এলোমেলো আলোকচিত্র
নমস্কার বন্ধুরা,
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই। বাধ সাধে দুটো বিষয়, প্রথমত আমি ছবি তুলতে বিশেষ ভালো পারি না দ্বিতীয়ত যে ছবিগুলো ভালো তুলি সেগুলোকে গুছিয়ে একটা নির্দিষ্ট অ্যালবাম মত বানানো সেটা আমার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কারণ ভালো ছবি তো বেশি নেই। হাঃ হাঃ। আর এজন্যই বহুদিন পর পর আমি কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে পারি। আজ তেমনিই ফোনের গ্যালারি ঘাটছিলাম সেই সময়ে বেশ কিছু ছবি দেখে আমার মনে হল আপনাদের মাঝে সেগুলো ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
ছবি তোলা একটা আর্ট। আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন বস্তুকে দেখে ছবি তুলেছেন সেইটা একটা ছবির অর্থ বদলে দিতে পারে। তবে আমি অত গভীরে গিয়ে ছবি তুলতে অক্ষম। আমার চোখে যেটা ভালো লাগে সেটা ক্যামেরাবন্দি করি। কোন কোন সময় ছবিগুলো ভালো আসে তার মধ্যে থেকেই আপনাদের মাঝে কয়েকটা ভাগ করে নিচ্ছি।
খেতে ভালবাসি তাই ফুড ফটোগ্রাফি দিয়েই প্রথম ছবিটা আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিই। সরস্বতী পুজোর সময় আমি কাঁথি যাই। বাস থেকে কাঁথি সেন্টাল বাস স্ট্যান্ডে নেমেই সেখানে বিখ্যাত এক চায়ের দোকানে চা খাই। কলকাতায় বেশিরভাগ জায়গাতেই মাটির ভাঁড়ে চা পাওয়া যায়। দেখলাম কাঁথিতে মাটির ভাঁড়ে চায় দেওয়া হয়। তবে কলকাতার মাটির ভাঁড়টা তুলনামূলক ছোট হয় সেখানে কাঁথির মাটির ভাঁড় অনেকটা আমাদের চায়ের কাঁচের গ্লাসের মত। ছবিতে বেশ ভালোই লাগছিলো তবে চা খুব একটা ভালো ছিল না।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
শীত শেষ হওয়ার পর একবার বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন সরষে ফুল গুলো ফুটে গিয়ে সবে সরষের দানা হয়েছে। কলকাতাতে সেই সময়েও রীতিমতো গরম পড়লেও বাড়িতে হালকা ঠান্ডা ছিলো। সন্ধ্যার আগ দিয়ে মাঠে গিয়েছিলাম তখন সূর্য অস্ত গিয়ে পশ্চিম আকাশ হালকা গেরুয়া আভায় ভরে ছিল। কিছুক্ষন বসে থাকায় সেই আভা মিলিয়ে গেলো। হালকা কুয়াশা নজরে আসছিল।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
মেলায় প্রত্যেকটা মানুষই চায় কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফেরার। তবে সবার যে জিনিসটা আবশ্যিক তাহলে জিলাপি। আমিও সেই দলের মধ্যেই পড়ি। এমনই এক মেলায় জিলাপি কিনবো বলে দাঁড়িয়ে আছি তখন দেখলাম জিলিপি ভাজা চলছে। জিলাপি কেনার কথা ভুলে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু জিলিপি ভাজা দেখছিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
কেউ ট্রেনে করে হাওড়া স্টেশনে যখন প্রবেশ করে তখন বেশ কিছুটা ট্রেন হাওড়ার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। সময় লাগে কারণ হাওড়া স্টেশনের লাইন পাওয়াটা খুব কঠিন। সেরকমই একবার হাওড়া স্টেশনে ঠিক বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছি তখন হুসহাস করে লোকাল ট্রেন গুলো স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
কদিন আগে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ইকো পার্কে যাওয়া। সেদিন ইকো পার্কে হাঁটতে হাঁটতে একটা কাঠ মালতি ফুলের গাছের তলায় পৌঁছাই। সুগন্ধে সেই জায়গাটা ম ম করছিলো। এত ভালো লাগছিল যে বলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। গাছের আশপাশে বেশ কয়েকটা ফুল মাটিতে পড়েছিল তার মধ্যেই একটা হাতে তুলে কিছুটা কায়দা করে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
ক্যামেরা: LGE LM-G850
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
