সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের স্মৃতিচারণ
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের স্মৃতিচারণ। এইতো কয়েক মাস আগে আমি আমার ভাগ্নে @mahir4221 নিয়ে সাজেক ভ্যালি বাইক ট্যুরে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়ে সাজেক ভ্যালির অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এত সুন্দর প্রাকৃতিক সবুজের সমারোহ যা দেখলেই চোখ দুটো জুড়িয়ে যায়। আজও যখন আমি চোখ বন্ধ করে সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক দৃশ্যকে অনুভব করার চেষ্টা করি, তখনো আমার কি যে ভালো লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
তাই এবার চিন্তা-ভাবনা করছি আবারো সামনে নভেম্বর- ডিসেম্বর মাসে সাজেক ভ্যালি বাইক ট্যুরে যাব আমার অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে। কেননা এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং মনমুগ্ধকর জায়গা আমার অর্ধাঙ্গিনীকে না দেখাতে পারলে মনে যেন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিনা। তাই আপনারা সকলেই দোয়া করবেন আমার নির্ধারিত সময়ে আমরা যেন বাইক ট্যুরে যেতে পারি।
আজ যখন আমি আমার মোবাইল ফোনটি বের করে সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখছিলাম তখন হঠাৎ করে একটি ভিডিওগ্রাফি চোখে পড়ে গেল। ভিডিওগ্রাফিটি যত দেখছিলাম ততই আমার কাছে ভালো লাগছিল। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের মাঝে সেই ভিডিওগ্রাফি থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি স্ক্রিনশট দিয়ে সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপস্থাপন করি। যদিও বা মোবাইলের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্যকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র স্বচ্ছক্ষে দেখলেই সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করা সম্ভব।
আমরা যখন মোটরবাইকে করে সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়ার দিকে এগোচ্ছিলাম, তখন দেখেছিলাম রাস্তার পাশ দিয়ে কিছু চাকমাদের সন্তান বই খাতা কলম নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তারা সাজেক ভ্যালি আসা পর্যটকদের দেখে হাত ইশারা করে টাটা দিচ্ছিল। আর সেই সন্তানদেরকে অনেক পর্যটকেরা চকলেট ঢিল ছুড়ে মারছিলেন। যদিও বা এই বিষয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না, তাই আমি সেই ছোট ছোট সোনা মনিদের চকলেট দিতে পারিনি। তবে সেই অভিজ্ঞতা অর্জন থেকে শিখেছি তাই সাজেক ভ্যালি থেকে ফিরে আসার সময় ২০ পিস চকলেট নিয়ে এসেছিলাম, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ছোট সোনামণিদের দেয়ার জন্য। আর যখন তারা এই চকলেট পেয়েছিল তখন তারা ভীষণ খুশি হয়েছিল।
আমরা সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পথে রাস্তার দু'পাশে চাকমাদের অনেক বসত বাড়িও দেখেছিলাম। এছাড়াও ছোট বড় পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তাটি দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। একেতো পিচ ঢালা রাস্তা তার উপরে আবার রাস্তার দুপাশে সবুজের সমারোহ। এযে কি মনমুগ্ধকর পরিবেশ তা বলে বোঝাবার ভাষা নেই। আজও যখন আমি এই অপরূপ দৃশ্য গুলো উপলব্ধি করি, তখন মনের ভেতর ভীষণ ভালোলাগা কাজ করে।
সাজেক ভ্যালি গিয়ে বাইকে করে সমস্ত জায়গাটা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। আর রাত্রিযাপনের জন্য মেঘের ঘড় রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকা - খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলাম। আমরা ১৮০০ ফিট উপরে রাত্রি যাপন করেছিলাম, সেটা ভাবতেই অনেক ভালো লাগছিল। আমরা সেখানে গিয়ে এতটাই আনন্দময় সময় কাটিয়েছিলাম, যা মনে করলেও খুব ভালো লাগে। তাই আমার ভালোলাগার সময় টুকু আপনাদের মাঝে নতুন করে আবারো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাজেক ভ্যালি জায়গাটা ছবির মতো সুন্দর।
মাহিরকে নিয়ে ভ্রমনের ব্যাপারটা জানতাম এবং বেশ কিছু পোষ্ট দেখেছিলাম। সবমিলিয়ে দারুন উপভোগ করেছিলেন আপনারা। এবার ভাবীকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন শুনে সত্যিই ভালো লাগলো। তবে এতো রাস্তা বাইকে, ভাবী মানিয়ে নিতে পারবে তো?
ভাই এর আগেও আপনার ভাবিকে নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার ঢাকা ভ্রমন করেছি, আবার কুয়াকাটাও গিয়েছিলাম। তাই এবার সাহস করেছি সাজেক ভ্যালি যাওয়ার।দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
সাজেক ভ্যালি সত্যি দেখার মত একটি জায়গা। বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারি ভিডিও দেখেছি কিন্তু সরাসরি কখনো এই জায়গা ভ্রমন করা হয়নি।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজ সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো।
ভাই, একবার সময় সুযোগ করে সাজেক ভ্যালি দেখে আসবেন, আমার বিশ্বাস আপনার কাছে খুব খুব ভালো লাগবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আপনার ভাগ্নের সাথে সাজেক ভ্যালি বেড়াতে গিয়েছিলেন আমরা সবাই জানি। সেই পুরনো স্মৃতি আবারো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে ভালো লাগার জায়গা গুলো সবার মাঝে উপস্থাপন করতে সত্যিই ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু, ভালো লাগার জায়গা গুলো আপনাদের সবার মাঝে তুলে ধরতে বেশ ভালই লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
অনেক আগেই সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে গিয়েছিলেন আপনি আর আপনার ভাগ্নে। বাইকে করে আপনারা জায়গা টিতে গিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি জায়গাটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর এবং পরিবেশটাও একেবারে মনোমুগ্ধকর। এরকম মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কিন্তু ঘোরাঘুরি করলে মনটা একেবারে ভরে যায়। খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন তাহলে বোঝা যাচ্ছে। আপনারা ১৮০০ ফিট উপরে রাত্রি যাপন করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
আপু,সমতল ভূমি থেকে ১৮০০ ফুট উপরে যখন আমরা উঠেছিলাম, তখন আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে বাইকে করে যে কোন জায়গায় যেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাইকে করে যে কোন জায়গায় গেলে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। ভাগ্নেকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পরিবেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাস্তাঘাটের দুই পাশে এরকম সবুজ শ্যামল পরিবেশ দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনি ভাবিকে নিয়ে যেতে পারবেন অনেক ভালোভাবে। আশা করছি ভাবিকে নিয়ে যাওয়ার পরে খুব ভালো মুহূর্ত কাটাবেন।
দোয়া করবেন ভাই, আমরা যেন সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করে আসতে পারি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।