পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো বাজির বাজার, চম্পাহাটি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)



নমস্কার,

আরেকটা দিন গেলেই কালীপুজো। কালীপুজো ও দীপাবলি একই দিনে। আর কালীপুজো মানেই বাজি ফাটানো। আমি খুব একটা বাজি পছন্দ করি না, আসল কথা বলতে আমার একটু ভয় লাগে 😅। আর কালী পুজোর বাজি কিনতেই কলকাতা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েছিলাম চম্পাহাটিতে। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় বাজি বাজারে। খোলা মার্কেটের থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ দাম কম।


চম্পাহাটিতে | w3w

শুরুটা তাহলে শুরু থেকেই করি। ধনতেরাসে অফিসে পুজো দিয়ে ফেরার আগে বাজি কেনা নিয়ে কথা হচ্ছিলো, এবারে বাজারে বাজি অমিল, কোথায় কেনা যেতে পারে এইসব নিয়ে। কথায় কথায় চম্পাহাটি যাওয়ার কথা হলো, তবে যাওয়া হবে কিনা ভোর বেলায় স্থির হবে।


ভোর ৪ টা বেজে ২০ মিনিটে ফোন এলো, চম্পাহাটি যাওয়া হবে। ৫ টার মধ্যেই বেরিয়ে পড়তে হবে। গন্তব্য বেশ অনেকটাই দূরে। দুখানা বাইকে দুজন ইএম বাইপাস ধরা হলো। ছুটে চলা শহরের সকালটা বেশ শান্ত।


ভোরের শহর | w3w

কলকাতা থেকে ৪৫ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে যখন পৌঁছানো হলো ততক্ষণে প্রায় সব দোকান পাট খুলে গেছে। বড়বড় দোকান, শুধুই বাজি, আমার তো দেখেই চক্ষু চরকগাছ। বাজি এত প্রকারের হয় তা জীবনে প্রথমবারের জন্য চাক্ষুষ করলাম।


বাজির দোকানে | w3w


বাজির গাদায় | w3w

চারিদিকে শুধু বাজি। এখানেই সারা বছর ধরেই বাজি মেলে। আমার দিব্যি লাগলো ব্যাপারটা। আমরা যখন চম্পাহাটিতে পৌঁছেছি, তখনই টুকটাক খদ্দেরের আনাগোনা হয়েছে, যা বুঝলাম বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ভীড় বাড়বে। তাই আগেভাগেই বাজার সেরে ফেলার তাড়া।

আমি এমনিতেই বাজি ফাটাই না, তবে পছন্দের বাজি বলতে গেলে ওই আতশবাজি। শব্দবাজি আমার মোটেই পছন্দ নয়। আমি পটাপট কয়েক ধরনের তুবড়ি কিনে ফেললাম।


এবছরের সংগ্রহ | w3w

হুটোপুটি করেও বাজার শেষ হতে ৯ টা বেজেই গেলো। ফেরার পথে পেটাই পরোটা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারলাম। আহা!ভোরবেলায় বেরিয়ে এ যেন অমৃত।


পেটাই পরোটা


বাড়ি যখন ফিরলাম চোখ বুজে আসছিলো। শারীরিক ধকল খুব গেছে, তবে ধকল হলেও আমি এসব সুযোগ ছাড়ি না। প্রতিবছর একটা করে নতুন উইকেট পড়ছে, আর উইকেট পড়লেই বাড়িতে আটকে যায়। আমি যদিও সবচেয়ে শেষে এসেছি তাই সবার সাথে অতোটা সখ্যতা হয়তো নেই তবে গ্রুপটা যেন ক্রমশ ছোটো হয়ে যাচ্ছে। সবাই বড়ো হয়ে গেছে। এই মুহূর্ত গুলোই বেশি উপভোগ করি। এজন্যেই হয়তো এত দূরে আসা...



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 3 years ago 

জীবনে প্রথম দেখলাম এত বড় একটি বাজির দোকান। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এই বাজির দোকানে গিয়েছেন ভাই।
কোনো কোনো দিনগুলো কষ্ট করলেই রাতে আমাদের অনেক সুখ আসে।
তেমনি আপনি সারাদিন কষ্ট করে বাজি নিয়ে গিয়ে রাতে অনেক আন্দের মাঝে ছিলেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া,❤️❤️

 3 years ago 

রাতে শুধু ঘুমিয়েছি! শান্তিই শান্তি। 🤗😶

 3 years ago 

কালীপূজায় এবং দীপাবলিতে বাজির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা না হলে যেন পুজো মনে হয় না। 45 কিলোমিটার দূরে বাজে কিনতে যাওয়ার তাও আবার বাইক চালিয়ে অনেক বড় একটি ব্যাপার। সাবধানে বাজিগুলো ফাটাবেন দাদা।

এই পেটাই পরোটা কি??

