এক বিশ্বন্নতাপূর্ণ দিন
নমস্কার বন্ধুরা,
বৃষ্টি অনাসৃষ্টি শিরশির করে মন... বিখ্যাত এই লাইন শুনলে মানুষের কি মনে হতে পারে বৃষ্টি অনাসৃষ্টি।
মূলত ৫-৬ দিন ধরে মনে হচ্ছে আকাশের কোথাও যেন ফুটো হয়ে গিয়েছে, এমন বৃষ্টি বহু বছর ধরে দেখা যায় না। অন্তত বিগত আট দশ বছরে রাজ্য এমন টানা বৃষ্টি দেখেছে কিনা তা মনে পড়ছে না। অনেকের কাছে বৃষ্টি ভালো লাগে না তবে আমার মতন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা বৃষ্টি খুবই পছন্দ করেন। জানিনা ভাল লাগা কবে থেকে শুরু হলো তবে বৃষ্টির প্রতি আমার অদ্ভুত একটা টান রয়েছে। সেটা হয়তো কয়েক বছর গ্রামে থাকার জন্য হতে পারে। জীবনের বেশিরভাগ অংশটাই আমি শহরে কাটিয়েছি। শহরের বর্ষা দেখাই আমার অভ্যেস, ড্রেনের জল উপচে পড়া, রাস্তা হাঁটলে পায়ে নোংরা ড্রেনের জল লাগা আর সারাক্ষণ পাকা ঘরগুলো স্যাঁত স্যাঁতে থাকা। অথচ গ্রামে যতদিন থেকেছি ততদিন আমার একটু ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে পাকা রাস্তা পায়নি কিন্তু মাটিতে যখন পা দিয়েছি সে মাটি নোংরা নয়। বৃষ্টি যখন হয়েছে তখন জল জমে পুকুর ভরে গিয়েছে, পচা ড্রেনের জল রাস্তায় উঠে আসেনি।
সে অন্য তুলনা! আসলে কি বিগত কদিন কলকাতায় অঝোরে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। যেন থামবার কোনো নাম নেই। আজকেও সকালবেলা থেকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে, এদিকে আমি সম্পূর্ণরূপে বিছানায়। গতকালকেও অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে যদিও সেটি উপেক্ষা করে একটা বিষয় সারাদিন ধরে বেশ আনন্দ দিয়েছে তা হলো আমাদের নতুন $PUSS টোকেন। মোটামুটি সকলেই জানেন আমাদের টোকেন ঊর্ধ্বগতিতে দৌড়াচ্ছে হয়তো শরীর খারাপের মধ্যেও যেটুকু শক্তি পেয়েছি সেটা টোকেনের জন্যই তবে মনটা ভারাক্রান্ত।
অল্প কিছুক্ষন বৃষ্টি থেমে সূর্য দেবতা কৃপা করেছেন বটে তারপরেও এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় দিন। অর্ধ দিবস বনধে রাস্তাঘাটে কম পরিমাণে সাধারন জনগণ। মানুষ কিছুতেই বিষয়টাকে মেনে নিতে পারছে না। জানিনা স্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিনে ফিরবে তবে সপ্তাহের মধ্যের কাজের দিন হয়েও চুপচাপ ভাবেই কাটলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তিলোত্তমার শোক, হয়তো কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে।
মনটা ভালো লাগছিল না তাই বিকেল বেলাতে ছাদে গিয়েছিলাম, দেখি প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি আকাশে উঠছে। মনে হলো শহর "তিলোত্তমা" নিজের স্বকীয়তায় ফিরছে কিন্তু সন্ধেতে ফের বৃষ্টি। হয়তো ঈশ্বর নিজেই কাদছেন। জানিনা তিলোত্তমা বিচার পাবে কি পাবে না, তবে মানুষ হেরে এখনো যায়নি। বিচারের জন্য লড়াইটা চলছে আর লড়াইটা চলতে থাকবে।
"হায় তিলোত্তমা! 😔 আরেকটি নিরাপদ, স্বাভাবিক জীবন। 🙏 অনেক শুকনো ফুলের মতো আপনার হৃদয়টি আরও খোসা, ভিজে গেলেই নীল-কমলালেপ তুলেছে। 🌱
এই শহর "তিলোত্তমা" আবার সন্ধেতে ফিরল, যেখানে কাদছেন ঈশ্বর! 🙏 অনেক উৎসাহিত পড়েন আমার জনগণ। 😊
সব ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন। 🙏
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা বিষন্নতাপূর্ণ দিনটা হয়তোবা আপনার কিছুটা ভালো লেগেছে একমাত্র পুস টোকেনের কারণে। আমরা সবাই কিন্তু বেশ এক্সাইটেড পুস টোকেন নিয়ে। যাইহোক এবার আসলে বৃষ্টি অতিরিক্ত হচ্ছে। আমাদের এখানে তো বৃষ্টি আরও বেশি হচ্ছে। আমার কাছে বৃষ্টি ভালো লাগে, তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ভালো লাগে না। তবে আজকে বৃষ্টি হয়নি আমাদের এখানে। তিলোত্তমা ধর্ষণ এবং হত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বৃষ্টির দিনে সাধারণত মন কাব্যিক হয়ে ওঠে, আর যদি একটানা ঝিরঝির বৃষ্টি শহুরে পরিবেশকে আচ্ছন্ন করে তাহলে তো ভারী মুশকিল। আসলেই বিষয়টি সত্য, যারা জীবনের অধিকাংশ সময় শহরে কাটিয়েছেন, তাদের গ্রামের মেঠো পথ, পিচঢালা পথের থেকে সরে কাঁচা ঘাসের চাদরের রাস্তায় হাঁটতে ভীষন ভালো লাগে।
আমারো সেরকমটি মনে হয় শহুরে পরিবেশে অনেকদিন ধরে থেকে। এ ধারেও বেশ কিছুদিন বৃষ্টি হয় নি, এইতো আজ বিকেলে ঝমঝমিয়ে নামলো। অনুভূতিটা সত্যিই দারুণ, প্রকৃতি ভালো তো মন ভালো। হা হা।
আপনার ছাদ থেকে তোলা ছবিগুলো সত্যিই দারুণ হয়েছে, দাদা। বিষন্নতা কেটে উঠুক, এই প্রত্যাশা রাখি।
আমি নিজেও আপনার দলে দাদা। সত্যি বলতে আমি নিজেও জানি না বৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা টা কবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে। আপনার কথাগুলো প ড়ে বেশ ভালো লাগল। বৃষ্টির সময়ে আমাদের শহর টা যেন অন্য এক অচেনা রুপ ধারণ করে।।