সুন্দর একটি বাড়ির ফটোগ্রাফি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে খুব সুন্দর একটি বাড়ির ফটোগ্রাফিকে কেন্দ্র করে। আর এই সুন্দর বাড়িটি হচ্ছে আমার অর্ধাঙ্গিনীর খালাতো বোনের। আর খালাতো বোনের হাসবেন্ড হচ্ছে আমাদের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান। আর এই চেয়ারম্যান দুলাভাই তার পুরো বাড়িটি এত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যা দেখেই ভালো লেগে যায়। শুধু আমি নই বরং যে কেউ দেখলে এক পলকে বাড়িটিকে সুন্দর বলে।
দুলাভাইয়ের এই বাড়িটি পুরো দুই বিঘা জমির উপরে নির্মাণ করেছে। বাড়ির পাশে বেশ বড়সড় সিঁড়ি দিয়ে বাঁধানো ঘাট রয়েছে যা দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এছাড়াও এই বাড়িতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ।এমন কি তিনি বাইরের দেশ থেকেও বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ এনে লাগিয়েছে। আমার দুলাভাইয়ের এই বাড়িটি যদিওবা ফ্ল্যাট বাড়ি নয় তবুও ফ্লাট বাড়ির চাইতে এই বাড়িটির সৌন্দর্য কম নয়। এই বাড়ির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বাড়ির চারিপাশে সবুজ ঘাস এমনভাবে লাগানো রয়েছে যা দেখলে আপনার মনে হবে সবুজ রঙের কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে।
এইতো সেদিন আমি আমার একটা কাজ নিয়ে দুলাভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম, আর তখনই আমি এই সুন্দর বাড়িটির ফটোগ্রাফি করে রেখেছি আমার মুঠোফোনে। এত বড় বাড়িতে শুধুমাত্র চারজন লোক বসবাস করে। আর দুজন মালি রয়েছে। এই মোট ছয় জন লোকের চলাফেরা ছাড়া, আর তেমন কোন লোকের যাওয়া আসা নেই। তাই বাড়িটি একদম ঝকঝকে চকচকে ও পরিপাটি মনে হয়। যাইহোক আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন আমার দুলাভাইয়ের বাড়িটি দেখে আসা যাক।
প্রথমেই মেইন গেট দিয়ে ঢুকে বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করতেই সদর দরজা চোখে পড়বে। বাইরে থেকে যে কেউ আসলেই এই সদর দরজা দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আসলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে হয়তোবা সব কিছু বোঝানো সম্ভব নয়, তবুও চেষ্টা করছি পুরো বাড়িটিকে একটু ভালোভাবে দেখানোর জন্য।
বাড়ির সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করে বেশ সুন্দর একটি বারান্দা চোখে পড়বে। আর এই বারান্দায় বসে হাওয়া খাওয়ার জন্য আমার দুলাভাই বেশ সুন্দর বসার জন্য বেতের ও প্লাস্টিকের খুব সুন্দর সুন্দর চেয়ার সাজিয়ে রেখেছে। বিকেল বেলায় এখানে বসে চা খেতে নাকি আমার দুলাভাইয়ের খুব ভালো লাগে। তাই এই বসার আয়োজন করে রেখেছে।
বাড়ির বারান্দার পাশেই বেলকনির সাথে বেশ বড়সড়ো একটি পুকুর রয়েছে। আর সেই পুকুর সিঁড়ি করে ঘাট বাঁধানো। যার কারণে বাড়ির ভেতর থেকে পুকুরটিকে খুব সুন্দর দেখা যায়। আর এই পুকুরের ওপরে দেশে-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের নারিকেলের চারা রোপণ করেছে। পুকুরের ওপরে সারি সারি নারিকেল গাছ দেখতে খুব খুব সুন্দর লাগে।
বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে যা দেখা মাত্রই ভাল লেগে যাবে। এই সবুজ গালিচা পেরিয়ে একটু সামনে এগুলো খুব সুন্দর করে একটি ছাউনি তৈরি করেছে যেখানে বসে আমার দুলাভাই পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। এছাড়া যেহেতু আমার দুলাভাই চেয়ারম্যান মানুষ, তাই কেউ দেখা করতে আসলে এখানে বসেই দেখা-সাক্ষাৎ করে।
আমি জানিনা আমার ফটোগ্রাফিতে এত সুন্দর বাড়িটি আপনাদের ঠিক বোঝাতে পেরেছি কিনা। তবে সত্যিকার অর্থেই এই বাড়িটি দেখতে খুব বেশি সুন্দর। আর হ্যাঁ আমি বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম, আমার দুলাভাই এই সুন্দর বাড়িটি তৈরি করেছে, মালয়েশিয়ার একটি বাংলো বাড়ি দেখে। মালয়েশিয়া বেড়াতে গিয়ে তিনি বাংলো বাড়িটি দেখে খুব পছন্দ করেছিল। আর সেই অনুরূপে বাড়িটি তৈরি করেছে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
সত্যি বাড়িটি অসম্ভব সুন্দর ভাইয়া। আপনার বউয়ের খালাতো বোনের জামাই বেশ সুন্দর একটি বাড়ি করেছে কিন্তু বলতে হয় ।আমি তো ভেবেছিলাম বাহিরে দেশের কোনো বাড়ি। আঙিনায় সবুজ গালিচার মত করাতে বেশি সুন্দর লাগছে। তাছাড়া সদর দরজায় বসার সোফা গুলো ,সেগুলো বেশ সুন্দর। এবং বেলকনি থেকেই পুকুরের দৃশ্য দেখা যায় শুনে আরো বেশি ভালো লাগছে।
