পরিবারের সাথে ধরলা নদীর পাড়ে খড়কুটো রেস্টুরেন্টে
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধরলা নদীর পারে খরকুটো নামক রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়কে কেন্দ্র করে। বেশ কিছুদিন আগে প্রচন্ড গরমের তীব্রতায় আমাদের জীবন যখন অসহনীয় হয়ে গিয়েছিল, বৃষ্টির কোন দেখায় মিল ছিল না, ঠিক তখন আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধরলা নদীর পাড়ে ফুরফুরে বাতাসে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর ঘুরতে যেহেতু গেয়েছি সেহেতু রেস্টুরেন্টে গিয়ে না খেলে তো আর মনের শান্তি পাবো না। তাই ছেলে, মেয়ে ও আমার অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে খড়কুটো রেস্টুরেন্টে ধরলার আবহাওয়া ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাসে, মনমুগ্ধকর পরিবেশে বসে খুব মজার খাবার খেয়েছিলাম। আর সে বিষয়ে আজকের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
প্রথমেই আমরা ধরলা সেতুর ওপরে অনেকটা সময় পার করে তবেই খড়কুটো রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। আমরা যখন এই রেস্টুরেন্টে পৌঁছেছিলাম তখন ঠিক রাত ১১ টা বেজে গিয়েছিল, যার কারনে রেস্টুরেন্টটি একদম ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু ধরলা নদী শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে, তাই রাত হওয়ার সাথে সাথে রেস্টুরেন্টের ভিড়ও অনেক কমে যায়। এই রেস্টুরেন্টের ভিড় বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত অনবরত চলতে থাকে। তবে ভিড় না থাকার কারণে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল।
যেহেতু এই রেস্টুরেন্ট ধরলা নদীর পাড়ে অবস্থিত তাই এই রেস্টুরেন্টটি বাঁশের কাঠামো দিয়ে অনেক উঁচু করে তৈরি করেছে। উপরে কাস্টমারদের জন্য যেমন বসার সুব্যবস্থা করে রেখেছে, ঠিক তেমনি নিচের দিকেও ছোট সোনামণিদের আনন্দ দেয়ার জন্য স্লিপার, দোলনা ও ভিন্ন ভিন্ন খেলার সামগ্রী রেখে দিয়েছে। তবে আমার কাছে এই রেস্টুরেন্ট বেশি ভালো লেগেছে, এখানে থাকা রংবেরঙের লাইটিং ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থানগুলো দেখে। এছাড়াও কুয়াশা ভেজা সবুজ ঘাস গুলো দেখে এক অন্যরকম পরিবেশ অনুভব করতে পারছিলাম।
খড়কুটো রেস্টুরেন্টে সকলে এসে যেন ছবি তুলতে পারে তার জন্য তারা খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করে রেখেছে। তাই এখানে আসা আগত কাস্টমার সকলেই এই সৌন্দর্যময় ডেকোরেশনের সামনে এসে ছবি তুলে যায়। আমরাও তার ব্যতিক্রম করিনি, তাই ছেলে ও মেয়ে সহ চটজলদি ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন আচারি সাথে পরোটা অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু অর্ডার করার আধ ঘন্টার মধ্যে খাবার সার্ভ করা হয়। তাই আমরা খাবার আসার আগ পর্যন্ত, পুরো রেস্টুরেন্ট ঘুরেফিরে ও ফটোগ্রাফি করে সময় পার করেছিলাম। যাক অবশেষে আমাদের অর্ডার করা খাবারগুলো এসে গিয়েছিল। আর এই রেস্টুরেন্টের চিকেন আচারি জাস্ট অসাধারণ। তবে এই রেস্টুরেন্টে চা না থাকার কারণে আমি এক কাপ কফি খেয়েছিলাম। কারণ চা কিংবা কফি ছাড়া আমি আবার স্বস্তি পাই না। যাই হোক, পেট পুরে খেয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে পেরে, আমার পরিবারের সবারই খুব ভালো লেগেছিল। আর তাই সেই ভালো লাগা সময় টুকু আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিলাম।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ অনেক ভালো সময় পার করেছেন। আসলে খড়কুটো রেস্টুরেন্টে এ ডেকোরেশন অনেক সুন্দর তাই তো সবাই ফটোগ্রাফি করতে পারে।যাক আপনি চিকেন আচারি সাথে পরোটা অর্ডার করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু পরিবারের সাথে সময় কাটাতে আমার কাছে দারুন লাগে, আর রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো ভীষণ স্বাদের ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে বেশ কিছুদিন আগে অনেক বেশি গরম পড়েছিল। আর তখন যদি এরকম জায়গায় যাওয়া হয় তাহলে ভীষণ ভালোই লাগবে। ধরলা নদীর পাড়ে অবস্থিত খড়কুটো রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনারা সবাই বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। খাওয়া দাওয়াও দেখছি বেশ ভালোভাবে করেছিলেন।
ঠিক বলেছেন ভাই, সেদিন আমরা ধরলা নদীর পাড়ে ও খরকুটো রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন খড়কুটো রেস্টুরেন্টে। আমি মনে করি মাঝে মাঝে এরকম পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত আমরা হয়তোবা বাহিরে অনেকটা সময় কাটায় কিন্তু পরিবারের সঙ্গে তেমন একটা সময় দেওয়া হয়ে ওঠেনা এ ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। অবশেষে আপনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে খড়কুটো রেস্টুরেন্টের এরকম মুহূর্ত অবশ্যই পরবর্তীতে আরো সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করবেন বলে আশা রাখি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমিও সময় সুযোগ পেলে পরিবারকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। আর পরিবারের সাথে কাটানো সময় কে আমি খুবই উপভোগ করি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে এরকম জায়গা গুলোতে গেলে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরমের সময় এরকম জায়গাগুলোতে গেলে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। ধরলা নদীর পাড়ে খড়কুটো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব ভালো মুহূর্ত কেটেছিল আপনাদের যা দেখে বুঝতে পারলাম। খাবার আসা পর্যন্ত আপনারা ফটোগ্রাফি করেছিলেন। আর এদিক সেদিক ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন। মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম পড়ে।
আপু ধরলা নদীর পাড়ে এই রেস্টুরেন্টটি একদম নতুন হয়েছে যার কারণে ডেকোরেশন ও খাবারের মান খুব ভালো।তাই যে কোন কাস্টমার গেলেই রেস্টুরেন্টটি খুব পছন্দ করে। যাইহোক আপু, আমরা সেদিন খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।