মন্দারমনির তন্দুরি চা
নমস্কার বন্ধুরা,
ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রের নোনা হাওয়া গায়ে লেগে হালকা খিদে পেলে গেলো। তবে সেটা খাবারের নয়, উষ্ণ কড়া চায়ের। আসলে কোথাও ঘুরতে কিংবা কাজে বেরিয়ে আমার কিছু লাগুক না লাগুক একটা জিনিস অবশ্যই লাগে, তা হলো চা। আর ভারত এমন একটা দেশ যেখানে প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়ে একটা করে হলেও দুর্দান্ত চায়ের দোকান আপনারা পাবেনই। কোনো জায়গায় কাজে যেতে হলে সেখানের ভীড় জমানো চায়ের দোকানে আমি একবার হলেও ঢুঁ মারি। এটা আমার মূলত চায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই হয়েছে। সকালবেলা যদিও ব্ল্যাক কফি খাওয়া খুব পছন্দের জিনিস। তবে দুপুর পেরোলে সন্ধ্যে পর্যন্ত কফির দিকে খুব একটা হাত বাড়াতে ইচ্ছে করে না। তখন আমার সঙ্গী হয় কড়া চা।
সেই দুপুর বেলা থেকে অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে তিন তিনটে সমুদ্র সৈকত দেখে যখন মন্দারমনিতে ছিলাম সেই সময়ে বন্ধু বললো মন্দারমনির এক চায়ের দোকান ইদানিং খুব ভাইরাল হয়েছে সেখানে চা খাওয়া যায়। আমার আবার মনে হয়, ভাইরাল জিনিস মানেই লোকজনের ভিড় আর সেই উৎপাতে খাবারের মান নিম্নমুখী। আসলে চারপাশে লোকজন ছবি তুলতে বা রিলস বানাতেই এতো ব্যস্ত থাকে যে কারণে আসেন সেটা তারা ভুল যান। প্রথমে তাই যখন দোকানের কথা শুনলাম সেই সময়ে খুব একটা ইচ্ছে ছিল না খাওয়ার। মন্দারমনি সমুদ্র সৈকত থেকে ফেরার পথে কাঁসার পাত্রে চা বানানো দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম।
কাঁসার পাত্রে চা বানানো এবং অনেকটা সময় রাস্তায় কাটিয়ে চায়ে চুমুক দেওয়ার ইচ্ছাটা বেড়ে গেল। আর দেখলাম দোকানটা তুলনামূলক বেশ ফাঁকাই ছিল। তবে তখন সবেমাত্র চা বানানো হচ্ছে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিছু সময় করতে করতে প্রায় মিনিট ২৫ অপেক্ষা করলাম। ততক্ষণে দোকানটা যে খুব ভাইরাল হয়েছে সেটার প্রমাণ পেলাম। ধীরে ধীরে প্রচুর পরিমাণে মানুষ দোকানের সামনে ভিড় জমাতে থাকলেন।
সবার প্রথমে যেহেতু চায়ের কথা বলেছিলাম তাই ভীড়ের মাঝে প্রথম চায়ের কাপগুলো আমিই পেলাম। গরম চা হাতে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড পর চায়ে চুমুক দিলাম। কিন্তু একি!! ভাইরাল হলেও কলকাতার মাটির ভাঁড়ের চায়ের তুলনায় বিস্বাদ। আর কি কারণে তন্দুরি চা বলা হচ্ছে সেটাও কিছুতেই বুঝলাম না। কারণ এখানে সাধারণ ভাবে চা বানিয়ে সেটা মাটির ভাঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাইহোক নতুন জায়গায় নতুন অভিজ্ঞতা পেলাম। স্বাদের বিচারে ৬/১০। তবে খদ্দেরের মুখ মনে রাখার জন্য দোকানিকে ৮/১০।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আসলে প্রথমদিকে হয়তো বা তাদের চা গুলো ভালো হতো তাই হয়তোবা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে ভাইরাল হয়ে গিয়ে কোয়ালিটি খারাপ হলে সেটা আর খুব বেশিদিন ভাইরাল থাকে না। আমাদের এখানে একটা ঝালমুড়ি ওয়ালা খুবই ভাইরাল তবে উনার ঝাল মুড়ি টেস্ট বলা চলে সেই আগের মতই আছে। যাইহোক তন্দুরি নামে সাধারণ চা খাবার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো।
বর্তমানে ইউটিউবারদের কারণে কতকিছু যে ভাইরাল হচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই। তবে ভাইরাল হওয়ার পর যারা খাবারের কোয়ালিটি খারাপ করে ফেলে,তাদের মতো বোকা আর কেউ নেই। কারণ যেকোনো ব্যবসা ভালোভাবে চালানোর জন্য সুনাম খুবই জরুরী। আর সুনাম এভাবে হাতে ধরে নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না। তার চেয়ে কোয়ালিটি ভালো রাখলে ব্যবসায় অনেক উন্নতি করা যায়। যাইহোক চায়ের কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ততোটা ভালো লাগেনি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্দারমনিতেও চায়ের দোকান ভাইরাল হয়েছে...? হা হা হা... 🤭🤭 তবে ভাইরাল হলেও তোমার রেটিং দেওয়া দেখে মনে হচ্ছে খুব বেশি একটা সুবিধার না খেতে। তাছাড়া সমুদ্র সৈকতে গিয়ে স্নান করার পর একটু চা খেতে সত্যিই ইচ্ছা করে দাদা। যাইহোক, তোমার এই চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যা, এটা আমরাও লক্ষ্য করেছিলাম যে মোড়ে মোড়ে বাহারি চায়ের আয়োজন কিন্তু তখন জানতাম না যে আপনি এমন চায়ের পোকা, তাহলে মাঝে মাঝে একটু চুবিয়ে নিতাম আপনাকে, হা হা হা। পরের বার কলকাতা গেলে আর মিস হবে এটা হি হি হি।
বাইরে বেরোলে চা আমার সঙ্গী।
অবশ্যই, পরের বার এলে শুধুমাত্র চা।