 3 years ago 

ওই আরকি! সবার সাথে যাওয়াটা বেশ ভালো লাগলো।

পেটাই পরোটা হলো পরোটা টা বানিয়ে পিটিয়ে মোলায়েম বানায়। গ্রাম হিসেবে বিক্রি হয়।

 3 years ago 

😳😳

 3 years ago 

বাজি কিনতে অনেক দূরের পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। বাইক নিয়ে অবশ্য দূরের পথ পাড়ি দিতে মজাই লাগে।বাজিরও যে হাট হতে পারে তা আপনার পোস্ট না দেখলে বুঝতাম না। আপনার মূহুর্তগুলো সবসময় এমনই কাটুক।

 3 years ago 

আলাদা বাজারই আছে, সারাবছর থাকে। মানুষজন সারাবছরই বাজি কিনতেও আসে। ধন্যবাদ 🤗

 3 years ago 

এত বড় বাজির দোকান আমি আগে কখনো দেখিনি । দেখে ভাল লাগল। সারা দোকান ভর্তি শুধু বাজি আর বাজি। বাজি ফোটাতে ভালই লাগে। আমার ঈদের সময় বাড়িতে গেলে তখন বাজি ফুটাই। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনার একটু ধকল গেলোও খারাপ যায়নি দিনটি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

এটাতো তো একটাই দোকান, এরম দোকান আরো কমপক্ষে ২০০ খানা ছিলো। ধন্যবাদ 🤗

 3 years ago 

শুরুতে শুভ দিওয়ালীর শুভেচ্ছা দাদা।বাজি কিনতে গিয়ে তো বাজি মাত করে ফেলেছেন।অনেকটা ঘুরাঘুরি করেছেন। এমন বাজির দোকান আমি কখুনো দেখি নাই।

 3 years ago 

কালীপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা রইলো। আমিও বাজার দেখে অবাকম ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

সবার প্রথমে আমি খুব দুঃখিত জয়েন করতে না পারার জন্য। আমি জানি অনুভূতিটা খুবই সুন্দর। আমি প্রত্যেক বছরে গিয়ে থাকি। আশা করি তোমার অভিজ্ঞতা টা খুব ভালো হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ঘটনাটা টাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 3 years ago 

তোমার দুঃখের শেষ হবে আর! আমার তো সেরা লাগলো, তুমি গেলে আর ভালো হতো। 🤗

কালী পুজো আর দীপাবলি উপলক্ষে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনি আপনার উৎসবকে সামনে রেখে ভোরে বেলা ঘুম থেকে উঠে কলকাতা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে চম্পাহাটিতে এত দুরের পথ অতিক্রম করে গেছেন বাজি কেনার জন্য তবে একজন ধর্ম প্রিয় মানুষ বা উৎসব মুখর মানুষের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। যাই হোক সারাদিনের ক্লান্তি আর গ্লানি শেষে সন্ধ্যায় দীপাবলির অগ্নি দেয়ার মাধ্যমে আপনার ক্লানি কাটুক। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। অনেকদিন ধরেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। সুযোগ পেলাম আর চলে গেলাম।

 3 years ago 

আসল কথা বলতে আমার একটু ভয় লাগে

কলকাতা গেলে কাওকে ভয় দেখানোর জন্য হলেও বাজি কিনতে হবে দেখছি। 🤪ভয় লাগাতে আবার বেশ আনন্দ লাগে আমার।
ব্রেকফাস্ট এর ছবি দেওয়াটা ভারি অন্যায় হয়েছে। আমার ও খেতে ইচ্ছে করছে।বাজির দোকান যে এতো বড় হয় তা আমার ধারণাতেই ছিলোনা।

 3 years ago 

এসব কিন্তু ঠিক না। তাছাড়া বাজি ফাটিয়ে আমার ভয়টা কেটে গেছে 😆।

ভারী অন্যায়ই বটে 😛

একটা সময় ছিলো যখন আমার বন্ধুরা মিলে অনেক বাজি কিনতাম এরপর রাতে সবাই মিলে ছাদে উঠতাম।ছাদে উঠার পরে অনেক ধরণের বাজি সব একসাথে জ্বালাতাম। অনেক পুরনো অনেক কিছু মনে পরলো আজকে। আমাদের দেশে মনে হয়না এতো বড় বাজির দোকান পাওয়া যাবে।

 3 years ago 

জায়গাটায় শুধু বাজিই পাওয়া যায়। তোমরা তাহলে তো আর বাজি ফাটাতে পারো না ভাই! 😥

 3 years ago 

শুভ দীপাবলি দাদা।চারিদিকে শুধু বাজির সমাহার।দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।তাছাড়া বাজির প্যাকেটগুলি আমার কাছে ধূপের প্যাকেটের মতো লাগছিল।ভিডিওটি ভালো ছিল।সুন্দর সময় কাটান বন্ধুদের সঙ্গে এই কামনায় করি,ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

ধন্যবাদ বোন! বাজি না ফাটালে কালী পুজো হয়! আমি অনেকবছর পরে বাজি ফাটালাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57340.70
ETH 3072.28
USDT 1.00
SBD 2.37