ববিতাবোবির বিয়েতে আমার কাটানো সময়টুকু
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি আমাদের কমিউনিটির @bobitabobi বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি। এইতো সেদিন ১৫ই মার্চ ববিতা ববির শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। আর এই বিয়েতে আমি দাওয়াত পেয়েছিলাম। বিয়ের দাওয়াত পেলে কার না ভালো লাগে বলুন। বিয়েতে এক দিকে যেমন আনন্দ করা যায় অন্যদিকে পেট ভোজনও হয়। আমার আবার বিয়েবাড়িতে খাওয়ার কথা শুনলে ভীষণ লোভ লেগে যায়। আর তাইতো যখন দাওয়াত পেয়েছিলাম তখন মনে মনে খুবই খুশিও হয়েছিলাম।
ববিতা ববি সম্পর্কে আমার ভাতিজি হয়। আমার বাড়ি আর তার বাড়ি পাশাপাশি। তার চেয়েও আরও একটি বড় পরিচয় আছে, আর তা হচ্ছে আমার ছেলে আয়ান সোনা, ববিতা ববির মাকে আম্মু বলে ডাকে। আমার অর্ধাঙ্গিনী যখন স্কুলে থাকে, তখন আমার আয়ান সোনার সমস্ত দেখভাল ববিতা ববির মায়ই করে থাকে। আমার আয়ান সোনা যতটা তার মামনিকে পছন্দ করে, ঠিক ততটাই ববিতা ববির আম্মুকেও পছন্দ করে।
আমার আয়ান সোনা যখন ববিতা ববির মাকে আম্মু বলে ডাকে, তখন অনেকেই আয়ানকে তার ছেলেই মনে করে। এদিক থেকে আমি সম্পূর্ণভাবে কৃতজ্ঞ ববিতা ববির মায়ের কাছে। বর্তমান সময়ে এমন স্নেহ ও ভালোবাসা কজনই বা দিতে পারে। আর এই ভালোবাসা হচ্ছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। যাক আমি বড় সৌভাগ্য করে আমার আয়ান সোনার আম্মুকে পেয়েছি। আর এই আয়ান সোনার আম্মু সম্পর্কে আমার ভাবি হন।
বিয়ের দাওয়াত পেয়ে আমি তো ভীষণ খুশি ছিলাম কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী স্কুল থেকে ছুটি না পাওয়ার কারণে খুশিটা যেন কিছুটা মলিন হয়ে গিয়েছিল। আমার অর্ধাঙ্গিনীর স্কুলে একজন শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন এবং আরেকজন ভীষণ অসুস্থ। যার কারনে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছুটে চেয়েও ছুটি পায়নি। যাক ছুটি না পেলে কি হবে, বিকেল বেলায় ববিতা ববিকে পার্লার থেকে আটা-ময়দা দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে আমার বাসায় নিয়ে এসেছিল। আর আমার বাসাতে এসে ববিতা ববির সমস্ত সাজগোজ ঠিক আছে কিনা তা বারবার লক্ষ্য করেছিল। এরই মধ্যে আমি ও আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে ববিতা ববির বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
আমার বাসায় বেশ কিছুক্ষণ থাকার পরে আমার অর্ধাঙ্গিনী ও আমার মেয়ে, ববিতা ববিকে সাথে করে তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছিল। আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে, ববিতা ববির বাড়ি পর্যন্ত পুরো রাস্তাটা তারা রঙিন আলোয় আলোকিত করেছিল। যার কারনে রাস্তাটি দেখতে ভীষণ সুন্দর লেগেছিল। আর এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ববিতা ববি ও আমার মেয়ের একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম স্মৃতি হিসেবে মোবাইল ফোনে রেখে দেয়ার জন্য।
আমার বাড়ি থেকে যাবার ঘন্টা খানিকের মধ্যেই বর এসে গিয়েছিল। আর বর আসার পর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা সকলে মিলে এবার পেট ভোজন এর জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছিলাম। আর বুঝেনি তো, পেট ভোজন মনেই লোভনীয় খাবার। তাই এই লোভনিয় খাবার গুলো দেখে ফটোগ্রাফি করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
