পুজো পরিক্রমা ২০২১ : সপ্তমীর ফটোগ্রাফি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সপ্তমীর সকলাটা ঘুমিয়ে কাটলেও বিকেলের একফাঁকে বোনের সাথে বেরিয়েছিলাম। কাছে পিঠের কিছু ঠাকুর দেখে ফেলার উদ্দেশ্যে। ঘুম থেকে উঠে দুপুর দুপুর নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম, স্কুটার চেপে। রাস্তা ঘাট বেশ ফাঁকা থাকলেও কিছু প্যান্ডেলে চোখে দেখবার মতো ভীড় ছিলো।
জোড়া মন্দিরের ঠিক উল্টো পাশেই শাস্ত্রীবাগান। পাড়ার পুজো হলেও গত কয়েকবছরে এলাকায় বেশ পরিচিতি পেয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন নজরকাড়া থিম মানুষকে টেনে আনছে। শাস্ত্রীবাগান স্পোর্টিং এর এবারের থিম ছিলো শক্তি। মা এখানে অদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত। প্যান্ডেল ছিলো পোড়ো মন্দিরের আদলে।
প্রযুক্তির উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আর করোনার কারণে মানুষ পুরনো স্বাভাবিক জীবন ভুলতে বসেছে। ল্যাপটপ-মোবাইল কেড়ে নিয়েছে পাঠাগার। করোনা কেড়ে নিয়েছে রাস্তার কাকার দোকানের চায়ের আড্ডা। ঘরের কোনায় আটকে থেকে মানুষের জীবনে জাঁকিয়ে বসছে ডিপ্রেশন। ৬৮ বছরে পদার্পণ করা এই পুজোর থিমের নাম প্রচেষ্টা। প্রচেষ্টা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। প্যান্ডেমিক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রচেষ্টা একমাত্র সহায় মা।
বাগুইআটি আর কেষ্টপুরের ঠিক মাঝে এক বিশাল খেলার মাঠ জুড়ে পল্লীশ্রী সংঘের পুজো। পুজোর আকর্ষণ আলোর রোশনাই আর মায়ের একচালার প্রতিমা। কোভিড পরিস্থিতির পাশাপাশি, পুজোর কয়েকদিন আগে বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ায় আলোর কাজ করতে পারেনি। অদ্যাপীঠের মায়ের আদলে মা মমতাময়ী।
দমদম পার্ক তরুন সংঘের এবারের পুজোর থিম দিন যাপনের হালখাতা। করোনা পরিস্থিতিতে সবচাইতে কম কৃতিত্ব পাওয়া মানুষ গুলোকে উৎসর্গ করা হয়েছে এই পুজোয়। পথ ঘাটের সবজির দোকানি থেকে পাড়ার মোড়ের মুদির দোকানি, যাদের কাজ থেকে গেছে অগোচরে। এই মানুষগুলিকেই লকডাউনের সময়ে আমরা পাশে পেয়েছি, তা হয়তো অনেক মানুষই খেয়ালই করেনি। মা এখানে অন্নদা ধামের কর্তী।
শরীর আর দিচ্ছিলো না বলে বাড়ি ফিরে এলাম। রাতের দিকে ফের পাড়ার পুজো দেখতে বাড়ি সমেত সবাই বেরোনো হলো।
অনেক সময় বাড়ির কাছের পুজো গুলোই বাদ পড়ে যায়, এইবার তাই আর দেরী করা হয়নি। সপ্তমী থাকতে থাকতেই ঘুরে এসেছি। পিসি, পিসেমশাই, বোন আর আমি চারজন মিলে বেরোনো হলো, মিনিট তিনেক হাটাপথ মাত্র। এবারের পুজোর আকর্ষণ বাদামের প্রতিমা। একদমই ভিন্ন ধরনের। বাদামের প্রতিমার পাশে মায়ের একচালার কাঠামো দেখবার মতো।
সপ্তমীর ইতি এখানেই। আগামীকাল আবার অষ্টমীর ছবি নিয়ে হাজির হবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা বোনের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখা যায়। সেই সাথে স্ক্রটি সাথে, অসাধারণ লেগেছিল নিশ্চয়। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছিল দাদা। বিভিন্ন পূজো মন্ডপের নামও জানা গেলো।
সময়টা বেশ কেটেছে।
আপনার কারণে অনেক কিছু দেখে ফেললাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই কারণ ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখার সুযোগটা আপনিই দিয়েছেন।
এই করোনাকালীন সময়ে আপনাদের সুস্থতা কামনা করছি। আপনি খুব ভালো ছবি তুলেন।
ধন্যবাদ ভাই!
ভাইয়া আপনার দিদি কিন্তু খুব মিষ্টি দেখতে। শাস্ত্রীবাগান এর মন্ডপ তৈরির ধরণ দেখে কেমনে যেনো ভয় লেগে উঠলো।কেমন একটা ভৌতিক পরিবেশ। হয়তো আমি এমন নতুন দেখছি তাই। শুভেচ্ছা রইলো আপনার উৎসবের মজার সময়ের জন্য।
আমার বোন 😅। মিষ্টি তো বটেই, পাশাপাশি ডাক্তার। হেববি রাগী। শাস্ত্রীবাগানের পোড়ো মন্দির ছিলো, আর পোড়ো মানেই গা ছমছমে ব্যাপার।
ফটোগ্রাফি গুলি খুব সুন্দর। খুব চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছিলে পরিবারের সাথে। শারদীয়ার অনেক শুভেচ্ছা রইলো দাদা।
ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ 🤗।
ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই সবার সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ লিমন 🤗।
এত সুন্দর সুন্দর কাজ। এত এত সুন্দর সুন্দর মা এর মুখ। আহা, দেখলেই মন শান্ত হয়ে যায়। দারুন লাগলো সব গুলো ছবি। জয় মা 🙏❤️
জয় মা। মা তো সুন্দরই। ♥️
বেশ ভালো কিছু ছবি দেখলাম। মন্দিরগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দাদা, নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।
হ্যাঁ। গতবারে মানুষ বেরোতে পারেনি, এবারে ঘুরেছে।