আপু এই বাড়িটি, মালোশিয়ার এক বাংলো বাড়ির ডিজাইন। আর আমার দুলাভাই সেই ডিজাইন দেখেই এই বাড়িটি তৈরি করেছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ! চমৎকার একটি বাড়ির ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাবির দুলাভাইয়ের বাড়ি বেশ ভালো লেগেছে দেখে। এত সুন্দর এরিয়া এত সুন্দর সাজগুজ করা বাড়িটি। বাড়িটি দেখে মনে হচ্ছে না যে এটা আমাদের বাংলাদেশের ভিতরে। কিন্তু এত চমৎকার ভাবে সুন্দর একটি এরিয়া নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন অনেক ভালো লেগেছে দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাড়িটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু বাড়িটি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্র গুলো খুবই সুন্দর। যদি সম্ভব হয় সে বিষয়েও একদিন পোস্ট উপস্থাপন করব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চেয়ারম্যানের বাড়ি বলে কথা একটু সাজানো গোছানো না থাকলে হয়।
তবে এই বারের ফটোগ্রাফি এবং পরিপাটি দেখে খুব ভালো লাগলো।
মনোরম পরিবেশ কোলাহল মুক্ত চারিদিকে গাছে ভরপুর।
এক কথায় সিনেমায় যেরকম বাড়ি দেখতে পাই সেরকম মনে হচ্ছে।
ভাই বাড়িটি ফটোগ্রাফিতে যতটা ভালো লাগছে, বাস্তবে তার চাইতেও বেশি ভালো লাগে। তাই যদি সম্ভব হয় একদিন এই পুরো বাড়ির ভিডিওগ্রাফি উপস্থাপন করব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাড়িটি সত্যি অসাধারণ সুন্দর, এই সৌন্দর্যময় বাড়িটির ফটোগ্রাফি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তো সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণের মুহূর্ত অসাধারণ ছিল।
ভাই, ফটোগ্রাফির চাইতেও বাস্তবে এই বাড়িটি দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মানুষ স্বপ্নের মধ্যে যে বাড়িগুলোর কথা চিন্তা ভাবনা করে এই বাড়িটা ঠিক তেমনি ভাই। এসব বাড়ি তৈরি করতে অনেক অর্থ লাগে। অনেকের ইচ্ছা থাকে কিন্তু সামর্থ্য থাকে না। তবে বাড়িতে সত্যি খুবই সুন্দর। বাড়ির চারিপাশে দেখে মনটা ভরে গেল। যেহেতু আপনার দুলাভাই চেয়ারম্যান আর চেয়ারম্যানের বাড়ি চেয়ারম্যানের মতই লাগছে। উনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এত সৌন্দর্য টাকে বাড়ির সামনে তৈরি করেছেন। ফটোগ্রাফি দেখে ইচ্ছে করছে নিজ চোখে বাড়িতে দেখার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই, এই বাড়িটি তৈরি করতে প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। বিশেষ করে এই বাড়ির ইট গুলো ঢাকা থেকে স্পেশাল ভাবে অর্ডার দিয়ে কিনে আনা হয়েছে। এছাড়াও আমার দুলাভাই খুব সৌখিন মানুষ যার কারণে এত অর্থ ব্যয় করে খুব সুন্দর একটি বাড়ি তৈরি করেছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দুলাভাইয়ের বাড়িটি অনেক সুন্দর। এটি মনে হয় তার খুব স্বপ্নের বাড়ি। আপনার ওয়াইফের খালাতো বোনের হাজবেন্ডের বাড়ি সত্যিই অসাধারণ। বর্তমানে তিনি ওই এলাকার চেয়ারম্যান। তবে বাড়ির সাথে পুকুরটি খনন করার কারণে দেখতে বেশ ভালই লাগতেছে। যদি সামনে থেকে বাড়িটি দেখতে পারতাম তাহলে আরো ভালো লাগতো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করে এই সুন্দর বাড়ি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু, পুরো এই বাড়ির সৌন্দর্য মূলত ঐ পুকুরটিকে ঘিরে। আর আমার দুলাভাই ঐ পুকুরে অনেক প্রকারের মাছ চাষ করেছেন। আর শিরি বাধানো ঘাটে বসে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ওয়াইফের খালাতো বোনের হাজবেন্ডের বাড়িটি তো অনেক সুন্দর। আসলে এরকম বাড়িগুলো সামনে থেকে দেখলে অনেক ভালোই লাগে। হয়তো আপনার রিলেটিভের কারণে আপনি বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে বেলকনির পাশে পুকুরটি দেখে অনেক ভালোই লাগলো। বাড়ির পরিবেশ এবং বাহিরে সাফাই দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিবেশ অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর বাড়ি আমাদের মাঝে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ভাই, দুলাভাই হওয়ার সুবাদে বেশ কিছুদিন পর পরই তার বাসায় যাওয়া হচ্ছে। আর তাই ফটোগ্রাফিটি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি সম্ভব হয় এরপরে কোন একদিন এই সুন্দর বাড়িটির ভিডিওগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।