অফিসের পুজো // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
বাঙালি চিরকালই শক্তির উপাসক। দুর্গাপুজোর কিছুদিন পরেই দীপাবলি আবার সেদিনই বাঙালিদের কালী পুজো হয়। দীপাবলির শুরু হয় ধনতেরাস দিয়ে, তারপর ভূত চতুর্দশী আর সবশেষে দীপাবলি দিয়ে শেষ। বাঙালিদের কাছে নতুন হলেও, অবাঙালিদের কাছে ধনতেরাস অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি সমাজে ধনতেরাস খুব বেশি দিন আগে অন্তর্ভুক্তিকরন হয়নি, তবে বাঙালি যা আপন করে নেয় তাই ধুমধাম করেই পালন করে। তাই এখন ধনতেরাসকে শুধুমাত্র অবাঙালিদের বললে চলে না। ধনতেরাসের পৌরাণিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই, তবে সহজ ভাষায় বললে ধনতেরাসকে মূলত সোনা-রুপো কেনার জন্য বছরের সবচাইতে শুভ দিন হিসেবে ধরা হয়। ভাবা যায় বছরের একটা দিন শুধু সোনা কেনার জন্য আলাদা করা হয়েছে।
দীপাবলির দিনেই লক্ষ্মী পুজো হলেও, আমার কাজের জায়গায় ধনতেরাসের দিনেই পুজো হয়। আজকের দিনেই হালখাতা, নতুন অর্থবর্ষ শুরু। আমি আসার আগে থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে।
পুজোর অনেক বাজার বাকি ছিলো সেগুলো করতেই আমি আর আশীষ ফর্দ নিয়ে মানিকতলা বাজারে ছুটেছি, সেখানে বসার সুযোগ ছিলো না তাই দশকর্মা দোকানে বাজারের লিস্টি ধরিয়ে দিয়ে পুজোর জন্য যা ফল লাগার কিনে আমি সোজা অফিসে চলে এলাম। আশীষ বাকি কাজে।
অফিসে ঢুকে দেখি অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে চকচক করছে। গত রাতে বাড়ি চলে যাওয়ার পরে আশীষ বাকি কাজটা একা হাতেই করে নিয়েছে। সত্যিই খুব ভালো কাজ করেছে।
পুজোর জোগাড় যন্ত্র শেষ করতেই পুরোহিত মশাই চলে এলেন, তার আসবার সময়েই। তাকে সাড়ে ছটায় আসতে বলা হয়েছিল, তিনি একটুও সময় নষ্ট করেনি। তখনও আশীষ সব কাজ সেরে স্নান করে অফিসে পৌঁছাতে পারেনি তাই, পুরুত মশাই আরেকটা পুজো করতে আসছি বলেই চলে যান। তখন মনে হয়েছিল পুজো শেষ হতে বেশ রাত হবে।
পুজো শুরু হতে হতে রাত ৯:৩০ বেজে গেলো। আমরা সন্ধ্যে থেকেই থেকে সব জোগাড় যন্ত্র করে বসে থাকলেও পুরুত মশাই আরেকটা পুজো শেষ করে আমাদের অফিসে আসতেই ৯:২০ বাজিয়ে দিলেন। আসলে দোষটা তো আমাদেরই, সন্ধ্যে বেলায় ফিরিয়ে না দিলেই এই সমস্যায় পরতে হতো না। দেরীতে শুরু হয়েই ভালো হলো, পুজো বেশ নির্বিঘ্নেই হয়ে গেলো। আমি আগে খেয়ে নিয়েছিলাম, এই কারণে আমি অঞ্জলি দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম।
একটা কথা আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো। সন্ধ্যে বেলায় পুজো শুরু হলে হয়তো পুজোর মাঝেই পুরুত মশাইয়ের নানান ফোন আসতেই থাকতো, রাতে আমাদেরটাই শেষ পুজো, আর সময় থাকতেই পুজোটা হয়ে গেলো, এর থেকে ভালো কিছুই হতে পারে না। এতো প্রস্তুতি নেওয়া হলো ভালোভাবে পুজো সম্পন্ন করার জন্যই। পুজো শেষ হতেই পরিতৃপ্তি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গুঁছানোর আগে আর পরের ছবিটা দেখে আমি খুবই অবাক হয়ে গেলাম। গুঁছানোর আগে কতটা সাধারণ লাগছিল। আর গোছানোর পরে তা সম্পূর্ণ বদলে গেল নিমিষেই। অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আর আপনার অফিস তো দেখি খুবই সুন্দর। আর এতটা পরিপাটি অফিস দেখতে কার না ভালো লাগে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার সামনের প্রত্যেকটি শুভ দিনের জন্য এবং আপনার জীবনের জন্য।
পরিপাটি তো দুদিন, তারপর আবার আগের পরিস্থিতিতে ফিরবে 😛।
ধনতেরাস আজ একটি নতুন বিষয়ে জানলাম। এর আগে এই বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না।
আচ্ছা দাদা ঐ যে লাল লাল কালা কালা ঐ টা কী কোকাকোলার বোতল নাকী😋।
ধনতেরাসে আরো গল্প লুকিয়ে আমি অল্পই লিখেছি।
ওটা সর্ষের তেল, কোকাকোলা দিয়ে পুজো হয় নাকি 😑
আমি ভাবলাম খাওয়ার জন্য রেখেছেন 😋
খুব সুন্দর ভাবে অফিসের পুজোটা তুলে ধরেছো। এইবারে নিজে যেতে পারিনি কিন্তু তোমার মাধ্যমে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর অফিসের পুজো একটু দেরি হয়ে থাকি সে নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। তবে সব সুন্দর ভাবে আর সুস্থ ভাবে মিটে গেছে এটাই বড় কথা। অসংখ্য শুভকামনা এবং ধন্যবাদ।
হ্যাঁ। আসলে ভালোই লাগতো। দেখা হয়ে যেতো 🤗
আপনার অফিসে পুজোর গল্পটি বেশ দারুন লেগেছে। যদিও আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। অনেক কষ্ট করেছেন সময় স্বল্পতার কারণে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। অফিসে গিয়ে যখন অফিসটি পরিষ্কার দেখলে তখন আপনার কাছে একটু অবাকই লাগল এবং অনেক আনন্দ অনুভূতি হয়েছিল। আপনি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে আপনার অফিসের পুজোর শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ দাদা। নির্বিঘ্নে কাটলো খাটাখাটনি করে এটাই পাওনা ছিলো। ধন্যবাদ 🤗
এটা ঠিক বলেছেন ভাই। শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আসলে ভাই আমি প্রায় সময় খেয়াল করি শুরুটা ভালো হয় ঠিকই কিন্তু শেষটা ভালো না হলে সব কিছু কেমন একটা গোলমাল হয়ে যায়। সেইজন্য যা হয় ভালোর জন্যই হয়। শেষে হওয়াতে শান্তিতে পূজা শেষ করতে পারলেন।
শুরুটা নড়বড়ে হোক শেষটা ভালো ভাবে হলেই শান্তি। শেষে হওয়ার জন্য কারো ফোন আসেনি 😁
সকল ধর্মাবলম্বীর উপসনাতেই মনের প্রশান্তি খুজে পাওয়া যায়।
হোক সেটা নামাজ, পুজা, কিংবা অন্য কোন প্রার্থনা!
আপনাদের পুজোর যোগাড় আমার বেশ লাগে।
বিশেষ করে লক্ষিপূজোয় নাকি অনেক কিছুর আয়োজন করা হয় এমনটা শুনেছিলাম বন্ধুর কাছে থেকে।
আপনার পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ভালো লাগলো বিশেষ করে শেষ মুহুর্ত টা যে আপনার জন্য কতটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না
শুভকামনা আপনার জন্য 🙂🥰
লক্ষ্মী পুজো ঘরে ঘরে হয়। আয়োজন করা বেশ সময়সাপেক্ষ তবে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ 🤗