১৫-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // মুরগির মাংসের রেসিপি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
১-লা সেপ্টেম্বর, ২০২১
নমস্কার,
কয়েকদিন ধরেই মনটা উশখুশ করছিল, সপ্তাহের মাঝে কোনো একদিন মাংস খাওয়া। ঢিলেমি ছেড়ে আজকে তাই সকাল বেলাতেই মুরগি আনতে ছুটলাম। আমি ছোটখাটো দেখে একটা দেড় কিলোর মুরগি কিনলাম। আজকে পুরোটা না লাগলেও রবিবারে কাজে লেগে যাবে। আর বেশি কিছু না বলে চলুন এবারে রান্না শুরু যাক।
প্রথমে রান্নার উপকরণ গুলো দেখে নেওয়া যাক।
- ৮০০ গ্রাম মুরগির মাংস
- ৪ টে মাঝারি সাইজের আলু
- ২০০ গ্রাম পেঁয়াজ
- ৫০ গ্রাম রসুন
- ২৫ গ্রাম আদা
- ১ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ লংকার গুঁড়ো
- ২ টেবিল চামুচ নুন
- ৬ টা তেজপাতা
- ১৫০ গ্রাম সাদা তেল
প্রথমে মাংস বেছে ধুঁয়ে একটা পাত্রে নিলাম। চারটে আলুর খোঁসা ছাড়িয়ে দুফালি করলাম। পেঁয়াজ লম্বা লম্বা কেটে এবং আদা-রসুন ছাড়িয়ে সব হাতের কাছে নিয়ে নিলাম।
এবার চলুন যাই আমাদের মূল রান্নায়।
- (১) প্রথমে মিক্সার গ্রাইন্ডারে রসুন আর আদা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিলাম।
- (২) এইবারে সমস্ত পেস্ট মাংসের উপরে ছড়িয়ে দিয়ে তাঁতে নুন, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লংকার গুঁড়ো আর তেজপাতা দিয়ে দিলাম তারপর ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট হবার জন্য রেখে দিলাম।
মশলা দিয়ে দিলাম
সব মাখিয়ে নিলাম
- (৩) হাত ভালো করে ধুয়ে মুছে, ইন্ডাকশন ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে অল্প তাঁতিয়ে নিয়েই তাতে পুরো তেলটা ঢেলে দিলাম।
- (৪) তেল একটু গরম হলে সমস্ত আলু গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিলাম। আলুর রং অল্প বাদামী হতেই তুলে একটা পাত্রে রেখে দিয়েছি।
- (৫) এইবার মেরিনেট হয়ে যাওয়া মাংসটা পুরোটা কড়াইতে দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দিলাম।
- (৬) মিনিট পাঁচেক এভাবে থাকার পর লিড খুলে দিলাম। পেঁয়াজ সমস্ত জল ছেড়ে দিয়েছে, তাই আলাদাভাবে জল দিলাম না। ভালোকরে মাংসটা ঘেঁটে দিয়ে আগে ভাজা করে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিলাম। আবার লিড লাগিয়ে দিলাম।
- (৭) কিছুক্ষন পর পর ঢাকনা খুলে মাংসটা ভালো করে ঘেটে দিচ্ছিলাম।
- (৮) মিনিট ২০ পর এরম করার পর দেখলাম মাংস তেল ছেড়ে দিয়েছে জল প্রায় শুকিয়ে গেছে। আমাদের মাংস কষে
গেছে। এরপর চার কাপ জল কড়াইতে ঢেলে দিয়ে আঁচটা কমিয়ে দিলাম। এরপর আর ঢাকনা লাগায়নি। আমি অল্প মাংসের ঝোল রাখবো।
- (৯) আরো মিনিট পনেরো অল্প আঁচে ফোটার পর ঝোল অনেকটা গাঢ় হয়ে গেছে। ঝোলটা অল্প মুখে নিয়ে নুনটা দেখে নিলাম। এবারে মাংস গুলো খুন্তি দিয়ে টিপে দেখলাম পুরো নরম হয়ে গেছে।
- (১০) ওভেনটা অফ করে গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে ঘেঁটে দিলাম। তারপর মিনিট পাঁচেক কড়াইয়ের ঢাকনা লাগিয়ে রেখে দিলাম। ব্যাস আমাদের মুরগির মাংস তৈরী।
আমার রন্ধন পদ্ধতি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
মুরগির মাংসের ভুনা আমার অনেক পছন্দের, আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আমার জিবে জল চলে আসেছে একদিন দাওয়াত দিয়ে খাওয়াইয়েন
অবশ্যই। তোমারা বাড়ির লোক, আর বাড়ির লোককে কি আলাদাভাবে নেমতন্ন দিতে হয় নাকি!
