"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৬ || বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে আমাদের প্রিয় কমিউনিটির আয়োজন করা ৪৬ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আর এই প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করেছি, বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপি নিয়ে। যেহেতু ছোট মাছে ঝালের কথা উল্লেখ করা আছে, এজন্য আমি এই রেসিপিতে কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচের গুঁড়া দুটোই ব্যবহার করে, ঝালের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আর হ্যাঁ আমি যে ছোট মাছগুলো দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছি, তা দুই তিন প্রকার কিংবা পাঁচমিশালী নয়।বরং এই ছোট ছোট মাছগুলো ছিল দশ মিশালী মাছ। মানে বুঝলেন না, দশ প্রকারের ছোট ছোট মাছ দিয়ে বাঁশে পুড়িয়ে ঝাল রেসিপি তৈরি করেছি। আর এই রেসিপি খেতে এতটাই স্বাদ হয়েছিল, যা আমার মুখে লেগে রয়েছে। আর এই বাঁশে পুড়িয়ে রান্নার আইডিয়া আমি পেয়েছি, সাজেক ভ্যালির ব্যাম্বু চিকেন রেসিপি দেখে। কেননা কয়েক মাস আগে যখন আমি সাজেক ভ্যালি গিয়েছিলাম, তখন সেখানে গিয়ে আমি এই ব্যাম্বু চিকেন, ও ব্যাম্বু বিরিয়ানি খেয়েছিলাম।
তাই ভাবলাম ছোট মাছের ঝাল রেসিপি যেহেতু তৈরি করব, তাই একটু ইউনিকভাবে তৈরি করলে খেতে কতটা স্বাদ হবে,তা না হয় একটু যাচাই করেই দেখি। তো যাচাই করতে গিয়ে আমি তো পুরো অবাক হয়ে গিয়েছি, কেননা বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপি খেতে, এতটাই মজার হবে তা আমি বুঝতেও পারিনি। আমি তো সবসময় দুই চার পাঁচ কিংবা ছয় রকমের মাছ একসাথে মিক্সড করে রেসিপি খেয়েছি, তবে কখনো দশ প্রকারের মাছ একসঙ্গে রেসিপি করে খাওয়া হয়নি। তাই এই রেসিপি সম্পর্কে আমার দারুন একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গেল।
বিশেষ করে যখন গ্যাসের চুলায় বাশ পুড়িয়ে পুড়িয়ে রান্না করছিলাম, তখন বাশ পুড়ে যাওয়ার একটা আলাদা ফ্লেভার যেন ঘরের ভেতরে মৌ মৌ করছিল। আর এই ফ্লেভারটি আমি সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে ব্যাম্বু চিকেন খাওয়ার সময় পেয়েছিলাম। যাই হোক অনেক কথাই বলে ফেললাম, তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে, আমার তৈরি বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপির রন্ধন প্রণালীর ধাপ গুলো দেখে নেয়া যাক।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ছোট মাছ | ৫০০ গ্রাম |
২ | টমেটো | ১ টি |
৩ | তেতুল | পরিমাণ মতো |
৪ | ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
৫ | পেঁয়াজ | ৫-৬ টি |
৬ | কাঁচা মরিচ | ১৫-২০ টি |
৭ | শুকনা মরিচ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
৮ | জিরা গুড়া | ২ চা চামচ |
৯ | সয়াবিন তেল | পরিমান মতো |
১০ | লবণ | স্বাদ মতো |
" ১ম : ধাপ "
১। প্রথমে রান্নার জন্য বাঁশ প্রসেসিং করে নিতে হবে। তারপর ছোট মাছগুলো কেটে বেছে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
" ২য় : ধাপ "
২। এবার টমেটো ভালোভাবে পরিষ্কার করে, টুকরো করে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ৩য় : ধাপ "
৩। এবার পেঁয়াজ গুলোর খোসা ছাড়িয়ে, কুচি করে কেটে নিতে হবে।
" ৪র্থ : ধাপ "
৪। এবার কাঁচা মরিচ গুলোর বোটা ছাড়িয়ে, লম্বভাবে মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ৫ম : ধাপ "
৫। এবার ধনিয়া পাতা গুলো কেটে বেছে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
" ৬ষ্ঠ : ধাপ "
৬। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে কেটে নেয়া কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুড়া, শুকনা মরিচ গুঁড়া ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে হাতের সাহায্যে মেখে নিতে হবে।
" ৭ম : ধাপ "
৭। এবার মেখে নেয়ার পর,পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে আবারো হাতের সাহায্যে মাখিয়ে নিতে হবে।
" ৮ম : ধাপ "
৮। এবার মাখিয়ে নেয়া পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলোর উপরে মাছগুলো ঢেলে দিয়ে আবারো হাতের সাহায্য মাখিয়ে নিতে হবে।
" ৯ম : ধাপ "
৯। এবার মাছগুলো মাখিয়ে নেয়ার পর কেটে নেয়া টমেটো ও ধনে পাতা কুচি ঢেলে দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। সেই সাথে পূর্বে বানিয়ে নেয়া তেতুলের কাঁথ মাছগুলোর সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
" ১০ম : ধাপ "
১০। এবার তেতুলের কাঁথ ভালোভাবে মাখিয়ে নেয়ার পর, পূর্বে প্রসেসিং করা বাঁশের ভেতরে চামচের সাহায্যে ভরিয়ে দিতে হবে।
" ১১তম : ধাপ "
১১। এবার বাঁশের ভেতরে মাছগুলো ভরিয়ে দেয়ার পর, অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে দিতে হবে। যাতে করে মাছগুলো রান্না হয়ে যায়।
" ১২তম : ধাপ "
১২। এবার পরিমাণ মতো পানি দেয়ার পর, বাঁশের মুখে কলাপাতা দিয়ে গুঁজে দিতে হবে। এবং সেই সাথে বাসের ভেতরের পানি যেন বের হয়ে না আসে সেজন্য পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে বাঁশের মুখটি বন্ধ করে দিতে হবে।
