ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ও ডিসকর্ড হ্যাং-আউট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
অবশেষে আমি পূর্ণ ভ্যাক্সিনেটেড হলাম। দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দিয়ে আজকেই ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হলো। গত ১৮ তারিখ থেকে আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত দ্বিতীয় দেওয়ার সময়সীমা থাকলেও বিগত কয়েকদিন দুর্গা পুজার পর শুশুনিয়া থেকে ঘুরে আসার পরেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া গেলো। বর্তমান সময়ে পূর্ণ ভ্যাক্সিনেটেড হওয়া খুবই প্রয়োজন, আগামী দিনে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে আমরা তা জানিনা। তবে ভালোই হোক কিংবা খারাপ এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি যে এটাই, আমি এতে মোটেই দ্বিমত পোষণ করি না। তাছাড়া আমাদের কাছে আপাতত অন্য কোনো রাস্তা নেই। পরবর্তী ওভেভ এলে সেটা থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষা দেবার জন্যই ভ্যাক্সিনেশন।
ভ্যাকসিন নিতে ফের গিয়েছিলাম চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। মূল হাসপাতাল বিল্ডিংয়ে ভ্যাকসিন দেয়া হলেও আমরা হাসপাতালের কলেজ বিভাগের পাঁচ তলাতেই যাই। জায়গা বেশ শান্ত আর উপর তলা থেকে বেশ সুন্দর ভাবে আশ পাশটা দেখা যায়।
প্রথম ভ্যাকসিনেশনের জন্য আগের দিন খুব একটা না দাঁড়াতে হয়নি, তবে আজকে বেশ খানিকটা সময়ই অপেক্ষা করতে হলো। প্রায় ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে তবেই ভ্যাকসিনেশনের জায়গায় পৌঁছতে পারলাম।
ভ্যাকসিনেশনের লাইনের আগের দিকটায় যখন এসে দাঁড়ালাম লাইন সেই মুহুর্তে আবার ঘরের পেছন পর্যন্ত চলে গেছে। আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম। আগের দিন পিসেমশাইয়ের দৌলতে তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিল সেই সুবিধা আজকে নিও নি, কারণ মানুষজন প্রচুর সময় ধরেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন আমাদের তাড়াতাড়ি করে নেওয়াটা অনুচিত।
ভ্যাকসিন নিয়েও নিলাম। তবে আজকে বেশ ব্যাথা লাগলো, আগের দিন বুঝতেও পারিনি। নার্সটি ঝড়ের গতিতে কাজ করছেন। দশভূজা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে বসতেই হলো।
কিছুটা সময় বসে বেরিয়ে গেলাম, বেরিয়ে যাওয়ার পরে ভেবেছিলাম সোজা বাড়ি চলে যাব। তারপর মনে হল যে ভ্যাকসিনেশনের জন্য হয়তো ব্যথা হবে, কাজকর্ম কিছু পেন্ডিং রয়েছে গত দুই সপ্তাহের সেই কাজকর্ম গুলো করা বেশি জরুরি। হাসপাতাল থেকে দিদিকে বাড়ির বাসে তুলে আমি সরাসরি ক্লায়েন্ট অফিসে যাওয়া স্থির করলাম। সোমবার থেকে প্রতিদিন আমি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লায়েন্টদের কাছে থাকছি, তবুও যেন কাজ শেষ হয়না। আজকে অবশেষে সমস্ত কাজকর্ম শেষ করতে পারলাম। সন্ধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার আগে ভাগ্যে চা-সিঙ্গাড়া জুটলো। সেই খেয়ে বাড়ি এলাম।
রাতের বেলায় সময়েই সপ্তাহিক হ্যাং আউট শুরু হলো। যেটার জন্য সারা সপ্তাহ আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। আজকে ডিসকর্ড হ্যাং আউট একটু ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করলো। আজ থেকেই ডিসকর্ড হ্যাং আউট পরিবর্তিত সময়ে শুরু হলো, সাথে কার্যক্রমের মধ্যেও সামান্য পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিনের মতো আজকেও শুভদা বেশ ভালোভাবেই শুরু করলেন। প্রত্যেক এডমিন তাদের আওতায় থাকা সদস্যদের নিয়ে আলোচনা হলো। মাঝে মধ্যে চলছিলো আমাদের ক্যুইজ। আজকেই দাদা পরিচালিত, শারদীয়া প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা হলো। অন্যান্য বারের থেকে এবারে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খুবই কম। টিকবে দাদার পুরস্কার ঘোষণা শুনে অংশগ্রহণ করেননি এমন অনেকেই হয়তো আঙ্গুল কামড়ালেন, বিরাট সুযোগটা মিস করে গেলেন।
হ্যাং আউটের শেষে এসে এক নতুন সদস্য যিনি ২-৩ দিন ধরে পোস্ট করছেন তাঁকে কবে এক্টিভ লিস্টে আনা হবে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। বারবার বলা সত্ত্বেও হয়তো কিছু সদস্য এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না, তাই আমি বিশেষ করে নতুন ইউজার উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা একসপ্তাহ দুসপ্তাহ এসেছেন। মন দিয়ে কাজ করুন আগে, আমার বাংলা ব্লগের পিন করা প্রতিটা পোস্ট পড়ুন। নিজের লেখার মান বাড়ান, গঠনমূলক কমেন্ট করুন। ধৈর্য্য রাখুন। আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি আপনারা সমস্ত নিয়ম মেনে চললে, আপনাদের এক্টিভ লিস্টে আসা কেউ আটকাতে পারবে না।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার চশমাটা খুব সুন্দর।
আপনার চায়ের মাটির ভাঁড় গুলো দেখলেই আমার খেতে ইচ্ছে করে কেন জানি।
আপনি দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ফেললেন আর আমি এখনো প্রথম ডোজ দিতে পারেনি। কি একটা অবস্থা আমার! যাক পোষ্টের মাধ্যমে হলেও আপনাকে একটু দেখা যায় আর জানা যায়। থাকেন ই না একদম আজকাল।
নবনিতার পছন্দ। আমি সব জায়গাতেই থাকি।
নবনিতা বৌদির পছন্দ খুব ভালো।
ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ করাতে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। সৃষ্টিকর্তা আপনার মঙ্গল বয়ে আনুক। যেখানে থাকবেন ভালো থাকবেন।
এবার তো মনে হচ্ছে প্রতি বছরই দিতে হবে। দেখা যাক। তবে ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
আমিও তো প্রথম ডোজ নিয়েছি আমার দ্বিতীয় ডোজের তারিখ ২ নভেম্বর। আমাদের এখানে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু আপনাদের ওখানে বসার ব্যবস্থা আছে এটা খুবই ভালো।
এবং পাঁচতলা থেকে ব্যাডমিন্টনের গ্রাউন্ড টা দেখতে খুব ভালো লাগছে🏸। শীত তো প্রায় চলেই আসলো।
আসলে এটা মেডিকেল স্টুডেন্টদের হল ঘর, কাজে লাগেনা বিশেষ। তাই এই ঘরে করছে। বসার জায়গা আছে সাথে বেশ ঠান্ডা ঘরটা।
২ রা নভেম্বর যখন বেশি দেরী নেই। দিয়ে দাও।
হ্যা দাদা।
|দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দিয়ে আজকেই ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হলো।
আপনার ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো দাদা।আশা করি কোনো সমস্যা হচ্ছে না শরীরের।আমাদের ফ্যামিলির প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সমস্যা নেই। তবে হাতে ব্যাথ্যা আছে। প্রথম ডোজের সময়েও ছিলো।
ভাইয়া আপনি ভ্যাকসিনের কথা বলে আমার ভ্যাকসিন এর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমি প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে ভয়াবহ রকমের শরীর ব্যথা এবং জ্বরের সম্মুখীন হয়েছিলাম। অবশ্য একদিন পড়ে সেরে গিয়েছিল।
আমিতো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে ভয়ে ভয়ে ছিলাম প্রথম ডোজের মত অবস্থা হয় কিনা ।কিন্তু তারপরও বাঁচতে পারিনি, একই রকম অবস্থা হয়েছিল দুইবারই।
আপনাকে অভিনন্দন দুই ডোজ সম্পূর্ণ করার জন্য।
জ্বর অনেকরই হচ্ছে। আমার মায়ের চারদিন জ্বর ছিলো, সাথে ব্যাথা।
আগের বারে হাতের ব্যাথা ছিলো, এবারেও ব্যাথা আছে ভালোই।
আমাদের সকলকেই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।আপনি ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ করেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন আমিও আজকে সকাল ১০ টায় নিয়েছি এবং আমারও ভ্যাকসিন সম্পন্ন হয়েছে। আমার এখন একটু একটু ব্যাথা করছে। তবে খুব একটা সমস্যা হয়নি। আশা করি আপনারও কোন সমস্যা হয়নি। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
সুযোগ পেলে অবশ্যই নেওয়া উচিত। বাহ। আমরাও শরীর একটু খারাপ খারাপ।
অবশেষে তাহলে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করলেন। আমি এখন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করি নাই। পরিক্ষা আছে সামনে তাইভাবছি কিছু তিন পরে নিবো। ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করায় আপনাকে স্বাগতম দাদা
সময় আসেলেই নিয়ে নিন। বাড়ির সবাই যাতে নিতে পারে সেই দিকটাও দেখুন।
স্টিমিট প্লাটফর্মে নতুন হওয়াতে ব্যাপারটা বুঝতে পারে না যে একটিভ লিস্টে আসা টা একটু কঠিন। তাই জন্য সবাইকে আসলে বারবার বোঝাতে হয়। আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারি। ভ্যাকসিন তো আমি নিতেই পারলাম না এখনো, একটাও নিতে পারেনি। ওই দিক দিয়ে আপনি সৌভাগ্যবান ভাই।
ব্যাপারটা এডমিনদের আওতায় আসার জন্য না। অর্থ কামাই মূল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে ওটা Liability মনে হবে আর যদি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করা হয় তাহলে আনন্দের সাথে অর্থ উপার্জন হবে।
সহমত আপনার কথার সাথে আমি।একদম ঠিক বলছেন।
ভ্যাকসিন এর ডোজ পুরা করেছেন শুভেচ্ছা রইলো ভাই।তবুও ভাই হুসিয়ার ভাবে চলে নিজেকে এবং পরিবারকে সেইভে রাখতে হবে ।ধন্যবাদ ভাই ।
সেতো অবশ্যই। ধন্যবাদ