যাইহোক এই ছিল আমার ববিতা ববির বিয়ের অনুষ্ঠানে কাটানো সময়টুকু, যা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা সকলে এই নব দম্পতির জন্য দোয়া করবেন, তারা যেন সুখে শান্তিতে সারাটি জীবন একসাথে পাড়ি দিতে পারে। আজ আর লিখছি না, আজকের মত এখানেই শেষ করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সকলেই খুব খুব ভালো থাকবেন।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।









ববিতা আপু সম্পর্কে আপনার ভাতিজি হয়, তা জানতাম না। আপনার ছেলের সাথে ববি আপুর মায়ের মা ছেলে সম্পর্ক শুনেও ভালো লাগছে। ববিতা আপুকে বেশি মিষ্টি লাগছে দেখতে। কিন্তু এর মাঝখানেই আপনি হালকা করে ধুয়ে দিলেন, আটা ময়দা নিয়ে 🤪।
আমি কেন ধুয়ে দেবো আপু, বিউটি পার্লারের মহিলাইতো ববিতা ববিকে আটা-ময়দা দিয়ে ধুইয়ে দিয়েছে।😁
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ববিতাবোবি অর্থাৎ আপনার ভাতিজির বিয়েতে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। দেখে বুঝতে পারছি মুহূর্তটা খুবই ভালোই উপভোগ করেছেন এবং বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। এটা জেনে ভালো লাগলো আয়ান সোনা ববিতাবোবির আম্মুকে মামনি বলে ডাকে। কারণ ও আম্মু স্কুলে যাওয়ার পর ওনার কাছেই থাকে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার কাটানো এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি।
আপনার মহামূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
উনার দাম্পত্যজীবন সুখের হোক এই কামনা করি৷ দাওয়াত পেলে সবারই ভাল লাগে,তা যাদি আবার বিয়ের দাওয়াত হয় তাইলে তো কথাই নেই।অনেক ভাল লাগল আপনার দাওয়াত এর পোস্টটি।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মাশাআল্লাহ দেখতে অনেক ভালো লাগলো ববিতা আপুকে। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল তাদের দাম্পত্য জীবন যেন অনেক সুখের হয়। ঠিক বলছেন বিয়ের বাড়িতে দাওয়াত হলে ভালো হয় ভালো করে ভুড়ি ভোজন হয়। আর আপুর গল্প শুনে তো অনেক ভালো লাগলো আপনার ছেলে অনেক পছন্দ করে। আমাদের সাথে এমুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, বিয়ে বাড়ি হলে ভুরি ভোজনটা বেশ ভালোভাবেই হয়ে যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
অনেক শুভকামনা রইল আপুর জন্য। সুন্দর ও সুখী জীবন হোক তার এই কামনাই করি।আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপুর বিয়েতে কাটানে মূহুর্তগুলো শেয়ার করলেন।খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনার অনেক অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কবিতা ববি আপু আমাদের সকলের প্রিয় এবং পরিচিত। উনার নতুন জীবন শুরু হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। পার্লার থেকে সাজিয়ে আনার পর আপনার স্ত্রী উনাকে ভালোভাবে খেয়াল করেছিলেন যে কোন সমস্যা আছে কিনা জেনে ভালো লাগলো। নতুন বউকে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। হয়তো স্কুল বন্ধ থাকলে কিংবা স্কুল থেকে ছুটি নিতে পারলে সময়টা আরো দারুন কাটতো। যাই হোক কি আর করার। অনেক সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক আনন্দ মিস হয়ে যায়। নতুন দম্পতির জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে দাওয়াত পেলে সবার কাছে ভালো লাগে। ওনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এই দোয়াই করি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার ভাতিজির বিয়েতে খুব আনন্দে কাটিয়েছেন। নতুন বউকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, বিয়েতে অনেক আনন্দ করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।