এই গরমে তরমুজ খেয়ে সস্তি || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি তরমুজ কিনতে যাওয়ার কিছু কথা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন যখন অতিষ্ঠ হয়ে যায় আর তখন তৃষ্ণার্ত মন ঠান্ডা ঠান্ডা কোন কিছু খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আর তাই আমরা বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল গুলো দিয়ে বরফ কুচি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জুস তৈরি করে খেয়ে থাকি। আমার বাসাতেও মাঝে মাঝে তরমুজ ফলের জুস তৈরি করা হয়ে থাকে। এই গরমে প্রায় সময়ই আমাকে তরমুজ কেনার জন্য বাজারে যেতে হতো। এতটাই তরমুজ কেনা হয়েছে যা আমি হাতে গুনে শেষ করতে পারবো না।
আমার আবার গরমের যন্ত্রণাটা অন্যান্য মানুষের চাইতে বোধহয় একটু বেশি আছে। কেননা প্রচণ্ড গরমে আমার শরীর দিয়ে এতটাই পরিমাণে ঘাম ঝরে যা দেখে আমি মাঝে মাঝেই খুবই বিরক্ত হয়ে যাই। আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই বোধ হয় এরকম হয়না। এই প্রচণ্ড গরমে আমাকে দিনে অন্তত কয়েক বার শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিবর্তন করতে হয় শুধুমাত্র ঘামের যন্ত্রণা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য। অসহ্য গরমে আমার শরীর থেকে দরদর করে ঘাম ঝরতে থাকে। আর তাই বেশিরভাগ সময় আমি এই রসালো ফল গুলো দিয়ে জুস তৈরি করে খেয়ে থাকি।
শুধুমাত্র নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য নয় আমার ছেলেও এই তরমুজ খেতে ভীষণ পছন্দ করে। আমার ও আমার ছেলের পছন্দসই তরমুজ ফল খাওয়ার জন্য প্রায় সময়ই বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনতে হয়। তাই ভাবলাম এই গরমে যখন এতটাই তরমুজ কেনা হয়েছে আর এতটাই তরমুজ খাওয়া হয়েছে সেহেতু আমি তরমুজ কিনতে যাওয়া নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু কথা উপস্থাপন করব।
তরমুজ কেনার উদ্দেশ্যে মূলত আমি যাব সোজা শহরের দিকে, কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজার। কিন্তু গাড়িতে জ্বালানি না থাকায় আমাকে একটু ব্রেক দিতে হলো সোনামণি ফিলিং স্টেশনে। গাড়িতে কিছু জ্বালানি ভরবো বলে।
মেসার্স সোনামণি ফিলিং স্টেশন। এই তেলের পাম্পটিতেই আমি সব সময় আমার গাড়ির জন্য জ্বালানি নিয়ে থাকি। কারণ এই তেলের পাম্প টিতে সঠিক ওজন এবং নির্ভেজাল জ্বালানি পাওয়া যায় সর্বদা। তাই আমি যথাসম্ভব সবসময় চেষ্টা করি এই ফিলিং স্টেশনেই আমার গাড়ির জ্বালানি নেয়ার জন্য। তারপর আমি আমার গাড়িতে জ্বালানি ভরে, সোজা চলে যাই কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌরবাজার। তরমুজের দোকানের উদ্দেশ্যে। কারণ ওখানে বেশ কয়েকটি তরমুজের পাইকারি দোকান আছে।
অবশেষে আমি পৌঁছে গেলাম আদর্শ পৌর বাজারের তরমুজের দোকানে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা অনেকেই তরমুজের মত রসালো ফল কেই বেছে নেই। তরমুজ শরীরকে খুবই ঠান্ডা রাখে অপরদিকে পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। হার্টের রোগ থেকে মুক্তি অথবা রোগের ঝুঁকি কমাতেও তরমুজ ভূমিকা পালন করে থাকে। তরমুজে মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। তরমুজে যে উপাদান আছে তা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত তরমুজ খেতে পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রেও তরমুজ অনেক অনেক উপকারী, আবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী। অসহনীয় গরমে তরমুজ খেলে, মনকে শান্ত রাখে এবং শরীরে ঠান্ডা প্রভাব নিয়ে আসে।
পরে আমি তরমুজ বিক্রেতা ভাইকে ভালো মানের একটি তরমুজ বেছে দিতে বললাম। যথারীতি বিক্রেতা ভাই আমাকে অনেক বেছে বেছে একটি তরমুজ হাতে ধরিয়ে দিল। আর তরমুজ টি আমি পরিমাপক যন্ত্রের উপর বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ টা দেখে নিলাম। ১ কেজি তরমুজের দাম ছিল ৬০ টাকা। আর আমার নেয়া তরমুজ টির ওজন হয়েছিল ৪ কেজি ২০০ গ্রাম। তাই তরমুজ টির দাম গিয়ে পড়ল ২৫২ টাকা। পরে আমি দোকানি কে ২৫০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিলাম এবং দোকানের বাইরে এসে তুলে নিলাম একটি সেলফি। তারপর আমি চলে এলাম সোজা আমার বাড়িতে।
আমার বাড়িতে আসা মাত্রই আমার ছেলে তরমুজ দেখে আনন্দে মেতে উঠল। তরমুজটি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে কাটা পর্যন্ত সে আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছিল না। আর তাই আমার অর্ধাঙ্গিনীকে খুব দ্রুতই তরমুজ কেটে ছেলেকে দেয়ার কথা বললাম। আমার অর্ধাঙ্গিনী চটজলদি তরমুজ কেটে নিয়ে আসলো সকলের জন্য। তরমুজ খাওয়া নিয়ে এতটাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেলাম আর তাই তরমুজ খাওয়া নিয়ে কোনো ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করতে পারলাম না। তবে ওই তরমুজ দিয়ে তরমুজের জুস রেসিপি তৈরি করে রেখেছি সময় সাপেক্ষে তা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। এই ছিল আমার তরমুজ কিনে খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার অবস্থা।
আশা করি আমার গরমে তরমুজ খেয়ে সস্তি পাওয়ার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
একদমই সত্য।তীব্র গরমে বাহির থেকে বাসায় ঢুকে যখন এক পিছ তরমুজে কামড় বসানো হয় যেন ভেতরটা জুড়িয়ে যায়!.