" ১৩তম : ধাপ "
১৩। এবার বাঁশের মুখ দিয়ে যেন ঢেলে দিয়ে পানি গুলো বের হয়ে না আসে, এজন্য পলিথিনের ওপর কলা পাতা দিয়ে, মুড়িয়ে ভালোভাবে বেঁধে দিলেই প্রস্তুত হয়ে যাবে পুড়িয়ে নেয়ার জন্য বাঁশটি।
" ১৪তম : ধাপ "
১৪। এবার গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে বাঁশটি বসিয়ে পুড়িয়ে নিতে হবে। বাঁশের চারিপাশে যেন ভালোভাবে পড়া হয় এজন্য বারবার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাঁশটিকে পুড়িয়ে নিতে হবে।
" ১৫তম : ধাপ "
১৫। এবার পুরোদমে বাঁশটি পুড়িয়ে নেয়ার পর, একটি পরিষ্কার পাত্র প্রস্তুত করে নিতে হবে রেসিপিগুলো ঢেলে নেয়ার জন্য।
" ১৬তম : ধাপ "
১৬। এবার পরিষ্কার পাত্রে বাঁশের ভিতরে থাকা ছোট মাছের ঝাল রেসিপি গুলো ঢেলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্খিত রেসিপিটি।
" শেষ-ধাপ "
শেষ-ধাপ : এবার আমাদের কাঙ্খিত রেসিপিটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাওয়ার পর, পরিবেশনের জন্য আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে মনের মতো সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি বালিশ ছাড়া ঘুমান ? নাকি বালিশ দিয়ে? এত বুদ্ধি কই রাখেন বলেন তো। বাপরে যে রেসিপি দিয়েছেন তাতে তো প্রথম পুরুস্কার আপনার ঘরেই যাবে। অসাধারন ছিল আজকের রেসিপি। আমি কিন্তু মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
আপু আমার জন্য দোয়া করিয়েন, যাতে করে প্রতিযোগিতায় কিছু একটা হতে পারি। বোনের দোয়া ভাইয়ের খুবই কাজে আসে। আর হ্যাঁ আপু, আমার আর তেমন বুদ্ধি কই, বালিশ নিয়েই ঘুমাই।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ। ১০ রকমের মাছ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর আজকে রেসিপি করেছেন। বাঁশে পুড়িয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি খেতে পারলে অনেক ভালো লাগতো। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমার তৈরি বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের রেসিপি আপনাদেরকে খাওয়াতে পারলেও আমি ভীষণ খুশি হতাম। কেন না রেসিপিটি একদম ভিন্ন ও ইউনিক রেসিপি ছিল। আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একটু সময় নিয়ে কি দারুন ভাবে এন্ট্রি নিলেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো। বা্ঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপি। এটা পুরা ইউনিক ছিল ভাইয়া। বাঁশে পোড়ানো খাবারগুলি অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে এবং একদম সূক্ষ্ম ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সত্যি এটা ভালো লাগলে এবং আপনার উপস্থাপনা আমার সবথেকে ভালো লাগলো। ভালোবাসা নেবেন ভাই
ভাই আমি একটু ইউনিক ভাবে ছোট মাছের ঝাল রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। আর তাই বাঁশে পুড়িয়ে মাছের রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। খেতেও বেশ মজার হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ রান্নার পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগে আমি কোনদিন এভাবে বাঁশের মধ্যে মাছ রান্না করে খাইনি। রান্নার এই ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাই আমিও আগে কখনো ছোট মাছ বাঁশে পুড়িয়ে এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাইনি। এই প্রথম খেলাম আর খেয়ে খুব তৃপ্তিও পেয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার বুদ্ধি আছে বলতে হয়। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে ১০ রকম মাছ দিয়ে এভাবে বাঁশে পুড়িয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু,, আমিও আগে কখনো 10 রকমের ছোট মাছ একসাথে রেসিপি তৈরি করে খাইনি। এই প্রথম মজার এই রেসিপিটি খেয়ে খুবই স্বাদ পেয়েছিলাম আপু।
১০ মিশালি মাছের ঝাল রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সাজেক বেড়াতে গিয়ে ব্যাম্বু চিকেন ও ব্যাম্বু বিরিয়ানি খেতেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর সেখান থেকেই এই মজার রেসিপি তৈরীর আইডিয়া পেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ব্যাম্বু চিকেন ও ব্যাম্বু বিরিয়ানি থেকেই আমি এই রেসিপি তৈরি করার ধারণা পেয়েছিলাম আপু। যাইহোক খেতে খুব মজার হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার আইডিয়াতো চমৎকার। আপনি খুব চমৎকারভাবে আজকে বাঁশে পুড়িয়ে ছোট মাছের ঝাল রেসিপি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। তবে এই রেসিপিটি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে। আর রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, ছোট মাছের ঝাল রেসিপিটি তৈরি করতে আমার অনেক অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। বিশেষ করে যখন অল্প আচে বাঁশটি পুড়িয়ে পুড়িয়ে রান্না করছিলাম, তখন খুবই সময় লেগেছিল। যাই হোক সময় লাগলে কি হবে খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।