একদম ঠিক বলেছেন দাদা ছবি তোলা আসলেই একটি আর্ট। যারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তারা দেখা যায় যে খুবই সামান্য একটু বিষয়কে খুব চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে। আপনিও কিন্তু ভালোই ফটোগ্রাফি করেন। বিশেষ করে আপনার জিলাপির ফটোগ্রাফিটা তো চমৎকার হয়েছে। তাছাড়া হাওড়া স্টেশনের ছবিটাও খুব ভালো লাগছে দেখতে।
বেশ দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারেন না সেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু বোঝা যাচ্ছেনা অসাধারণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।ফোনের গ্যালারি ঘেঁটে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে
দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সত্যি দাদা ছবি তোলা একটি আর্ট।আর যারা বাইরে বেরোয় তাদের জন্য ফটোগ্রাফি করাটা সহজ।আপনি কিন্তু ফটোগ্রাফি খারাপ তোলেন নি।বরং বড্ড ভালো লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো। আমি এখান থেকেি বসে যেনো কাঠ গোলাপ ফুলের সুঘ্রাণ পাচ্ছিলাম।এই ফুলটি আমার খুবই পছন্দের ফুল।মাটির ভাঁড়ে চায়ের ফটোগ্রাফি দেখে চা পান করতে খুব ইচ্ছে করছে।গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফিটিও ভালো হয়েছিল তোলা।ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
প্রতিটা জিনিসই একটি আর্ট। এই পৃথিবী অনেক সুন্দর আর পৃথিবীর সৌন্দর্যটাকে আপনি আপনার ফটোগ্রাফির আর্ট দিয়ে আমাদের মাঝে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাঠ গোলাপের গন্ধটা অনেক মিষ্টি আমার পছন্দের একটি ফুল। আর আমি ভেবেছিলাম আকাশের নিচে ওটা সবুজ ঘাস।পরে ছবির বর্ণনাটি পড়ে বুঝলাম যে সর্ষেফুল। কিন্তু সূর্য অস্ত যাবার গেরুয়া আভায় মনে হচ্ছিল সবুজ ধানক্ষেত।সব মিলে প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন দাদা। ফটোগ্রাফি করাও একটি আর্ট। যাই হোক বেশ সুন্দর সুন্দর করে আপনি আপনার দক্ষতার সাখে এই ফটোগ্রাফি গুলো করে রেখেছিলেন। আজ মোবাইলের গ্যালারী হতে সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বেশ করেছেন দাদা। তানাহলে তো এমন মজাদার চা আর জিলাপীর ফটোগ্রাফি মিস হয়ে যেত।
অসাধারণ দাদা অসাধারণ আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কে বলেছে আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারেন না। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বলে দিচ্ছি আপনার হাতে জাদু আছে। আপনার জিলাপির ফটোগ্রাফি টা দেখে একদম বাস্তব মনে হচ্ছে। সেই সাথে আমি একটু মিষ্টিটা বেশি ভালোবাসি বিধায় জিলাপি টা খাওয়ার ইচ্ছাও হচ্ছে। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুণ ছবিগুলো৷ বাস্তবের প্রতিচ্ছবি। হাওড়া স্টেশনে লেট করে ট্রেন ঢোকার ভুক্তভোগী হয়ত সকল কলকাতাবাসী। এই হয়রানির হাত থেকে মুক্তি নেই৷ আর গ্রামের ছবিটা দারুণ হয়েছে। আর কলকাতার ভাঁড়ে চা আমার বরাবর প্রিয়৷ এর স্বাদ হয়ত দুনিয়ার আর কোনো চায়ে নেই। সব মিলিয়ে দারুণ পোস্ট
মাটির ভাঁড়ে এইটুকু চা খেয়ে মন ভরে নাকি??
ফটোগ্রাফিতে দেখতে তো ভালোই লাগছে তবে খেতে ভালো ছিল না বললেন। যাইহোক প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা। শেষের কাঠগোলা ফুলের ফটোগ্রাফি তো অনেক বেশি ভালো লাগছে দেখতে। জিলাপি ভাজার ফটোগ্রাফি টাও দারুন ছিল। ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। চায়ের ফটোগ্রাফি টা দেখে তো মনে করেছিলাম এটা হয়তো অনেক বেশি মজাদার হবে। কিন্তু আপনার কাছে তো খেতে ভালো লাগেনি দেখছি। মেলাতে যখন জিলাপি কিনতে গিয়েছিলেন তখন জিলাপি তৈরি করার সময় অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। কাঠ গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি টা দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আমি। সব মিলিয়ে আপনি অনেক সুন্দর করেই প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।