ইয়াম্মি টেস্টের তরমুজের জুস || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদেরকে চট জলদি ইয়াম্মি টেস্টের তরমুজের জুস তৈরি করে দেখাবো। তার আগে আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা আলাপ-আলোচনা করতে চাই। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সকল প্রকার সবজি অথবা ফলমূলের একটা করে সিজন থাকতো। আর সেই সিজনেই দেখা যেত বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফলমূলের সমারোহ। সিজন শেষ হয়ে গেলেই আর সেই সবজি অথবা ফলমূলের পাত্তা পাওয়া যেত না। কিন্তু এখনকার সময় দাঁড়িয়ে কোন প্রকার সিজনের আশা করতে হয় না। সিজন ছাড়াই হর হামেশাই সব ধরনের ফলমূল অথবা সবজি কিনতে পাওয়া যায়।
তরমুজের এই সিজনে আমার ছেলে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খেয়েছে। তরমুজ তার একটি প্রিয় ফল। কোথাও কখনো তরমুজের নাম শুনলেই সে ভীষণ বায়না ধরে খাওয়ার জন্য। আমি ভেবেছিলাম তরমুজের সিজন তো শেষ এখন আর ছেলের বায়না পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সেদিন আমাদের রংপুর বিভাগে গিয়েছিলাম বিশেষ একটি কাজে। আর সেখানে গিয়ে পৌর বাজারে ঢুকতেই চোখের সামনে পেয়ে গেলাম টাটকা টাটকা তরমুজগুলো। আমিও মনের আনন্দে সেই টাটকা তরমুজ কিনে নিয়ে এলাম আমার ছেলের জন্য।
বাসায় এসে তরমুজটিকে যখন আমার ছেলের সামনে তুলে ধরেছি তখন আমার ছেলে সেই তরমুজটি দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিল। তার হাসিমাখা মুখ যেন সর্বদাই আমার কাম্য। যখনই সে তরমুজটিকে দেখেছে, তখনই তরমুজের জুস খাওয়ার জন্য বায়না ধরে বসলো। যদিও বা বাসায় বিট লবণ ছিল না তবুও ছেলের বায়নার জন্য হাতের কাছে যা ছিল তাই দিয়ে চট জলদি ইয়াম্মি টেস্টের জুস তৈরি করে দেয়া হয়েছিল। আর চট জলদি কিভাবে এই তরমুজের জুস রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | তরমুজ | ২৫০ গ্রাম |
২ | চিনি | স্বাদমতো |
৩ | গুঁড়াদুধ | পরিমান মতো |
৪ | লবন | ১ চিমটি |
" ধাপ : ১ "
" ধাপ : ১ "
বাজার থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর উপরে দেয়া চিত্রের মতো তরমুজ টিকে ছোট ছোট আকারে টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
" ধাপ : ২ "
" ধাপ : ২ "
এবার ব্লেন্ডার মেশিনটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
" ধাপ : ৩ "
এবার কেটে নেয়া তরমুজের টুকরো গুলো ব্লেন্ডার মেশিনে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৪ "
" ধাপ : ৪ "
এবার তরমুজের টুকরো গুলো ব্লেন্ডার মেশিনে ঢেলে দেয়ার পর, স্বাদমতো চিনি তরমুজের উপর ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
" ধাপ : ৫ "
এবার স্বাদমতো চিনি তরমুজের উপর ঢেলে দেয়ার পর, পরিমাণ মতো গুঁড়ো দুধ ও এক চিমটি লবন ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
" ধাপ : ৬ "
এবার গুঁড়ো দুধ ও লবন ঢেলে দেয়ার পর, সামান্য পরিমাণ পানি ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
" ধাপ : ৭ "
এবার পরিমান মতো পানি ঢেলে দেয়ার পর, ব্লেন্ডার মেশিনটির সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
" ধাপ : ৮ "
এবার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নেয়ার পর, ছাকনির সাহায্যে ভালোভাবে ছেকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ইয়াম্মি টেস্টের তরমুজের জুস রেসিপিটি।
" ধাপ : ৯ "
" ধাপ : ৯ "
এবার আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন ইয়াম্মি টেস্টের তরমুজের জুস।
আশা করি আমার তৈরি ইয়াম্মি টেস্টের তরমুজের জুস রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
" ধন্যবাদ সবাইকে "
" ধন্যবাদ সবাইকে "
রসালো ফল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তার মধ্যে তরমুজ অন্যতম।। আপনার প্রস্তুত করা জুস দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।
আপনার পোস্টটি দেখে মনে পড়ে গেল আমার ছোটবেলার কথা আমাদের বাড়ির পাশে একটি তরমুজ খেত ছিল আমরা বন্ধুরা মিলে সেখান থেকে মাঝে মাঝেই তর মুখ চুরি করে খেতাম 🤭🤭🤭
বাহ বেশ ভালো গল্প বললেন তো ভাইয়া, তরমুজ চুরি করে খাওয়া তাও আবার বন্ধুদের সাথে তাহলে তো এর মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগলো আপনাদের তরমুজ চুরির গল্প শুনে।
সেই দিনগুলো আবারো ফিরে পেতে চায় মন বারবার সেই দিনগুলো এখনো মিস করি সারাক্ষণ সেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া বন্ধুদের সাথে রাত-বেড়ার ঘোড়া বিভিন্ন মিশনে রাতে অভিযান চালানো হোক সেটা তরমুজ বা অন্যের মুরগি চুরি করা 🤭🤭🤭
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এদিকে এখন আর তরমুজ পাওয়া যায় না। আপনার আজকে তরমুজের জুসটি দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। তরমুজ খেতে আমার ছেলে মেয়ে ও খুব পছন্দ করে। অসময়ে আপনার তরমুজের জুস দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর করে আপনি তরমুজের জুস তৈরি করার প্রত্যেকটা ধাপ শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি জুস তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখনো অসময়ে প্রায় সব ধরনের ফলই পাওয়া যায় আর তাইতো তরমুজ পেয়ে আমার ছেলের জন্য ইয়াম্মি টেস্টের জুস তৈরি করতে পেরেছি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন, এখন সিজন বলে কোন কথা নেই,এখন মোটামুটি সবই পাওয়া যায়।আামর কাছেও তরমুজ খেতে ভালোই লাগে।এভাবে উপকরন দিয়ে জুস বানালে খেতে আরো ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে সব উপকরণ দিয়ে জুস তৈরি করলে সত্যিই খেতে দারুন লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া এখন আর শাকসবজির কোন মৌসুম নেই।এইত গ্রীষ্মকালেও ফুলকপি আর বাধাকপি দেখলাম।তরমুজের জুস এমনিতেই অনেক রিফ্রেশিং হয়,আপনি যেভাবে বানিয়েছেন তাতে স্বাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।ধন্যবাদ ভাই এমন একটি রিফ্রেশিং রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এভাবে আমার কখনো তরমুজের জুস খাওয়া হয়নি। কিন্তু তরমুজের জুস দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো লাগবে খেতে। বিশেষ করে গরমের সময় খেতে ভীষণ ভালো লাগবে। আপনি ঠিকই বলেছেন সিজন বলে বলে কোন কথা নেই। চাইলে যে কোন মৌসুমি যে কোন জিনিস পাওয়া যায়।
আমরা যখন ছোট তখন এক সিজনের জিনিস অন্য সিজনে পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন অনেকটাই যুগের পরিবর্তণ এসেছে। ভাবতেও ভালো লাগে সিজন ছাড়া এখন সব ধরনের ফল পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন যেকোনো সবজি বা ফলই বার মাসই পাওয়া যায়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে সিজনের জিনিস সিজনেই খাওয়ার অন্যরকম একটি মজা। যদিও এখনকার তরমুজ সিজনের তরমুজের মতই ভালো লাগে। আমিও সেদিন খেয়েছিলাম। খুব ভালো হয়েছে যে আপনার ছেলের পছন্দের ফল এখন সারা বছরই খেতে পারবে। ছেলে তরমুজের জুস খাওয়ার বায়না করেছে জন্য আমরাও খুবই সুস্বাদু একটি তরমুজের জুসের রেসিপি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু, আমার ছেলের প্রিয় ফলটি এখন সিজন ছাড়াই পাওয়া যাবে আর তাই মাঝে মাঝেই তাকে ফলের জুস তৈরি করে খাওয়াতে পারব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তরমুজের জুস অনেক সুন্দর এবং যত্ন সহকারে করেছেন তা আপনার পোস্টটি দেখেই বুঝতে পেরেছি। তরমুজের জুস টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি এবং মজাদার ছিল। এখনই এই তরমুজের জুস খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।