আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে আমাদের প্রিয় কমিউনিটি ও আমার মেয়ের জম্মদিনকে কেন্দ্র করে। গতবছর যখন আমার বাংলা ব্লগের প্রথম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন থেকে গতকাল সহ দুটি জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করলাম, আমার মেয়েকে দিয়ে জন্মদিনের কেক কাটার মাধ্যমে। এবং চিন্তাভাবনা আছে যতদিন আমার বাংলা ব্লগ থাকবে এবং যতদিন আমার মেয়ের জন্মদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত একটি কেকে দুটি জন্মবার্ষিকী উদযাপন করব। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত😁।

গত বছর আর এ বছর যখন আমার বাংলা ব্লগ ও আমার মেয়ের জন্মদিনের কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করছিলাম, তখন আমার ভেতরে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। এ ভালোলাগা, এই আনন্দ পাওয়া সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। আর এই অনুভূতি হয়তো ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো সম্ভব নয়। দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগ দুবছরে পদার্পণ করলো এটা আমাদের জন্য সত্যি খুবই গর্বের বিষয়।

তবে কেকের গায়ে ব্লগ লেখাটি ভুল লিখেছে এজন্য কিছুটা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমার। আমি কেকের অর্ডারটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিয়েছিলাম আর তাই তারা ভুলবশত ব্লগ বানানটি ভুল লিখে ফেলেছে। যখন কেকটি বাসায় তারা হোম ডেলিভারি দিয়ে গিয়েছে, তখনই লক্ষ্য করেছিলাম ব্লগ বানানটি ভুল হয়েছে। ব্লগ বানানটি ভুল হয়েছে জন্য মন খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু জন্মদিনের আনন্দ কিন্তু কোন অংশে কম ছিল না।

প্রথমে কেক কাটার জন্য আমার মেয়ের সাথে আমার বাবা-মা ও ছেলেকে বসিয়ে দিয়েছিলাম। আমার বাবার বয়স খুব বেশি না হলেও অসুস্থতার কারণে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। যার কারণে ভালোভাবে দাঁড়িয়ে কেক কাটার অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তাই আমার বাবার সুবিধার্থে বসে বসেই আমার মেয়ে কেকটি কেটে ফেলেছিল। কেক কাটার সময় আমার বাবার মুখে খুশির ঝলক দেখেছিলাম তা সত্যি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছিল।

আমার মেয়ে জন্মদিনের কেক নিয়ে এসে আমাকে কিছুটা খাইয়ে দিয়েছিল। আর সে সময় স্মৃতি হিসেবে একটি ছবি তুলে নিয়েছি। যদিও বা আমি জন্মদিনের অনুষ্ঠান খুবই ছোট্ট পরিসরে আয়োজন করেছিলাম, তবুও পরিবারের লোকজন ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরা বেশ কিছু গিফট দিয়েছিল। সেই গিফট গুলো পেয়ে আমার মেয়ে, ভীষণ খুশি হয়েছিল। তাই সে কি কি গিফট পেয়েছে তা আপনাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছি আর কি। গিফট পেতে কার না কাছে ভালো লাগে বলুন, তাই আমার মেয়ে এই গিফট গুলো পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল।

আমার বাংলা ব্লগ ও আমার মেয়ের জন্মদিনে আমার বাবা-মায়ের খুশি ছিল অফুরন্ত। তাদের এরকম হাসিমাখা মুখ দেখে সত্যিই আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আমার বাবা-মা ও বড় বোনের সাথে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য। আমার বাংলা ব্লগ ও আমার মেয়ের জন্মদিন সব সময় শুভ হোক এই প্রত্যাশা করছি।

---

---

আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।