চললাম বালেশ্বর...
নমস্কার বন্ধুরা,
যাওয়াটা যে এমন ভাবে হবে সেটা আদৌ ভেবে রাখা সম্ভব নয়। আসলে কমাস ধরে আমার বালেশ্বর যাওয়ায় কথা, কয়েকটা কাজ সেরে আসার জন্য। মূলত সেখানের কিছু ক্লায়েন্টদের কাজকর্ম ঠিক করে তাদের কিছু ডকুমেন্টস গুলো সাজিয়ে আসতে হবে। জুন মাসের শুরু থেকে সেটার পরিকল্পনা চলছিল কিন্তু যাওয়ার দিন নির্ধারণ করতে পারছিলাম না। শনিবার সকালে হুট করে এক ক্লায়েন্ট এর এমন সমস্যা হলো, এইবার বালেশ্বর যেতেই হবে। আমি চটপট করে টিকিটের ট্রেনের টিকিটের খোঁজ শুরু করলাম। কাজটা যদিও মূলত সোমবারে হবে তবে আমি চাইছিলাম একদিন আগে সেখানে পৌঁছে কাজ গুলো গুছিয়ে রাখি। আর কলকাতার দিকে এত বৃষ্টি হচ্ছে যে, হাতে সময় করে না বেরোলে হয়তো সমস্যা ফেঁসে যেতে পারি। তাছাড়া গিয়ে অল্প ঘুরেও নেবো।
ট্রেন খুঁজতে খুঁজতে রাত্রিবেলার সম্বলপুর সুপার ফাস্টে টিকিট ফাঁকা পেলাম। সিট আছে দেখে ফটাফট কেটে নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। সন্ধ্যা ছটা বাজতেই বেরিয়ে পড়লাম। দু'দিনের ট্রিপে তিনদিনের মতো জামা কাপড় সাথে নিয়ে নিলাম। বৃষ্টিতে ভিজলে একটা হাতে থাকবে আরকি।
সম্বলপুর সুপারফাস্ট শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে, কিন্তু শালিমার স্টেশন যাওয়া বেশ শক্ত তাই আমি বোর্ডিং স্টেশন রেখেছিলাম সাঁতরাগাছি। তাছাড়া সাঁতরাগাছি স্টেশনে আরো পনেরো মিনিট হাতে সময় পেয়ে যাবো। স্টেশনে পৌছে রাতের জন্য রুটি আর চানা মশলা কিনে নিলাম। কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে আমার ট্রেনের এনাউন্সমেন্ট হয়ে গেল। তারপর আর কি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো, আমি উঠে বসে পড়লাম। ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ছেড়ে দিল আমার গন্তব্য বালেশ্বর স্টেশন। যেটা পৌঁছানোর সময় রাতেই ১১:৫৯ মিনিট।
দারুন হাওয়া খেতে খেতে খড়গপুর স্টেশন পৌঁছে গেলাম। খড়গপুর স্টেশনে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ট্রেন ফের ছেড়ে দিলো। ট্রেন চলতে শুরু করলে মনে পড়লো খাবারগুলো এনেছি ঠান্ডা হয়ে যাবে 😁। হাত ধুয়ে বসে পড়লাম, চানা মশলাটা এতক্ষণ পর্যন্ত গরম আছে। হয়তো সেটা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যাগে ছিলো বলেই সম্ভব। সাঁতরাগাছি থেকে কামরা ফাঁকা এলেও খড়গপুর স্টেশনে বেশ কজন উঠলেন। পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে উড়িষ্যা ঢোকার পর যে ট্রেন যেন অল্প ধীর হয়ে গেলো। সেই কারনে পৌঁছতে কিছুটা দেরী হয়েই গেলো। বালেশ্বরে যখন নামলাম তখন রাত্রি সাড়ে বারোটা বাজে। আগে থেকে হোটেল বুক করে রেখেছিলাম তাই নিশ্চিন্তে সেখানে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালবেলা থেকেই বেরোতে হবে যে...
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকদিন ধরে বালেশ্বর যাওয়ার প্ল্যান করলেও, শেষ পর্যন্ত ক্লায়েন্ট এর সমস্যার জন্য বালেশ্বর যেতেই হলো। যাইহোক ঠিকমতো বালেশ্বর গিয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। ট্রেনে বসে গরম রুটি আর চানা মশলা বেশ মজা করে খেয়েছেন তাহলে 😂। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।