ইমামি জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে!
নমস্কার বন্ধুরা,
ক্ষীরাচোরা গোপীনাথ মন্দির থেকে বেরিয়ে আমার পরের গন্তব্য ছিলো ইমামি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন ক্ষীরাচোরা মন্দির রেমুনা শহরের মন্দির চক মোড় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ভেতরে তাই মন্দির থেকে বেরিয়ে ভর দুপুরে মূল রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার কোনো যানবাহনই পেলাম না। যেহেতু আমার ইমামি মন্দির মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে তাই ভাবলাম ক্ষীরাচোরা মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অটোগুলোকে ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করে দেখি। ভাড়া জিজ্ঞেস করে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার পরিস্থিতি হলো। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ৫০০ টাকা দাবি করে বসলো, অগত্যা উপায় না দেখে হাঁটতে শুরু করলাম। প্রভু জগন্নাথকে কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে মনের শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল, ২ কিলোমিটার পথ খুব অনায়াসে হেঁটে রেমুনা মন্দির চকে পৌঁছলাম। মন্দির চকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেই ইমামি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার বাস পেয়ে গেলাম।
বাসে উঠতে না উঠতেই মন্দির চলে এলো। বাস থেকে নেমে পড়তেই চোখ পড়লো বিশালাকার মন্দিরটিতে।বালেশ্বর শহর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে থাকা ইমামি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরটি ইমামি সংস্থা বানিয়েছে। মূলত রেমুনা শহরের পার্শ্ববর্তী জায়গায় ইমামি সংস্থা নিজেদের কাগজের কারখানা তৈরি করার পরে গড়ে ওঠে নতুন এক জনবসতি, ধীরে ধীরে সেখানে স্কুল, হাসপাতাল সবই ইমামি সংস্থা তৈরি করে। তাতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে জগন্নাথ মন্দিরটি। ২০০৯ সালে ইমামি জগন্নাথ মন্দির তৈরীর কাজ শুরু করে যা ২০১৬ সালে পূর্ণ হয় এবং সর্ব সাধারণের জন্য খুলে যায়। পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়া শ্রী রঘুনাথ মহাপাত্র এই মন্দিরটির স্থাপত্য শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। উনি কোণার্ক সূর্য মন্দির এবং শ্রী জগন্নাথ দেবের নন্দী ঘোষ রথের অনুকরণে মন্দিরটির নকশা বানান।
যখন পৌঁছেছিলাম তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল সেই জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ ছিলো। তবে মন্দিরের বাকি অংশটা খোলা থাকার জন্য ঈশ্বরের দর্শন না পেলেও মন্দিরটা ঘুরে নিয়েছিলাম। মন্দিরে প্রবেশ করার পূর্বে পা ধুয়ে ঢুকে পড়লাম। আহা! কি সুন্দর।
মন্দিরের চারিদিকে চারটি দরজা। সিংহদ্বার দিয়ে ঢুকেই পেলাম গরুড় স্তম্ভ যেটা প্রধান দ্বারকে প্রজ্জ্বলিত করে রেখেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অটোওয়ালারা সুযোগ বুঝে মাঝেমধ্যে এমন কাজটা করে। আপনি প্রথমে ২ কিলোমিটার হেঁটে এবং পরবর্তীতে বাসে চড়ে ইমামি জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছেন,এটা খুবই ভালো হয়েছে। যাইহোক মন্দিরটা আসলেই খুব সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি মন্দির ভ্রমণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই মন্দির ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে পেরে। যেখানে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেছিল, বন্ধ ছিল, পা ধুয়ে উপস্থিত হলেন। এ সমস্ত কথাগুলো যেন একটু ভালো লাগার ছিল। যাই হোক অচেনা একটি মন্দির সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম।