পার্কে গিয়ে ছেলেমেয়ের আনন্দ
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে আমার ছেলে ও মেয়েকে আনন্দ দেয়ার জন্য পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাবার আনন্দঘন মুহূর্তকে কেন্দ্র করে। এইতো সেদিন আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনই বাসায় খুনসুটি শুরু করে দিয়েছিল। আমরা বাবা-মা হিসেবে ওদের দুজনের মধ্যে কাকে বেশি আদর করি। এই নিয়ে দুজনে মিলে বেশ প্রশ্ন শুরু করে দিয়েছিল। আর আমি আমার ছেলেকে রাগান্বিত করার জন্য বলে ফেলেছিলাম, আমি তোমার আপি কে বেশি আদর করি। আর এই কথা বলে যে আমি কি বিপদে পড়েছিলাম, তা হয়তো আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না।
কেননা যখনই আমার ছেলে এই কথা শুনেছে, তখন থেকেই সে মুখ গোমড়া করে বিছানায় শুয়ে, একদম কথা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমার মেয়ে আমার ছেলেকে যতই বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, যে তুই অনেক ছোট তোকে সবাই বেশি আদর করে, তারপরেও সে কিছুতেই বুঝতে চাইছিল না। তাই আমি একপ্রকার বাধ্য হয়েই,ছেলেকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অনেক প্রলোভন দেখিয়ে, তার মনটা ভালো করেছিলাম। আর সেজন্য আমি আমার ছেলে, মেয়ে ও অর্ধাঙ্গিনীকে নিয়ে আমাদের কুড়িগ্রাম জেলার ছোট্ট একটি পার্কে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলাম।
আমাদের কুড়িগ্রাম জেলায় এই ছোট্ট শিশু পার্কটি অনেক পুরাতন, এবং প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপক্রম হয়েছিল। তবে নতুন করে আবার সংস্কার করে বেশ কয়েক মাস আগে উদ্বোধন করা হয়েছিল। পার্কটি একদম ছোট্ট পরিসরে হলেও বিনোদনের জায়গা হিসেবে, খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে তৈরি করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। আমার কাছে এই ছোট্ট শিশু পার্কের মনোরম পরিবেশ সত্যিই খুবই ভালো লেগেছিল। সেদিন আমি একটু শারীরিক অসুস্থ থাকার কারণে, আমার যেন কোন কিছুই ভালো লাগছিল না। তবুও এই পার্কটিতে গিয়ে আমার ছেলে ও মেয়ের সাথে সাথে আমার মনটাও অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিল।
আমরা সেদিন অনেক রাতে এই পার্কটিতে গিয়েছিলাম। এই হবে হয়তো ৮.৩০ কিংবা ৯টা। আর তাই সে সময় পার্কটিতে খুব বেশি একটা ভিড় ছিল না। ভিড় না থাকার কারণে পার্কটিতে গিয়ে আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলাম। কেননা ভিড়ের জায়গা আমার একদমই ভালো লাগেনা। আমার ছেলে ও মেয়ে এই শিশু পার্কে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিল। সেদিন আমি কিছুটা অসুস্থ থাকার কারণে, ছবি তোলার একদমই ইচ্ছে ছিল না বলেই, আমার কোন প্রকার ছবি তোলা হয়নি।
আমার তো মনে হয় প্রত্যেকটি শহরেই ছোট ছোট সোনা মনিদের জন্য দু চারটি করে শিশু পার্ক থাকা উচিত। কেননা এইসব শিশু পার্কে গিয়ে ছোট ছোট সোনা মনিরা আনন্দ উপভোগ করে তাদের মন মানসিকতা একদম ফ্রেশ করে ফেলতে পারে। খেলার মাধ্যমে একদিকে যেমন শারীরিক চর্চা হয়, অন্যদিকে তেমন মেধার বিকাশও ঘটে। আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনে এই পার্কে গিয়ে খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছিল। যা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।
আমাদের কুড়িগ্রাম শহরে এই পার্কটি ছোট ছোট সোনামণিদের খেলার জায়গা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এখানে থাকা যতগুলো রাইডার আছে, সবগুলো রাইডার ছোট ছোট সোনামণিদের বিনোদনের জন্য খুবই কার্যকরী। আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনে এই পার্কে থাকা প্রতিটি রাইডারে চড়েছিল। আর এই রাইডার গুলোর টিকিট ছিল মাত্র ২০ টাকা করে। যা সত্যিই খুব সাশ্রয় বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা ও কিন্তু ছোটবেলা এমনটা করেছি।কে বেশি কাকে ভালোবাসে।বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা।ছেলের মান ভাঙ্গাতে পরিবার মিলে শিশু পার্কে গিয়ে ভালো ই করেছেন।নিজের শারীরিক অসুস্থতা ও উধাও হয়ে গেলো।আসলে এমন খোলামেলা পরিবেশে গেলে আর পরিবার সাথে থাকলে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সবাই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।এটা ঠিকই বলেছেন প্রতিটি শহরে বাচ্চাদের জন্য ২/৩ টি করে পার্ক থাকলে খুব ভালো হয়।অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু, ছোটবেলায় কিন্তু আমরাও এরকমটি করেছিলাম। মা বাবা কোন ভাইকে কিংবা কোন বোনকে বেশি আদর করে সেটাই খুঁজে বেড়াতাম। যাইহোক আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বিপদে পড়ার মতো কথা বললে তো বিপদে পড়বেনই । ছোট মানুষ তার কাছে কি সেই চিন্তাভাবনা আছে না সেই কথাটাই সে মনে রেখেছে। যাই হোক রাগ ভাঙ্গানোর জন্য পার্কে ঘুরতে নিয়ে আসা প্ল্যানটি দারুন ছিল । অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছে যেটা আপনার জন্য অনেক খুশি একটা বিষয়।
ঠিক বলেছেন ভাই, বিপদে পড়ার মতোই কথা বলে ফেলেছিলাম। আর সেজন্য তো ছেলের মান ভাঙ্গাতে পার্কে গিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে হলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপনাকে কি বলব আমার দুই মেয়ের মধ্যে এমন হয়। যাকে বলা যায় বেশি ভালোবাসি আর একজন রাগ করে বসে থাকে। যাইহোক ভাইয়া আপনাদের পার্কে ঘোরাঘুরির মূহুর্তে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে পার্কে গেলে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পায়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার করার জন্য।
আপু সেদিন আমরাও পার্কে গিয়ে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই সব জায়গায় এমন পার্ক থাকা উচিত। কারণ এসব জায়গা বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য একেবারে পারফেক্ট। এমন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেলে তো রাগ ভেঙে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। রাগ ভাঙ্গানোর জন্য দারুণ বুদ্ধি বের করেছিলেন ভাই। আপনার বাচ্চারা ঘুরাঘুরি করে চমৎকার সময় কাটিয়েছে সেখানে, ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেটা খুব ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই সেদিন আমার ছেলেকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে নিমেষেই যেন তার রাগ ভেঙে গিয়েছিল। যাইহোক ভাই,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছে ভাইয়া।আসলে ছোট মানুষ তাই ভেবেছে সত্যি আপুকেই ভলোবাসে বাবা।রাইড গুলো সুন্দর। আপনার ছেলে মেয়ে তো পরীর মতো ফুটফুটে।মেয়েকে তো একদম প্রজাপতির মতোই লাগছে।খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, ছোট মানুষ তো তাই তার আপুকে ভালোবাসার কথা বলেছিলাম বলে সে খুব অভিমান করেছিল। আপু আমার ছেলে ও মেয়েকে আশীর্বাদ করবেন তারা যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ ছেলে মেয়ে দুইজনকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ছোট মানুষেরা এমনই। কাউকে বেশি পছন্দ করে আবার কাউকে কম পছন্দ করে এমন শুনলেই অনেক বেশি কান্নাকাটি করে। বেশ ভালোই হলো তাহলে রাগ করে তো উপকারে আসলো ছেলের। পার্কে যেয়ে অনেক ঘোরাফেরা করালেন। সবাইকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার ছেলের রাগ করার কারণেই তো তাকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে যেতে হল। সেই সাথে আমাদেরও সুন্দর সময় কেটেছিল। আর হ্যাঁ আপু, আমার ছেলে ও মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।