আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। গতকাল থেকে গরমে তীব্রতা যেন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, আর এই সময়ে আমাদের এদিকে প্রচুর লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। যার কারণে রাতে গরমের যন্ত্রণায় একদমই ঘুম হয়নি। আমার আবার গরমের তীব্রতা অনেক অনেক বেশি। তাই গরমের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাতেই দু'বার গোসল করেছি তবুও যেন গায়ের যন্ত্রণা কিছুতেই কম ছিল না। তখন শীতকালের জন্য অনেক আফসোস হচ্ছিল।

কেননা শীতকাল আমার খুবই ভালো লাগে। আমার তো মনে হয় অন্যান্য সকলের চেয়ে আমার গরমের জ্বালাটা একটু বেশি। তবে আমার ধারণা ভুল হতে পারে, কিন্তু কেন জানি আমার তাই মনে হয়।যাই হোক গরমের তীব্রতা সকলেরই অসহনীয় জীবন যাপন থেকে শান্তি ফিরিয়ে আনুক এই প্রত্যাশা করছি

আজ আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর এই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি আমি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি আশা করছি আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেয়া যাক।

" ফটোগ্রাফি : ১ "

১। এই ফুলটির নাম কসমস ফুল। গারো হলুদ রঙের কসমস ফুলটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই তো সেদিন আমি বিআরটিএ অফিসে গিয়েছিলাম একটি কাজে, আর তখন সেখানে সুন্দর একটি বাগানো চোখে পড়ে গিয়েছিল। আর সেই বাগান থেকে সুন্দর এই কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি, আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

" ফটোগ্রাফি : ২ "

-

২। এই ফুলটির নাম জংলি ফুল। কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে পারলাম, এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম (ক্যারোলিনা হর্সনেটেল)। ফুল বনে জঙ্গলে যেখানেই ফুটুক না কেন, ফুলের সৌন্দর্য সব সময় ছড়িয়ে যায়। আর তাইতো পুকুরের ওপরে একটি ঝোপে এই জংলি ফুল যেভাবে ফুটেছিল, তা দেখে কারো ভালো না লেগে পারেইনা। আর তাইতো আমিও ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আমার মুঠোফোনে।

" ফটোগ্রাফি : ৩ "

৩। এই ফুলটিও জংলি ফুল। কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে এই ফুলটির অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক নাম দেখলাম । সত্যি বলতে কি, অঞ্চলভেদে একেক রকম নাম হয়। কিন্তু যে নামাই হোক না কেন, ফুলটি অনেক সুন্দর। ছোট ছোট সাদা রঙের এই ফুলগুলো রাস্তার ধারে বেশিরভাগ সময় দেখতে পাওয়া যায়। এই তো সেদিন আমি সকালবেলা রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ফুলগুলো ফুটে থাকতে দেখে ফটোগ্রাফি করাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা ইদানিং সুন্দর সুন্দর ফুল দেখলে ফটোগ্রাফি করার জন্য এক প্রকার নেশা হয়ে গেছে।

" ফটোগ্রাফি : ৪ "

৪। এই ফুলটি হচ্ছে বেগুন ফুল। আর এই বেগুন ফুল আমরা সকলেই চিনি। হালকা বেগুনি রংয়ের এই ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর। প্রচন্ড রোদে বেগুন ফুলটি রৌদ্রউজ্জ্বল হয়েছিল। আর যখন আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আকাশ থেকে সূর্যি মামা তার গরমের তীব্রতা আমার গায়ে ঢেলে দিচ্ছিল। তাই চট করে বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি করে, বেগুনের ক্ষেত থেকে বের হয়ে এসেছিলাম।

" ফটোগ্রাফি : ৫ "

৫। এই ফুলটির নামও জংলী ঘাসফুল। কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম দেখলাম (isachne)। এই ফুলটি ঘাসের ওপর এমন ভাবে ফুটে থাকে যা হয়তো আমরা অনেকেই লক্ষ্য করি না। একদম হালকা চিকন চিকন পাপড়ির মত এই ফুলটি যখন আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম, তখন দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তাই আমার ভালোলাগা ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।

" ফটোগ্রাফি : ৬ "

৬। এই ফুলটির নাম চাল কুমড়া ফুল। চাল কুমড়া সবজি হিসেবে খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে কচি চালকুমড়া দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি খেতে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। এছাড়ও চাল কুমড়া ভাজি খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক সেই চাল কুমড়া গাছ থেকেই হলুদ রঙের এই ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আমার মোবাইল ফোনে।

" ফটোগ্রাফি : ৭ "

৭। এই ফুলটির নাম কাটামুকুট ফুল। আর এই কাটা মুকুট গাছে প্রচুর পরিমাণে কাটা থাকে। এত কাটার মাঝেও সুন্দর এই ফুলগুলো যখন ফুটে থাকে তখন দেখতে ভারী সুন্দর লাগে। কাটামুকুট ফুলের কালারটাও একদম চোখ ধাঁধানো।। যা দেখা মাত্রই ভাল লেগে যায়। আর আমি তো সবসময় চেষ্টা করি আমার ভাললাগা ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।

---

---

Photographer	@mahbubul.lemon
Device	Oppo A16
Location	Kurigram

---

---

আশা করি আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।