বন্ধুর এই হৃদয় স্পর্শী ঘটনা আমাদের তিন বন্ধুর হৃদয়কে খুবই আঘাত করেছে। আমরা তিন বন্ধু এখনো মামুনকে ভুলতে পারিনি আর কোনদিন ভুলতেও পারবো না। কেননা ভালো বন্ধু হিসেবে মামুন আমার সমস্ত হৃদয় জুড়ে রয়েছে। আমার বন্ধু মামুন যেখানেই থাক, মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে সুখে শান্তিতে রাখেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এই ছিল আমার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি। আর এই স্মৃতি আমাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

আশা করি আমার (ফেলে আসা বন্ধুত্বের সৃতি) কম্পিটিশনে অংশগ্রহণের পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkPKDYqZPTyz3HQnPBAZYA84k8k89ixkhuUsFjZkgWkC1gjU36M1oU8J7FbJUoPMtjB5EHLD1usXZox8d6boJGJdTa7jANjx37k.png
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovfEfMUsxphK2C94MUmPesRzxucV6L5C5WztC1e4L1hqcx2mH3BcV9oEFqiwTsErcMQNvVa4puc9hxr4N1FcnerVs.gif

3q52Dkr5nBe3kDiHrk4F3qdzX6E5VuVcCcF7TDQDco37AUsMDxK7aJ1uasvrAaBSP6D1NgNuBSX2m.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

" ধন্যবাদ সবাইকে "

Sort:  

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

মামুনের এই অকাল মৃত্যু আসলে কারো কাম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে হিট স্টকে অনেকে মানুষ মারা যায়, তবে সেটি বাইরে বেশি ঘটে বাংলাদেশের তুলনায়। যাই হোক অনেক খারাপ লাগলো বিষয়টি পড়ে ধন্যবাদ আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

ভাই, আমার বন্ধু মামুনের মৃত্যু আমিও যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি। আর সেই যন্ত্রনা এখনো আমার হৃদয়কে কুরে কুরে খায়। আমার বন্ধু মামুনের গল্পটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরে আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ঘটে যাওয়া একটি গল্প আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

আপনার বন্ধু মামুনের অকালে মৃত্যুর কথা শুনে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আপনাদের তিন বন্ধুর কোলের উপরে এসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আমি শুধু তাই ভাবছি। নিজের কাছের বন্ধু মারা যাওয়ার দুঃখ আপনি এখনো বলতে পারেননি আর কখনো ভুলতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। আপনার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি গল্পটি পড়ে আমারও খুবই কষ্ট লাগতেছে। আপনার বন্ধুরা আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

 2 years ago 

আমার বন্ধু মামুনের মৃত্যু আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না, আর সেই স্মৃতি আমাকে কখনো ভুলতেও দিবে না। আমার বন্ধু মামুনের জন্য সব সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি ও যেন বেহেস্ত নসিব করে। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আসলে আপনার পুরা পোস্টটি পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম। আপনার উপস্থাপন খুবই অসাধারণ হয়েছে। যাইহোক জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

 2 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, অনেক কষ্ট করে আমার বন্ধু মামুনের ফেলে আসা স্মৃতিটুকু পড়ার জন্য। আমাকে সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খাবার লাগলো। আসলে মামুনের এই অকাল মৃত্যু কারো কাম্য নয়।আর চোখের সামনেই ছেলের তরতাজা দেহ নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে, তা কোন বাবা মায়ই সহ্য করতে পারবেনা।চিরন্তন সত্যি। নিজের কোলের ওপর মাথা রেখে বন্ধুর মৃত্যু এটা ভুলার নয়।

 2 years ago 

আপু আমি আমার বন্ধুর মৃত্যু মেনে নিতে পারিনি, তাহলে তার বাবা-মা কিভাবে মামুনের অকাল মৃত্যু মেনে নিয়েছে সেটাই ভেবে পাইনা। মহান আল্লাহ তায়ালা তার বাবা মাকে আরো অনেক বেশি ধৈর্য ধারণের শক্তি দান করুক। ধন্যবাদ

 2 years ago 

ভাইয়া, আপনার পোস্টটি পড়ে খুব কষ্ট লাগলো।মামুনের এ অকাল মৃত্যু আসলে মেনে নেয়া যায় না। আপনি হয়ত কখনো ভুলতেও পারবেন না। আসলে ভোলা যায় ও না। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ফেলে আসা বন্ধুত্ব স্মৃতি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 😊

 2 years ago 

আপু আমার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিটুকু আপনারদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে আমার এই স্মৃতিটুকু পড়েছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

মামা, তোমাদের চার বন্ধুর গল্প আমি অনেক শুনেছি। তোমার মুখে মামুন মামার গল্প শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। আজ যখন পোষ্টের মাধ্যমে পড়লাম তখনও আবার সেই কষ্ট উপলব্ধি করছি। এত অল্প বয়সে মামুন মামার মৃত্যু তার বাবা মা কিভাবে মেনে নিয়েছে, তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। মামুন মামাকে মহান আল্লাহ তায়ালা যেন বেহেস্ত নসিব করেন এই প্রার্থনা করছি। মামা তোমার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এত অল্প বয়সে মামুনের মৃত্যু তার বাবা-মায়ের কাছে খুবই কষ্টকর। এজন্যই আমি তার বাবা-মায়ের কাছে গেলে, তাদের কষ্ট দু চোখে দেখে সহ্য করতে পারি না। তোমার মামুন মামার জন্য তুমি যে দোয়া করেছো তা যেন মহান আল্লাহতালা কবুল করে নেন। ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59117.70
ETH 2597.31
USDT 1.00
SBD 2.43