দিনপঞ্জি ১-লা অশ্বিন, ১৪২৮ // পুজোর বাজারের প্রথম দিন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সকাল থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে, এদিকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার আজ তৃতীয় দিনে পা দিলো তবুও হাতের ব্যাথাটা কমেনি। আজকে ঘুম থেকে উঠে গাটা ম্যাজম্যাজ করা শুরু করেছে। আমি ভাবলাম এই বুঝি জ্বর এলো। মুখ চোখ ধুয়ে চেয়ারে বসতেই হাতের সামনে একবাটি মশলা ম্যাগি এসে উপস্থিত। বোন নাইট ডিউটি করে বাড়ি ফিরেছে ওর জন্য ম্যাগি বানিয়েছে সাথে আমার জন্য বানিয়েছে। গা ম্যাজম্যাজ ভাব থাকলেও সকালটা এভাবে শুরু হলে ভালোই লাগে।
তবে ভালোলাগা রেশটা বেশিক্ষন থাকেনি। গা ম্যাজম্যাজ করাটা কিছুতেই কমছিলো না শেষে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে শুয়ে পড়লাম। দুপুর পর্যন্ত রেস্ট নিলাম। চাইছিলাম অন্তত জ্বরটা যেন না আসে, সাথে যদি হাতের ব্যাথাটা একটু কমে। শেষ পর্যন্ত না জ্বর আসেনি তবে দুপুরে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে নিলাম। সন্ধ্যের দিকে যখন ঘুম ভাঙলো, তখন গা ম্যাজম্যাজ টা আর নেই। হাতের ব্যাথা একটু কমেছে।
বিছনায় উঠে বসেছি এমন সময়ে বোন এসে রেডি হওয়ার কথা বললো। আসলে কয়েকদিন ধরেই পুজোর জামা কাপড় কেনা নিয়ে কথাবার্তা চলছিলো। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দূর্গা পূজার ঢাকের কাঠি, আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিন। মাসের বাড়িতে থেকেই পুজোর বাজারে আলোচনা চলছে তবে কিনতে যাওয়া হয়নি। আজকে সেটারই পালা।
যাবো কিনা চিন্তা ভাবনা করছি, হাতের ব্যাথাটা অল্প আছে। আকাশটাও ভালো না, মাঝে মাঝে টিপ টিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে, অনেক জোরাজোরির পরে বাধ্য হয়ে চলেই গেলাম। গন্তব্য বাড়ির কাছের সিটি সেন্টার ২ এর প্যান্টালুনসে। স্কুটার চালিয়ে ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলাম সিটি সেন্টার ২।
প্রথমে পিসেমশাইয়ের জন্য একটা টি শার্ট নেওয়া হলো। গতবার শার্ট কিনে সাইজে হয়নি বলে দুবার বদলাতে হয়েছে। এবারে ক বার বদলাতে হয় সেটাই দেখার।
এরপর পিসির পালা, চুড়িদার আর প্যান্ট। পিসি নেই তাই ট্রায়াল করা লোক নেই তবে কিছুর উপরে ট্রাই করতে তো হবে। শেষে আমাকেই ম্যানিকেন বানানো হলো। তারপর ছবি তুলে পিসির কাছে পাচার হলো। পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে বেশ কয়েকবার এরকম ভাবেই ম্যানিকেন সাজতে হলো।
বোন জামাকাপড় কিনবে না তবে একজোড়া জুতো প্রয়োজন। ওরা জুতো কেনাকাটা করছিলো আমি এদিকে জুতোর হিল দেখে অবাক হচ্ছিলাম। মানুষ এটা কিভাবে পড়তে পারে? কি করে সম্ভব। মেয়েদেরকে হিল পরার জন্যই আলাদা করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।
সবশেষে আমার পালা এলো। আমার শার্ট কেনার ইচ্ছে ছিলো তবে একটু ভিন্ন গোছের, ডেনিম শার্ট পছন্দ হলো। একটা নীল আরেকটা সবুজ। শেষমেশ কোনটা নিলাম সেটা নাহয় পুজোর ছবিতে দেখবেন।
অনেক সুন্দর একটি দিনলিপি উপস্থাপন করেছেন আপনি।একটু অসুস্থতা এবং অনেকটা আনন্দঘন সময় পার করেছেন দিনটিতে।ভাই বোন মিলে শপিংয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। দুটি শার্ট খুব সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ। হাতের ব্যাথাটা কমতেই চাইছে না।
