পুঁইশাক এবং মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আর এই মজাদার রেসিপি হচ্ছে পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া সমন্বয়ে মজার রেসিপি।পুঁই শাক খেতে যত টা ভালো লাগে, ঠিক ততটাই ভালো লাগে মিষ্টি কুমড়া খেতে। আর এই পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া দুটোর সমন্বয়ে যে রেসিপি তৈরি করা হয়, তার তো কোন তুলনাই হয় না। দুর্দান্ত এই রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
এখন তো বাজারে গেলেই কচি কচি পুঁইশাক গুলো চোখে পড়ে যায়। আর চোখে পড়লেই আমি তা রেখে আসতে পারি না। কেননা পুঁইশাক আমার কাছে ভীষণ রকম প্রিয়। তবে বর্তমানে বাজারে পুঁইশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। দাম বেশি হলে কি হবে মজার খাবার খেতে গেলে তো একটু ছাড় দিতেই হবে। তাই আমি ৫ আটি শাক ৩৫ টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলাম। তবে বিশ্বাস করুন শাকের পরিমাণ এতটাই কম যা দেখলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়।
আবার মিষ্টি কুমড়ারও একই অবস্থা, ছোট্ট একটি মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলাম। তবে মিষ্টি কুমড়াটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। মিষ্টি কুমড়ার ভেতরটা একদম হলুদ বর্ণের ছিল যার কারণে হয়তো স্বাদের পরিমাণ অনেক টাই বেশি পেয়েছি। যাইহোক পুঁইশাক ও মিষ্টি কুমড়া দিয়ে আমি যে মজার রেসিপি তৈরি করেছি, তা কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস আমার রন্ধন প্রণালী দেখে যে কেউ খুব সহজেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবেন। তো বন্ধুরা চলুন ঘুরে আসা যাক, আমার তৈরি পুই শাক ও মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপির রন্ধন প্রণালীর ধাপগুলো থেকে।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মিষ্টি কুমড়া | ৭০০ গ্রাম |
২ | পুঁইশাক | ৭০০ গ্রাম |
৩ | পেঁয়াজ | ৪-৫ টি |
৪ | কাঁচা মরিচ | ৮-১০ টি |
৫ | রসুন | ২ টি |
৬ | হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
৭ | সয়াবিন তেল | পরিমান মত |
৮ | লবণ | স্বাদমতো |
" ধাপ : ১ "
১। প্রথমে মিষ্টি কুমড়া এবং পুঁইশাক কেটে বেছে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ২ "
২। এবার রসুন কেটে বেছে থেঁতো করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ৩ "
৩। এবার কাঁচা মরিচ গুলোর বোঁটা ছাড়িয়ে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ৪ "
৪। এবার পেয়াজ গুলোর খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মতো করে।
" ধাপ : ৫ "
৫। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
৬। এবার সয়াবিন তেল গরম হয়ে আসলে, কেটে নেয়া পেয়াজ ও মরিচ কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
৭। এবার পেঁয়াজ মরিচ হালকা ভাজা হয়ে গেলে, থেঁতো করে নেয়া রসুন কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ৮ "
৮। এবার পেয়াজ মরিচ রসুন ভাজা হয়ে গেলে, কেটে নেয়া মিষ্টি কুমড়ো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়া ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৯ "
৯। এবার পরিমাণ মতো লবণ চামচের সাহায্যে কড়াইতে ছড়িয়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ১০ "
১০। এবার পরিমাণ মতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিয়ে, ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কষিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ১১ "
১১। এবার মিষ্টি কুমড়া কিছুক্ষণ কষিয়ে নেয়ার পর, পরিষ্কার করে নেয়া পুঁইশাক গুলো কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ১২ "
১২। কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত পুঁইশাক এবং মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি।
এবার পরিবেশনের জন্য আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে, মনের মত সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পুঁইশাক এবং মিষ্টি কুমড়ার মজাদার রেসিপি।
আশা করি আমার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
পুই শাক এবং মিষ্টি কুমড়া এই দুটি সবজি আমার ফেভারিট যেমন খেতে সুস্বাদু তেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর।।
আপনি অনেক লোভনীয় ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করা হয় তা খেতে যতটা মজার হয়, তার চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মিষ্টি কুমরা এবং পুইশাকের নিরামিষ আমার খুবই পছন্দের। বেশ সুস্বাদু বটে। একদম ঠিকি বলেছেন ভাই বাজারে যে হারে দাম বেরেছে কি আর বলবো।নিজের ক্ষেতে লাগানো ছাড়া উপায় নাই দারুন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাই, মিষ্টি কুমড়া ও পুঁইশাকের এই রেসিপিটি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫ আটি শাক ৩৫ টাকা দিয়ে কিনেছেন। বাহ মনে হচ্ছে কম দামে পেয়েছেন। মিষ্টি কুমড়া ও পোশাক কখনো একসাথে রান্না করেনি। যাই হোক দুটোই খুবই পুষ্টিকর। আর মিষ্টি কুমড়া রান্না করলে আমি সাথে এক চামচ চিনি দিয়ে দেই আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। আপনার বন্ধন প্রণালী দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনার রেসিপিটি কতটা সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া।
আপু ৫ আটি শাক ৩৫ টাকা হয়তো দাম কম মনে হচ্ছে, কিন্তু পরিমাণে এত কম তা না দেখলে হয়তো বোঝা যাবে না। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পুঁইশাক এবং মিষ্টি কুমড়া আলাদা আলাদা রান্না করে খেয়েছি। তবে একসাথে নিরামিষ এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু, একদিন আমার তৈরি রেসিপির মত পুঁইশাক ও মিষ্টি কুমড়া রেসিপি তৈরি করে খাবেন, ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
পুঁইশাক দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি দেখতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগছে। কালকে আমাদের মিষ্টি কুমড়া রান্না করেছিল অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে ।এখন জিনিসপত্রের অনেক দাম। টাকার পরিমাণ চিন্তা করে জিনিস পত্রের দিকে তাকালে সবারই মন খারাপ হয়ে যায়। পুঁইশাক দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রেসিপিটি দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, বর্তমান সময়ে বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে কিছুটা ভিমড়ি খেতে হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বর্তমান বাজারে সব কিছুই যে দাম তা আর কি বলবো। ঠিকই বলেছেন দাম বেশি হলে তো আর পছন্দের খাবার না খেয়ে থাকা যায় না। আপনার পুঁই শাক এবং মিষ্টি কুমড়া দুটি পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। পুঁইশাক দিয়ে কখনো মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি নতুন লেগেছে আমার কাছে। রান্নার পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। কালার ও লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আপু একদিন মিষ্টি কুমড়া দিয়ে পুইশাক রান্না করে খাবেন, আমার বিশ্বাস অবশ্যই ভালো লাগবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পুইশাক ও মিষ্টি কুমড়া একসাথে রান্না করতে এই প্রথম দেখেছি। পুঁইশাক ও মিষ্টি কুমড়া দুটোই ভিটামিন এ জাতীয় খাবার। দুটি খুব চমৎকারভাবে রান্না করেছেন আপনি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।আমিও একসময় বাসায় এভাবে একসাথে রান্না করে খেয়ে দেখব কেমন লাগে।
আপু, পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া দিয়ে মাজার রেসিপিটি না খেয়ে থাকলে একদিন তৈরি করে খাবেন। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে।