এলোমেলো আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,

আপনাদের সামনে আজ ফের এক খানা ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে পড়লাম। জানিনা কেন ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে আমার বেশ ভালোই লাগছে। নিজের ছবিগুলোকে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে পাচ্ছি সেই সাথে ছবি তোলার বাহবা নিজেকে দিতে পারছি, হাঃ হাঃ। জানিনা ছবি গুলো কেমন হচ্ছে, হয়তো কিছু ভালো আর কিছু খারাপ তবে ছবি ভাগ করে নিতে পারছে এটাই অনেক আনন্দের। খারাপ লাগলে আপনারা সেটা কমেন্ট বক্সে এসে আমাকে জানাতে পারেন। আজ আমি বছরের বিভিন্ন সময়ের তোলা কিছু ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যেগুলো কখন ঘুরতে গিয়ে তোলা আবার কখনো পথ চলতে।



PXL_20240114_153919782_copy_859x1208.jpeg

ধান্যকুড়িয়া গ্রাম, কলকাতার পাশেই এক অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু গ্রাম। যেখানে আমি গিয়েছিলাম মার্চ মাসের দিকে। ধান্যকুড়িয়া গ্রামের মোড়ে নেমে তখন রাস্তার পাশে পেয়েছিলাম গায়েনদের বাগানবাড়ি। যদিও ভেতরে ঢোকা নিষেধ এবং বাগানবাড়িটি বর্তমানে প্রায় ভগ্ন তবে গায়েনদের বাগানবাড়ি ঢোকার মুখেই বিশাল বড় বড় গম্বুজ সহ একটা লোহার মরচে পড়া দরজা এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাগানবাড়ির এই গম্বুজটি ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ যেখানে দুই ব্রিটিশ এক সিংহের সাথে লড়াই করছে।


PXL_20240120_174359797_copy_1209x907.jpg

কলকাতা বইমেলা পৃথিবীর অন্যতম সুপরিচিত বই মেলা গুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর কলকাতায় হওয়া বইমেলায় অনেক ধরনের স্টল দেখতে পাবেন। সেখানে কিছু স্টলে মানুষের ভিড়ে পা রাখবার জায়গা থাকে না, আর কিছু স্টল থাকে একদমই ফাঁকা। সেরকম এক স্টলের সামনে দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিলাম তখন পাঠক হীন এক বই বিক্রেতাকে দেখতে পাই মন দিয়ে বই পড়ছে। দেখে অল্প মায়া হলো, সেই সাথে মানুষটির বইয়ের প্রতি ভালোলাগা আমাকে বেশ নাড়া দিলো।


PXL_20231216_155120667_copy_1209x907.jpg

পথ চলতি অবস্থায় অনেক সময় আমরা আমাদের চারপাশ না দেখে হেঁটে চলে যাই। আমিও চারপাশে না দেখে হাঁটতে থাকি। একদিন কাজে বেরিয়ে বিধাননগরে হারিয়ে গেছি। দুপুর বেলায় রাস্তায় কি করব, চারপাশে তাকিয়ে দেখি আটো নেই এমনকি জনমানুষ টুকুও নেই। ম্যাপ দেখে হাঁটছি, তখন এক দারুন সুবাসে দাঁড়িয়ে পড়লাম। তাকিয়ে দেখি কাঠ মালতি ফুল।


20240128_125821_HDR_copy_936x1248.jpg

বিষ্ণুপুরের শ্যাম রাই মন্দিরটি 'পঞ্চরত্ন' বা 'পাঁচ চূড়া' বিশিষ্ট মন্দিরের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে মল্ল রাজা রঘুনাথ সিংহ এই শ্যাম রাই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমান সময়ে বিষ্ণুপুরের যতগুলো টেরাকোটার মন্দির রয়েছে তার সবচাইতে সুন্দর ভাষ্কর্য দেখতে পাওয়া যায় শ্যাম রাই মন্দিরে।


PXL_20230917_164508540_copy_2016x1512.jpg

শীতের একদম শেষ প্রান্তে বাবা বিশ্বকর্মা আসেন আমাদের পুজো নিতে। যখন বছরের মোটামুটি সব পুজো পার্বণ শেষ হয়ে যায়। সেই সময়ে মানুষজন কদিন ঘুড়ি ওড়াতে খুব পছন্দ করে। আর শীতকাল হওয়ার জন্য আবহাওয়া খুবই মনোরম। সেই সময় থাকে ছাদে গিয়ে হালকা সূর্যের তাপ নিতে নিতে ঘুড়ির লড়াই দেখছি।


ক্যামেরা: LGE LM-G850
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, ভারত



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে কিছু এলোমেলো আলোক চিত্রের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বিষ্ণুপুরের শ্যাম রাই মন্দিরটি। এত সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বর্ণনা দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 months ago 

ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। তাইতো আমি বাহিরে গেলেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করে থাকি। যাইহোক আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে দাদা। বিশেষ করে প্রথম এবং চতুর্থ ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো সব সময় আমার কাছে ভালো লাগে, সেটা এলোমেলো হোক আর সুশৃংখল হোক। দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির মধ্যে একটা গাম্ভীর্য লুকিয়ে আছে যাহা আমাকে বিমোহিত করেছে। তবে মন্দিরের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69431.83
ETH 2486.70
USDT 1.00
SBD 2.55