যাওয়া হয়েছিল ১ ঘন্টার জন্য লেগে গেলো ৩ ঘন্টা 😆
অনেক সুন্দর দিনলিপি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। ডেনিম শার্ট টাও অনেক ভালোভাইয়া,তবে আপনাকে সবুজ শার্ট গায়ে অনেক সুন্দর মানিয়েছে। পুরো হিরো লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
হিরো 😆😆😆। দুটোই জিন্সের জামা, একটা নীল আরেকটা সবুজ। পুজোর একদিনের জামা হয়ে গেলো।
ও তাহলে তো ভালোই হলো ভাইয়া
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার দিনপুঞ্জি উপস্থাপন করেছেন।দিনটি অনেক সুন্দর ছিলো।শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই। সারাদিন শুয়েই ছিলাম, সন্ধ্যের দিকে ভালোই কেটেছে।
দাদা ডেনিম শার্টে আপনাকে দুর্দান্ত লাগছে। কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সবার জন্য কেনাকাটা করতে আসলেই অনেক মজা লাগে। পুজোর প্রস্তুতি ভালোই নিচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে। অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
হ্যাঁ। বৃষ্টি থামলে সামনের কয়েকদিনে আরো কিনতে যেতে হবে 😆। দুর্গা পূজা চলেই এলো।
ধন্যবাদ দাদা আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে দিনটি কাটিয়েছেন।ডেনিম শার্টটা অনেক সুন্দর লাগছিল। আপনারা
জন্য অনেক শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
তবে দাদা আপনাকে ডেনিম নীল শাটে অসাধারণ লাগছে আমার বিশ্বাস আপনি এটাই কিনেছেন এবং আপনাদের পূজায় সেটাই দেখতে পাবো। সেইসাথে আপনার দিনটি খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করলেন তবে কিছুটা ব্যথা যন্ত্রণার মাধ্যমে। শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য।
কোনটা কিনেছি সেটা না হয় পুজোর সময় উন্মুক্ত করবো।
ম্যানিকেন হিসেবে দারুণ লাগছে। 😅
যদিও আমার কেনো জানি দেখলেই হাসি পাচ্ছে তাই ২/৩ বার নিচের লেখা পড়তে পড়তে টেনে দেখলাম।
ম্যাগিটা দারুণ, সবসময় ই দারুণ লাগে আমার অবশ্য।
আর হিল পড়ার জন্য পুরষ্কার দিলে প্লিজ আমার ঠিকানা নেবেন কিন্তু। 😜
বাই দা ওয়ে,আপনাকে সুন্দর লাগছে কিন্তু ভাইয়া।
যেখানেই যাই ম্যানিকেন ফিক্স হয়ে গেছে। কুর্তিটাতে পুরো ঢেকে গিয়েছিলাম। 😆
ম্যাগি আগে খুবই খেতাম, এখন কমিয়ে দিয়েছি। ওজন বাড়াতে থাকে 😭।
এতো বড়ো হিল পরো কিভাবে? সত্যিই পুরস্কার দেওয়া উচিত।
দাদা আপনার যে জ্বর আসেনি এই জন্য আমিও খুশি😄😄। এবং সত্যি বলেছেন হিল জুতা পরার জন্য মেয়েদের পুরষ্কার দেওয়া উচিত। কীভাবে তারা ওইগুলো পড়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে।
এবং আপনার ট্রায়ালের দুইটা শার্টই ভালো লাগছে।
তবে আমার কাছে এইটা বেশি ভালো লাগছে। কোনটা যে নিয়েছেন এজন্য আমার কিউরিসিটা থেকেই গেল। আমাকে কিন্তু ডিসকোর্ডে বলতে হবে। আমি পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারব না।
শার্ট দিয়ে ভুড়িটা উঁকি মারছে, গতবছর এই সময়ে আমার ওজন ছিলো ৬৬ এইবার ৭৮ 😭। কোন জামা কিনেছি সেটা নিয়ে একটু ধোঁয়াশা থাকুক 😆
😌😌😌 কী আর করার। ঠিক আছে অপেক্ষা করলাম।