পুজো পরিক্রমা ২০২১ : নবমীর ফটোগ্রাফি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
দক্ষিণ কলকাতা ঘোরার ইচ্ছেটা অবশেষে পূরণ করা গেলো মহানবমীর রাতে। দক্ষিণ কলকাতার পুজো গুলো একটু ভিন্ন ধরনের। উত্তর কলকাতা বা মধ্য কলকাতার থেকে প্রায় পাশাপাশি, ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত বড়ো পুজো। দক্ষিণে আবার এক্কেবারেই ভিন্ন, কিছু প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে ৫ কিলোমিটার পর্যন্তও দূরে যেতে হয়েছে। তবে সাথে স্কুটার বাইক থাকায় অল্প হেঁটেই পুজো পরিক্রমা করা গেছে।
বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের পুজো ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। বোসপুকুরের এবারের ভাবনা ছিলো, টার। ধূমপানের ফলে আমাদের শরীরে নানান কু প্রভাব পরে। যেমন সিগারেটের ধোঁয়ার ফলে টার নামক বিশেষ পদার্থ আমাদের ফুসফুসে জমে যায়, এই টার দীর্ঘদিন আমাদের ফুসফুসে জমে স্বাস্থ্যর হানী ঘটায়, এর থেকেই আমাদের সতর্কীকরণ করা হয়েছে। মন্ডপ তৈরী হয়েছে নারকেলের ছোবড়া আর কলকে দিয়ে।
রাজডাঙ্গা নব উদয় সংঘের এবারের ভাবনা ছিলো কোলাজ। ৩৭ তম বর্ষে পদার্পন করা নব উদয় সংঘ গ্রাম বাংলার পুজোর রীতিনীতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। গ্রামের মহিলাদের রীতি কোলাজ আকারে মণ্ডপের চারিদিকে আঁকা। কাঁশফুলের সাথে কলা বউয়ের স্নান শিল্পীর হাতে সবই ফুটে উঠেছিল। মা এখানে সাবেকি আনায় সুসজ্জিত।
কাউকে ছাড়াই আমাদের বাঁচা সম্ভব নয়। প্রত্যেক কর্মের সাথে জড়িত মানুষগুলির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের অস্তিত্ব টিকে আছে। যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লির এবারের ভাবনা অস্তিত্ব কে ঘিরেই। ৭২ তম বর্ষের পুজো কমিটি কৃষির সাথে জড়িত মানুষের অবদানকে কুর্নিশ জানাতে চেয়েছেন। কৃষক পরিবারগুলোর জন্যই আজ দু বেলা দু মুঠো অন্নের জোগাড় হচ্ছে, এইসব মানুষগুলোর কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানানো।
বর্তমান সময়ে মিডিয়ার প্রভাব অনেকটাই বেশি। প্রতিনিয়ত মিডিয়া আমাদের চিন্তা ভাবনার প্রভাব ফেলছে। আমাদের পরিচালনা করার চেষ্টা চলছে। অর্ধসত্য তুলে ধরছে মানুষের সামনে, আর এটাই ফুটে উঠেছে সেলিমপুর পল্লির মণ্ডপে। ভাবনার নাম বিতংস, যার আক্ষরিক অর্থ পশু পাখি ধরার ফাঁদ।
বাংলার নবজাগরণের ২০০ তম বর্ষপূর্তিতে বাঁবুবাগান দুর্গোৎসব কমিটির থিম ছিলো বাংলার নবজাগরণকে ঘিরেই। সেযুগের মনীষীদের নিয়ে লাইব্রেরির আকারে পুজা মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছিল। পুরো মন্ডপটিই ছিলো থার্মোকল আর শোলা দিয়ে বানানো। মা দুর্গা নবজাগরণের পাঠ হিসেবে আমাদেরকে পথ নির্দেশ দিয়েছেন। বাঁবুবাগান দুর্গোৎসব এবারে ৬০ তম বর্ষে পদার্পন করলো।
অতিমারি আমাদের দম্ভকে পর্যদুস্ত করেছে। নিয়তির কড়ালাঘাতে আমরা বন্দী। কিন্তু সবশেষে আমরা মানুষ, সর্বোত্তম জীব। আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। মায়ের আগমনেই হবে আমাদের উন্মোচন। হিদুস্তান পার্ক সার্বজনীনের এবারের ভাবনা ছিলো উন্মোচন।
দক্ষিণ কলকাতার পুজো আর একডালিয়া এভারগ্রিন ছাড়া হয় নাক! দক্ষিণ কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী পুজো এবার ৭৯ তম বর্ষে পা দিলো। একডালিয়া এভারগ্রিনে প্রতিবারেই থাকে চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা। তবে এবারে তা একটু ভিন্ন। কাল্পনিক মণ্ডপ জুড়ে জ্বলজ্বল করছিলো সাবেকি ধাঁচের মা দুর্গা।
মায়ের আঁচল হলো সবচাইতে নিরাপদ জায়গা। হাজার ঝড় ঝঞ্ঝা কেটে যায়। বিগত সময়ে করোনার প্রকোপে থেকে উদ্ধার একমাত্র মা দুর্গাই পারবেন। তাই হরিদেবপুর ৪১ পল্লির এবারের ভাবনা মায়ের ছোঁয়া। ৪১ পল্লির এবারের ৬২ তম বর্ষে পা দিলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
কি পরিমান টাকা যে খরচ করে সেটা আপনাদের পোস্ট না দেখলে বুঝতাম না সত্যি। এত সুন্দর লাগছে ইচ্ছে করছে একবার পূজা দেখতে হলেও ইন্ডিয়া যাওয়া উচিত।
দক্ষিণ কলকাতা ঘোরার ইচ্ছেটা অবশেষে পূরণ করা গেলো মহানবমীর রাতে,এটা ভালো লাগলো ভাইয়া ইচ্ছে পূরন হয়েছে।
হ্যাঁ। বাঙালি সেরা পুজো বলে কথা ভাই, টাকা জলের মতো খরচা হবেই।
আসলেই ভাই ঠিক বলেছেন❣️❣️❣️
এই ব্যাপারটা অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আসলে ভাবাই যাচ্ছেনা যে মানুষ কত গভীর ভাবে চিন্তা করতে পারে। আর ওই চিন্তাকে বাস্তবে কতটা নিখুঁত ভাবে রূপ দিতে পারে!!!
কতো ঘুরলেন! 😛
পুজোর সময়ে বেশিরভাগ ক্লাবের টার্গেটই থাকে ভালো কিছু করার। মানুষকে সচেতন করার। হ্যাঁ প্রচুর ঘুরেছি 😆
বাহ দাদা খুব উৎসাহের সাথেই তো ঘুরাঘুরি করছেন। বোস পুকুর শীতলা মন্দিরের পুজো র ৭২ বছর চলছে। এটা সত্যিই অসাধারণ। অনেক পুরাতন এখানকার পুজো বলতে হয়। আজকে প্রত্যেকটা পুজো প্যান্ডেলের থিম আমার খুব ভালো লেগেছে। এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো ছিল। এবং খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।।
১০০ বছরের বেশি পুরোনো মন্ডপ প্রচুর আছে। ধন্যবাদ 🤗
আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক ইউনিক এবং সুন্দর সুন্দর মন্দির দরশন করতে পারলাম।আমাদের দেশের গ্রামে বা শহরে এতো যাক জমক হয়না।ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা, আপনি নবমীর দিনে অনেকগুলো পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সত্যি কথা বলতে পূজা মন্ডপের ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো পূজামণ্ডপ দারুন ভাবে সাজানো হয়েছে।আর বোস পুকুর শীতলা মন্দিরের পুজো র ৭২ বছর চলছে। এটা সত্যিই অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটানো মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
৭ ঘন্টা টানা ঘুরে বেরিয়েছি 😆।
অনেক ভালো কথা বলছেন এবং নতুন কিছু জানতে পারলাম আপনার মাধ্যমে। অনেক ভালো লাগছে। অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ ছিল। আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছেন এটা খুবই ভালো লাগল।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
ভাইয়া আপনি নবমীর দিনে অনেকগুলো পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সত্যি কথা বলতে পূজা মন্ডপের ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো পূজামণ্ডপ দারুন ভাবে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে বোসপুকুর শীতলা মন্দির এবং রাজডাঙ্গা নব উদয় সংঘ পূজা মন্ডপের ফটোগ্রাফিগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো দাদা।
হ্যাঁ। প্রত্যেকটাই বেশ ভালো মণ্ডপ বানিয়েছে।
৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ঘুরে পুজো দেখা আসলেই অনেক খাটনির কাজ। যাই হোক আপনাদের কাছে স্কুটার ছিল বলে অনেক সহজেই এটি করতে পেরেছেন। পোস্টটি পড়ে যা বুঝতে পারলাম আজকে আপনাদের অনেক ধকল গিয়েছে ।যাইহোক এত পরিশ্রম করে পোস্টটি করার জন্য আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন পোস্টটি জাস্ট অসাধারণ ছিল শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আৰ মিলিয়ে ১১ কিলোমিটার হেঁটেছি। ৭০ কিলোমিটার বাইকে চালিয়েছি। তবে খুব আনন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই 🤗
শুভকামনা রইল আপনার জন্য ধন্যবাদ, পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল আশা করি ভবিষ্যতে এমন আরো পাব।
দাদা কলকাতার পূজা মানে সেরার সেরা। আলোর ঝলকানিতে মন ভরে যায়। সবগুলি প্যান্ডেল ও প্রতিমা খুব সুন্দর হয়েছে। তুমি দারুন ভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছো। সবগুলি প্যান্ডেলের উপস্থাপনাও দারুন ছিলো। বন্ধুদের সাথে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়ে পূজা দেখেছো। সত্যিই অতীব সুন্দর। শুভেচ্ছা নিও দাদা।
হ্যাঁ। বেশ ভালো হয়। ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ 🤗
আপনি নবমীর দিনে অনেক মন্ডপ ঘুরলেন তা ছবি দেখে এবং পোস্টটি পড়েই বুঝতে পারছি। আপনার ফটোগ্রাফীটা খুব বেশি ভালো লাগে আমার। আর আপনার লেখা ও একদম গুছানো।
ধন্যবাদ। নবমীতে বেশ হাঁটলাম।