একটা ভালো idea দিয়েছ ভাই। একদিন মুরগির ভুনা বানাতে হবে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক ভালো রান্না করতে পারেন আপনি, খুব সুন্দর হয়েছে। মুরগির মাংস একটু ঝাল ঝাল হতে বেশী স্বাদের হয়।
আপনার মতো পারি কই দিদি। সবে মাত্র হাতেখড়ি হচ্ছে।
অসম্ভব একটা টেস্টি রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। এটি বাঙালির খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঙালির খাসি পছন্দ ভাই। মুরগি গরিবের খাবার
মুরগির মাংস হলে আমার আর কিছু লাগেনা আমি একসাথে বসেই 2-3 প্লেট ভাত খেতে পারি। রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
দারুন। আমিও একসময় ২-৩ প্লেট খেতে ফেলতাম। এখন একটু দ্বিধা হয়। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য
আপনার রান্নাটা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই! চেষ্টা করছি কিছুদিনের মধ্যে আরো ভালো হবে আশাকরি
পোস্ট টা ভালোভাবে পড়ে গঠনমূলক বা বিশ্লেষণধর্মী একটি মন্তব্য করুন। এই ধরনের ছোট কমেন্ট কমিউনিটিতে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। আপনি একজন স্প্যামার হিসেবে গণ্য হবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কলকাতার রান্না গুলোর প্রতি আমার কেনো জানিনা একটা আলাদা আকর্ষণ কাজ করে।আমি যে কোনোদিন খেয়েছি তাও কিন্তু একদম ই নয়!
তাও কেনো জানি খুব খেতে ইচ্ছে করে।বিশেষ করে এভাবে আলু ভেজে এরপর মাংস রান্নাটা আমার বেশ লাগে।
আমার ঠাকুরমা দিদা সবাই তো এভাবেই রান্না করত। একজন রাজশাহীর আরেকজন বিক্রমপুরের। আগে যদিও মাংস হতো না তবুও যেকোনো সবজি ভেজেই রান্না হয়। হালকা ক্রিসপি হয় দারুন লাগে।
হ্যা তবে আমি তো চট্টগ্রামের।এমন করে রান্না হয়না খুব একটা বেশি।আমি ইউটিউবের ভিডিও গুলো দেখি এইযে কলকাতার রান্নার।ওইখান থেকেই জানা যে এভাবে ভেজে রান্না করে।
আমার ও খাওয়ার ইচ্ছা এভাবে।তবে বাড়িতে হয়না আর আলসেমিতে নিজের ও করা হয় না।
রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক লোভনীয়
খেতেও মন্দ হয়নি।
এই ধরনের কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এই ধরনের কমেন্ট কে স্পামিং বলা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বন্টন পদ্ধতি এককথায় অসাধারণ ছিল। মুরগির মাংস আসলে যেন জিভে জল চলে আসে। আজ মুরগির মাংস দিয়ে খেলাম খুবই সুস্বাদু হয়েছে আমার আম্মু রান্না করছেন এবং আপনার টা দেখি আরো ভালো লাগছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়েছে এককথায় মুরগির মাংস দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়
কি যে বলেন দাদা। আপনার মায়ের তো আমার সম্ভব না। মায়ের হাতের স্বাদই আলাদা। কোথায় আমি নতুন শিখছি উনি ১০-১২ টা রান্নার PhD করব ফেলেছেন। 😇
দাদার রান্নাটা আমাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। বেশ ভালই রান্না করতে পারেন বোঝা যাচ্ছে। মুরগির মাংসের চেহারাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছে। পোস্ট টা বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা।
শিখছি দাদা। এতো মানুষজন ভালো ভালো রাঁধেন যে রান্না না শিখে পারা যাচ্ছে না।
খেতে ভালোই হয়েছিল। সুসিদ্ধ মাংস আর নুন ঝাল টাও ঠিক ছিল। আরেকভাবে করতে পারি। সেটা একদিন করবো