ছয় মাস পর গ্রামের বাড়ির পথে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
প্রায় ছয় মাস পরে বাড়ি যাবো। রাতের ট্রেন। যেহেতু হঠাৎ করেই বাড়ি আসাটা ঠিক হয়েছে সেজন্য সকাল থেকেই খুব কাজের চাপ ছিলো। অনেক কাজ মিটিয়ে গুছিয়ে তবেই নিশ্চিন্তে বাড়ি যাওয়া যাবে। তাই খুব সকাল সকাল কাজে চলে এসেছি, হাইকোর্টের দিকটাতেও যেতে হবে একটু। আশীষ ছিলো বলেই শান্তি, বাইকে করে বেরোনো গেলো।
ব্যাংকের কাজকর্ম মিটিয়ে হাইকোর্টের দিকে এগোলাম। ঠিক হাইকোর্টে কাজ ছিলো তবে হাইকোর্টের ঠিক পাশেই সিটি সিভিল কোর্টে।
বিকেলের দিকে যখন ক্লায়েন্ট অফিসে ঢুকলাম, বৃষ্টির বেগ আরো বাড়ছিলো সাথে আমার চিন্তা। অন্যদিকে মন না দিয়ে কাজটাতেই বেশি মনোযোগী হলাম। কাজ মেটাতে মেটাতে সন্ধ্যা হয়েই গেলো, এদিকে আমার বেরোনোর সময় হয়ে গেছে। বৃষ্টি কম আছে দেখে আমি বেরোতে যাবো, এমন সময় ক্লায়েন্ট কিছু কাগজপত্র হাতে ধরিয়ে সেগুলো সর্ট আউট করে দিতে বললো। আমি পড়লাম মহা ফ্যাসাদে। আমার ট্রেনের কথা বলতে ছাড়া পেলাম, তবে চা খাইয়ে কাজ করিয়ে তবেই ছাড়লো।
দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে বাসের স্টপেজে এলাম, এদিকে আবার টিপটিপ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। আমি বেগতিক বুঝলাম। গাড়ি বদলে বদলে এসেও জ্যামের জটিলতায় সাড়েসাতটা বেজে গেল। বাড়ি ঢুকেই ঝড়ের বেগে জামাকাপড় গুছিয়ে তবেই ক্ষান্ত হলাম।
ট্রেন সেই ১০ টা বেজে ১৫ মিনিটে। বৃষ্টির কারণে একটু আগেই বেরোতে হলো, ভাগ্যিস হাতে একটু সময় নিয়েই বেড়িয়েছিলাম। ৪৫ মিনিটের রাস্তা ৬০ মিনিট লাগলো, স্টেশনে এসে পৌছালাম তখন বাজে ৯:৩৫। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, কোনোমতে ছাতার ভরসায় কাঙ্খিত প্লাটফর্মে পৌঁছানো গেলো। ট্রেনে উঠে বসলাম, ব্যাগ পত্র গুছিয়ে বাইরে এসে কিছুক্ষন দাঁড়ালাম। একটু পরেই ট্রেনের বাঁশি বাজলো, ট্রেন ছাড়বে।
এবার বাড়ি যাবার পালা...
খুব সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় আপনার পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন ভাই।অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন আপনি।চায়ের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির মধ্যে চা, দারুন লাগে। ধন্যবাদ ভাই 🤗
সারাটা দিন আপনে খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছেন। আশা করি সুস্থ এবং ভালোভাবে বাসায় ফিরবেন। শুভ কামনা রইল।
ব্যস্ততা শেষ হয় না ভাই! কবে যে একটু ঘুমাবো 😆
🤔🤔আপনে কি তার মানে ঘুমান না?
ঘুমাই, তবে ৫ ঘন্টার বেশি হচ্ছে না। যখনই শুতে যাই, ৫ ঘন্টা পরে ঘুম ভেঙে যায় 😭
😥😥কি আর করবেন। ব্যস্ততম জীবন। কষ্ট শিকার করতেই হবে।
ওইযে ঐদিন ট্রেনে বসে ছিলেন না, মেসেজ পড়ছিলেন। ওই দিনের কথাই তো তাই না।
আপনার এই মাটির পাত্রে চা খেতে দেখলেই আমার খুব লোভ লাগে কারণ আমার কখনো খাওয়া হয়নি।
ভালোই ব্যস্ত আজকাল তা বুঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ, রাতের দিকে ট্রেনে উঠলাম আর সবাইকে কাশির আওয়াজ শুনিয়ে দিলাম। লোল 😆
নিম্নচাপের কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশসহ রয়েছে তাই হালকা বৃষ্টি এখানেও হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আপনার কাজটি হলো না এবং আরেকবার যাওয়া লাগবে এটি দুঃখজনক। তবে দিনটি অনেক চমৎকার ছিল এবং বর্ণনা টা খুব সুন্দর লেগেছে।
এবার যেন বর্ষা থামতেই চায় না, গ্রামের দিকে চাষ আবাদে বৃষ্টির দরকার তবে শহর ডুবে যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আমার পোস্ট পড়ার জন্য