বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১৯... || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১৯...... উপস্থাপন করব। আপনারা অনেকেই জানেন আমি অসুস্থতার কারণে অনেকদিন প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করতে পারিনি। তাই আমার বাইক ট্যুর পর্ব শেষ করতে পারিনি। যাইহোক আজ আমি আমার বাইক ট্যুর পর্ব ১৯ উপস্থাপন করব। গত পর্বে আমি আর আমার অর্ধাঙ্গিনী সহ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ করেছিলাম সে বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছিলাম।
আমরা সাভার নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে, আমাদের নিজ জেলা কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আসলে বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। আমরা যেখানে ইচ্ছে স্বাধীন মত বিরতি নিতে পারছিলাম আবার যেখানে খুশি চা নাস্তাও করছিলাম। যা গাড়িতে করে ভ্রমনে বেরোলে কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। যাই হোক, আমরা স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে চলতে চলতে যমুনা সেতুর দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম।
চলতে চলতে আমরা যমুনা সেতুর টোল প্লাজা এসে টোল দিয়ে সেতুর দিকে আগাতে লাগলাম। সব সময় তো গাড়িতে করে যমুনা সেতু পার হতে হয়, কিন্তু আমরা সেদিন মোটরবাইকে করে যমুনা সেতু পার হচ্ছিলাম, তাই ভালো লাগাটা ছিল অন্যরকম। যমুনা নদীর ওপরে বইয়ে চলা ফুরফুরে হাওয়া, মাথার উপরে ঝকঝকে আকাশ, আর নিচে পিচ ঢালা যমুনা সেতু, এ যে কি মনোরম দৃশ্য যারা শুধু বাইকে করে যমুনা সেতু পার হয়েছে, শুধু তারাই উপলব্ধি করতে পেরেছে। আমরা বাইকে করে চলতে চলতে এবারও সিদ্ধান্ত নিলাম যমুনা সেতু পার হওয়ার পরে, বঙ্গবন্ধু ইকো পার্কে কিছুটা বিরতি নিয়ে তারপরে আবার আমরা কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হব। যাইহোক এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আমার মোবাইল ফোনে।
যমুনা সেতু পার হয়ে আনুমানিক ( ৪-৫ ) চার-পাঁচ কিলোমিটার পেরিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু ইকো পার্কে গিয়ে পৌছালাম। যদিও বা আমাদের জার্নি করতে করতে একদম নাজেহাল অবস্থা তবুও আমরা বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক দেখার সুযোগ টুকু হাতছাড়া করতে চাইনি। এই পার্কে আমি এর আগেও একবার এসেছি, কিন্তু তখন আমার অর্ধাঙ্গিনী সাথে ছিল না। তাই বিশেষ করে আমার অর্ধাঙ্গিনীকে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক দেখানোর জন্যই আমরা পার্কটিতে প্রবেশ করেছিলাম। পার্কটিতে প্রবেশ করতেই রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছগুলো দেখতে ভারী সুন্দর লাগছিল।
বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভেতরে এত সুন্দর সবুজ অরণ্য তা না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই হবে না। আমরা দুজনে মিলে মোটর বাইকটি নিয়ে এই সবুজ অরণ্যের ভেতরে অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করে সময় অতিবাহিত করেছি। তবে হ্যাঁ এই বাইকটি বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভেতরে প্রবেশ করানোর জন্য গেটম্যানকে ১৫০ টাকা বকশিশ দিতে হয়েছে। যাইহোক বকশিশ গেলে কি হবে, বাইকে করে এই সবুজ অরণ্য হারিয়ে যেতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
যেহেতু আমরা খুবই ক্লান্ত ছিলাম, সেহেতু পায়ে হেঁটে এই অরণ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে, আমরা হয়তো কখনোই যেতে পারতাম না। শুধুমাত্র বাইকটি ব্যবহার করার কারণে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেরিয়েছিলাম। আর ছুটতে ছুটতে আমরা একদম বঙ্গবন্ধু ইকো পার্কের শেষ সীমান্তে গিয়ে যমুনা সেতু দেখতে পেয়েছিলাম। আর এই যমুনা সেতু দেখতে পাওয়া নিয়ে আগামী পর্ব উপস্থাপন করব। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই লিখছি, দেখা হবে আগামী পর্বে।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১৯...... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.