সুস্বাদু মজাদার পেঁপে ভর্তা
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে সুস্বাদু ও মজাদার পেপে ভর্তা রেসিপি। পেঁপে মাছ মাংসের সাথে ঝোল করে খেতে কিংবা ভাজি করে খেতে অথবা ভর্তা করে খেতে খুবই মজার হয়। এক কথায় পেঁপে সবজি হিসেবে তার কোন তুলনাই হয় না। এছাড়াও পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর পাকা পেপের কথা কি বলবো, কেননা পাকা পেঁপের উপকারিতা অনেক অনেক বেশি। এজন্যই তো পেঁপেকে আদর্শ ফল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পেঁপেতে মিষ্টির পরিমাণ কম থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও পেপে পুষ্টিগুণে ভরপুর জন্য আমাদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন পেঁপে খাওয়া উচিত।
যাই হোক আজ আমি ঝাল ঝাল পেঁপে ভর্তা নিয়ে হাজির হয়েছি। বিশেষ করে এই ভর্তা রেসিপিতে কাঁচামরিচ ও শুকনা মরিচ দুই প্রকার মরিচ ব্যবহার করেই ভর্তাটি তৈরি করার কারণে খেতে খুবই স্বাদের হয়েছিল। শুকনা মরিচের একটা আলাদা ফ্লেভার আছে যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর তাইতো এই পেঁপে ভর্তা রেসিপিতে শুকনা মরিচ ও কাঁচা মরিচ দুটোই ব্যবহার করেছি। আপনারা অনেকেই হয়তো পেঁপে ভর্তা খেতে পছন্দ করেন না। যদি কেউ না পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই রেসিপি অনুসরণ করে তৈরি করে খাবেন ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে।
আমি কিভাবে এই সুস্বাদু ও মজার পেঁপে ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছি তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আপনারা ইচ্ছা করলেই চটজলদি মজার এই ঝাল ঝাল পেঁপে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খেতে পারবেন। তাহলে বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন, আমার রন্ধন প্রণালীর ধাপগুলো দেখে নেয়া যাক।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পেঁপে | ১ টি |
২ | পেঁয়াজ | ২-৩ টি |
৩ | শুকনা মরিচ | ৩-৪ টি |
৪ | কাঁচামরিচ | ৩-৪ টি |
৫ | সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
৬ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৭ | লবণ | স্বাদমতো |
" ধাপ : ১ "
" ধাপ : ২ "
" ধাপ : ৩ "
" ধাপ : ৪ "
" ধাপ : ৫ "
" ধাপ : ৬ "
তারপর পেঁপে ভর্তা রেসিপি আপনার মনের মত করে সাজিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
ভাইয়া আপনার পেঁপে ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি বলেছেন ভাইয়া শুকনো মরিচ দিলে ফ্লেভার অনেক ভালো আসে। আপনি তো দেখছি দুই ধরনের মরিচ দিয়ে ভর্তা করেছেন।এমন ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, গরম গরম ভাতের সাথে মজার এই পেঁপে ভর্তা খেতে ভীষণ স্বাদ লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর ভর্তা করে খেলে তো কথাই নেই। আপনার ভর্তা রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু ঠিকই বলেছেন ,পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি গ্রামে থাকতে জানতাম ই না পেঁপে দিয়ে ভর্তা করা যায়। ঢাকা আসার পরে আমার এক ফ্রেন্ড শুধু পেঁপে ভর্তা খেতো। আমি তখন তাকে দেখে অবাক হয়ে যেতাম কিভাবে পেঁপে ভর্তা করা হয়। একদিন তার ভর্তা খেয়ে দারুন লেগেছে। আপনার ভর্তার কালারই বুঝা যাচ্ছে অমৃত হয়েছে। ধন্যবাদ।
ভাই আমার তৈরি পেঁপে ভর্তা রেসিপিটি খেতে খুবই স্বাদের হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই পেঁপে ভর্তা দেখে তো গরম গরম ভাত খেতে ইচ্ছা করছে । পেঁপে ভর্তা আমি তেমন একটা খাই না ও কবে খেয়েছি মনে নাই । তবে ভালোই লাগে খেতে । আর পাকা পেঁপে আমি খেতে পারি না কেমন যেন গন্ধ লাগে ।পেঁপে উপকারি একটি ফল এটা যেভাবে খাই না কেন কাজেই আসবে । আর পেঁপে ভর্তার ভিতরে আপনি কাঁচামরিচ শুকনা মরিচ দুটো ব্যবহার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে ভর্তার টেস্ট আরো বেড়ে গিয়েছে ।
আপু কাঁচামরিচ ও শুকনা মরিচ ব্যবহার করে পেঁপে ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম তাই খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে পেঁপে ভর্তা যে হয় এটা আগে জানতামই না ভাই। খাওয়া তো দুরেই থাক। অবাক হলাম। পেঁপে ভাজি আমার সব চেয়ে পছন্দের একটি ভাজি। তবে তরকারি অতটা ভালো লাগেনা। কিন্তু গরম ভাতের সাথে পেঁপে ভাজি আর ডাল হলে কথাই নাই। যাক ইউনিক এ ভর্তা রেসিপি বাসায় ট্রাই মেরে দেখবো।
ভাই পেঁপে ভর্তা রেসিপি যদি কখনো না খেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই একদিন আমার রেসিপি অনুসরণ করে ট্রাই করে দেখবেন, ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে।
কি দেখালেন মিতা। পেঁপে ভর্তা তো আগে কখনোই নাম তো দুরের কথা খাইনি। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। আমিও অবশ্যই বাসায় তৈরি করবো ধন্যবাদ আপনাকে।
মিতা পেঁপে ভর্তা না খেয়ে থাকলে বড্ড মিস করে গেছেন। তাই চট জলদি বাজার থেকে পেঁপে কিনে নিয়ে এসে ভর্তা তৈরি করে খাবেন। আর খেয়ে দেখবেন এই রেসিপির কত স্বাদ।
পেঁপে ভাজি আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু কখনো পেঁপে ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি খুবই চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমার তৈরি পেঁপে ভর্তা রেসিপি খেতে খুবই স্বাদের হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দুই দিন আগে আমি পেপে ভর্তা খেলাম । আমার বেশ পছন্দ। আর যে কোন ভর্তা খেতেই আমি পছন্দ করি।আপনার ভর্তা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি ভর্তার রেসিপিটি শেয়ার করেছেন।অনেক ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার কাছেও যে কোন ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি যেদিন পেঁপে ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম সেদিন এই পেঁপে ভর্তা খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।