ভালো ছিল ভাই।শুভ কামনা জানাই🥰
আপনার মত আমার অভিমত ভাইয়া তরমুজ না হলে এই গরমে যেন শান্তি পাই না। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
তরমুজ পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই আছে ব্যক্তিগতভাবে তরমুজ আমার অনেক বেশি পছন্দের আর এই তরমুজ জুস হিসেবে তৈরি করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। প্রচন্ড গরমের দিন এখন আর এই গরমের দিনে তরমুজ মানে কিছুটা স্বস্তি। তরমুজ শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি সহায়তা করে। ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই সত্যি সত্যি তরমুজ খেলে শরীর অনেক ঠান্ডা লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
তরমুজ আমার অনেক পছন্দের একটি ফল। তবে এ বছর খুব বেশি তরমুজ খাওয়া হয়নি। আপনাদের ওদিকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয় জেনে অবাক হলাম। এভাবে বিক্রি করলে দাম অনেক বেশি পড়ে যায়। আমাদের এখানে পিস হিসেবে বিক্রি হয়। যাই হোক এমন সুস্বাদু ফল বেশি খেলে কোন সমস্যা নেই। ভালো লাগলো আপনার তরমুজ কেনার অভিজ্ঞতা
ভাইয়া, আমার ছেলের কারণে এ বছরই সবথেকে বেশি তরমুজ খাওয়া হয়েছে। আর আমাদের এদিকে সব সময়ই তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে আপনাদের ওদিকে পিস হিসেবে বিক্রি হয় জেনে ভালো লাগলো। ভাই,সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন এই গরমে তরমুজ পারফেক্ট খাবার। যেটা খেলে দেহকে ঠান্ডা করে ফেলে। সত্যিই সবাই এই গরমে তরমুজ খেতে বেশি পছন্দ করে।
এই গরমে তরমুজ সত্যিই খুবই উপকারী ফল। আর তাই মাঝে মাঝে খাওয়ার চেষ্টা করি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আহা ভাই সকাল সকাল কি দেখালেন 🥰। এই গরমে এর থেকে ভালো ফল আর হতেই পারে না। তবে হ্যাঁ তোর তরমুজ টা মিষ্টি হতে হবে অবশ্যই। কিছুদিন আগে আমিও খেয়েছিলাম একটা। দারুন টেস্টি ছিল। আপনার তরমুজের রংটাও চমৎকার দেখছি ❤️। ছোটবেলাতে আপনার ছেলে যেমন করত আমি ওরকম করতাম তরমুজ দেখলে। জুস এর রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ভাই আমার তরমুজটিও খেতে অনেক অনেক মিষ্টি ছিল। আর মিষ্টি তরমুজ খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই আমি তরমুজ খেতে খুব পছন্দ করি। ছোট থেকে তরমুজ আমার খুব প্রিয় ছিল। আজ আপনার পোষ্টটি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। এবং পোস্টটি প্রতিটি লাইন পড়ে আরো ভালো লাগলো। এই গরমে তরমুজ খেতে খুবই ভালো লাগে। এবং আমাদের যে পানির পিপাসা টা থাকে সেটা দূর হয়ে যায়। এবং শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনার ছেলে তরমুজ খুব পছন্দ করে জেনে আমার খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই আপনার মত আমার ছেলেও এত ছোট থেকেই তরমুজ খেতে খুবই ভালোবাসে। আর তাই তাকে প্রায় সময়ই তরমুজের জুস তৈরি করে দিতে হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মিতা আপনি ঠিক বলেছেন এই গরমে তরমুজ খেয়ে সস্তি। খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তরমুজ একটু বেশি খাওয়া হয়। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
মিতা ঠিকই বলেছেন এই গরমে তরমুজ টা একটু বেশি খাওয়া হয়। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপনি ঠিকই বলেছেন গরমে তরমুজের শরবত ও তরমুজ খেয়ে কিছুটা হলেনও সস্তি পাওয়া যায়।পানীয় জাতীয় ফল বলে গরমে খেয়ে অনেক মজা পাওয়া যায়।
ভাইয়া আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।