রেসিপি : বৃষ্টির দিনে গরমাগরম খিচুড়ি
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আপনাদের সাথে আজ আরো একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে পড়লাম। রেসিপিটি খুবই সহজ এবং বৃষ্টির দিন হলেই আমাদের মনে ভিড় করে আসে, সেই সাথে আমি ব্যক্তিগত ভাবেও খুব পছন্দ করি, রেসিপিটি হলো আমিষ খিচুড়ি।
বাড়ি গিয়েছি সেই সময় একদিন ভোর বেলা থেকে বেশ ভালই বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির সুবাদে বিদ্যু পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। টানা বৃষ্টি হওয়ায় বেলা গড়িয়ে গেলেও বিদ্যুতের পাত্তা ছিলো না। শেষে চার্জার আলোর সাহায্য নিয়ে মা সকালের জলখাবার করার জন্য তোরজোর করছিল। তখন আমিই বললাম, অল্প খিচুড়ি করা হলে বাড়ির সবার একসাথে হয়ে যাবে। সেইসাথে বেশি পদ বানাতেও হবে না। তারপর আর কি বিদ্যুৎ ছাড়াই রান্না করে ফেললাম, গোবিন্দভোগ চাল, মসুর ডাল এবং পেঁয়াজ দিয়ে আমিষ খিচুড়ি।
- গোবিন্দভোগ চাল
- মসুর ডাল
- সরষের তেল
- গোটা জিরে
- শুকনো লঙ্কা
- পেঁয়াজ
- নুন
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কা গুড়ো
- ঘি
ধাপ ১
- প্রথমে একটা কড়াই উনুনে চাপিয়ে অল্প সর্ষে তেল গরম করে তেজপাতা, গোটা জিরে ও শুকনো লঙ্কা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নেবো।
ধাপ ২
- ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে কড়াইতে পেঁয়াজ গুলো দিয়ে ভেজে নেবো।
ধাপ ৩
- পেঁয়াজ ভালো মতো করে ভেজে চাল আর ডাল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৪
- তারপর স্বাদমতো নুন ও হলুদ চাল ডালের সাথে মিশিয়ে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৫
- পাঁচ কাপ জল ডেগে দিয়ে হালকা ফুটতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ৬
- জল ফুটে উঠলে, কড়াইতে থাকা সবকিছু ডেগে ঢেলে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ছেড়ে দিলাম। মাঝে মাঝে শুধু চাল ডাল ঘেঁটে দেবো যেন তলা না লেগে যায়।
ধাপ ৭
- এইভাবেই ফোটাতে ফোটাতে ভাত ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে, দু চামচ ঘি দিয়ে খিচুড়ি নামিয়ে নেবো।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে ভালো লাগে। সন্ধ্যা কালীন মুহূর্তে বন্ধুরা মিলে ঝালমুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করি। শিতের দিন আসলে ভাপা পিঠা। কিছু কিছু খাবার যেন সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলে। বেশ ভালো লাগে সময় উপযোগী খাবারগুলো চোখের সামনে পেলে। বেশি ভালো লাগলো সুন্দর ব্লগটা দেখে।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর বৃষ্টির দিনে সবারই বাসনা জাগে মনে খিচুড়ি খাওয়ার। দাদা আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল।
দাদা অনেক দিন পরে বৃষ্টি হয়েছে আর সেই সাথে আপনার খিচুড়ি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আসলে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে মন এমনিতে চায় আর যদি সামনে এমন খিচুড়ি পড়ে তাহলে তো কথায় নেই। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা তাহলে বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কারণ বৃষ্টির জন্য এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে খেতে পেরেছেন। খিচুড়ি রেসিপি তো আমিও ভীষণ পছন্দ করি আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি খেতে কার কাছেই নাম ভালো লাগে। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগে খিচুড়ি খেতে। আমি নিজেও খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। নিশ্চয়ই এই খিচুড়ি অনেক বেশি মজাদার ছিল। আর অনেক মজা করে খেয়েছিলেন মনে হচ্ছে। আমার তো এই খিচুড়ি দেখে এখনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। মজাদার খিচুড়ি তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।
অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি ছিল এটা। দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কার না লোভ লাগবে। এত সুন্দর ভাবে একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। খিচুড়ির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। একেবারে সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করা সম্ভব। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।