দিনপঞ্জি ২৯-শে ভাদ্র, ১৪২৮ // কাজ, আসুস সার্ভিস সেন্টার আর ধোসা // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


১৫-ই সেপ্টেম্বর, ২০২১


নমস্কার,

মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি তাই আবহাওয়া ভালো থাকলেও দিনের বেশি সময়টা আলসেমিতেই কেটেছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একটা অরিগ্যামি বানিয়েছি বটে তবে তখন বুঝতে পারিনি যে সারাদিন আর বিশেষ কোনো কোন কাজ করতে পারবো না। বুধবার টা ছিলো একদমই আলাদা ক্লাইন্টদের কাজ, বোনের ল্যাপটপটাও আনা।


সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঝটপট স্নান সেরে, মুখ ধুয়ে অল্প নাকে মুখে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, আকাশটা মেঘলা হয়ে আছে আবার কখন যে বৃষ্টি আসে তাঁর ঠিক নেই। ঘন্টাখানেকের মধ্যে কাজের জায়গায় পৌঁছে যাওয়া গেলো। প্রথমে খানিকটা কাজ সেরে, ক্লায়েন্টকে কিছু টাকা পয়সার দেবার ব্যাপার ছিল সেসব মিটিয়ে নিলাম।


কাজের জায়গায় | w3w

ফের আশীষের অফিসে এসে সবে বসেছি দেখছি আশীষ বেরিয়ে যাচ্ছে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম কিরে কোথায় যাচ্ছিস? ও বললো, চাঁদনি, একটা এইচ ডি এম আই কিনতে হবে। আমিও সাথে সাথে বললাম চ দুজনে যাওয়া যাবে গল্প করতে করতে আর জিনিসটাও নিয়ে চলে আসবো।

বাইকে | w3w
পথে | w3w

বাইকে করে মধ্য কলকাতার ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া গেলো আসুস সার্ভিস সেন্টারে। সার্ভিস সেন্টারে আজ খুব একটা ভীড় ছিলোনা, আগের দিন যখন দিতে এসেছিলেন তখন প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেওয়া গিয়েছিল।

আসুস সার্ভিস সেন্টার | w3w
সার্ভিস সেন্টারে | w3w

সার্ভিসের বিল দিতেই চলে এলো ল্যাপটপ। আসুস এর আফটার সেলস সার্ভিস খুবই বাজে, একেতে অনেকটাই সময় লাগায় তাছাড়া অবান্তর পার্টস বদলে দিয়ে বিল বাড়ানোর ধান্দা। আমার শুধু হিনজ টা দরকার ছিলো ওরা নতুন ব্যাক প্যানেল লাগিয়ে বিল করেছে ৩২৫০ টাকা। ওদের নাকি হিনজ বদলাতে গিয়ে ব্যাক প্যানেল টাও বদলাতে হলো। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। বিল মিটিয়ে বেরিয়ে এলাম।

নতুন ব্যাক প্যানেল | w3w
নতুন হিনজ | w3w

আসুস সার্ভিস সেন্টার থেকে অল্প দূরেই চাঁদনি, এইচডিএমআই পোর্ট কিনতে গিয়ে সেকি জ্যাম। বাধ্য হয়ে বাইরের দিকে বাইক স্ট্যান্ড করে হেঁটে গিয়ে কিনে আনা হলো।

চাঁদনি | w3w
দোকানে | w3w

তারপর আবার সোজা কাজের জায়গায়, আশীষ দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়ে গেলো আমিও ল্যাপটপের ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে খেতে গেলাম। অন্যদিন ইডলি ভড়া খেয়ে নিই, আজ কি ইচ্ছে হলো ধোসা খেলাম। আমার আবার একটু কড়া ভাজা ধোসা ভালো লাগে। বাইরেটা ক্রিসপি ভেতরটা নরম, তরকারি পুর। আহা। খিদে পেটে এক লহমায় খেয়ে ফেললাম।


ধোসা | w3w

তারপর সন্ধ্যে পর্যন্ত চললো কাজ। মাঝে একবার চা পর্ব ছিলো বটে।


চা পর্ব | w3w

কাজ শেষ করে বেরোতে রাত ৯ টা বাজলো, ক্লায়েন্ট দোকানের ঝাঁপি ফেললো আমিও বাড়ির পথে এগোলাম।

১০% পেআউট @shy-fox কে

Sort:  

আপনার দিন দিনপুঞ্জি ছিল দাদা।সামনে আরো এ রকম ভালো ভালো দিনপুঞ্জি পার করেন সেই প্রত‍্যশাই করি।আর ধোসা একটি খাবার এই প্রথম শুনলাম পরিচয় হয়ে ভালো লাগলো।অভিন্দন আপনার জন্য।

 3 years ago 

চেষ্টা করবো, যতটা পারি। আমার পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

💖💖💖

আপনার সম্পূর্ণ দিনলিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কিছু ছবি যুক্ত করেছেন।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট হয়েছে ভাই।

আজ কি ইচ্ছে হলো ধোসা খেলাম। আমার আবার একটু কড়া ভাজা ধোসা ভালো লাগে। বাইরেটা ক্রিসপি ভেতরটা নরম, তরকারি পুর।

আমি এটা কখনো খাইনি, মনে হচ্ছে ধোসা খেতে খুব সুস্বাদু লাগে।শুভ হোক আপনার দিনটি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই। ছবি হলো ভিসুয়াল রিপ্রেজেন্টটেশন। লেখার সাথে ছবি দিলে খুব সহজেই বোঝা যায়।

দোসা বা ধোসা দক্ষিণ ভারতের একটি খাবার। দারুন লাগে আমার।

 3 years ago 

অসাধারন দিনপুঞ্জি ছিল।ধোসা নতুন একটা খাবার এর সাথে পরিচিত হলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে সুন্দর দিনটি ভাগাভাগি করার জন্য।শুভ কামনা।

 3 years ago 

আমার ধোসা খেতে দারুন। মাঝে মাঝেই খাই। ধন্যবাদ তোমাকেও আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

 3 years ago 

আপনার দিনপঞ্জি অনেক গোছালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

 3 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। চেষ্টা করছি আরো গুছিয়ে লিখতে।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার বৃষ্টিভেজা অলস দিনটা আমার মনে হয় অনেকটাই ভালো কেটেছে। কোন ডিভাইস নষ্ট হয়ে গেলে সেটা যদি কোথাও ঠিক করতে দেওয়া হয় তখন বুঝা যায় প্যারা কাকে বলে। আর অপেক্ষা সেতো অনেক কঠিন ব্যাপার এতটা যন্ত্রণাদায়ক। আর আপনার ভাজাপোড়া খাওয়াটা খুব ভাল ছিল ভাজাপোড়া পছন্দ করেনা এরকম মানুষ কম আছে। আপনার পথ চলাটা খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

 3 years ago 

পুরোটা পড়নি ভাই প্রথমে আমি ওটা মঙ্গলবারের কথা বলেছি, আর আমি বুধবারের দিনপঞ্জি লিখেছি।

কাজের জিনিস নষ্ট হলে আরো খারাপ লাগে, বেশ কয়েকদিন কাজ আটকে যায় আরকি। তবে পেলাম এটাই ভাগ্যি। ধোসা ঠিক ভাজে না। সেঁকে দেয়। তবে খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

 3 years ago 

ধোসা দেখেই মনে হচ্ছে খুব স্বাদের একটি খাবার। আমাদের দেশে সেরকম দেখি না এটা।

ওদের নাকি হিনজ বদলাতে গিয়ে ব্যাক প্যানেল টাও বদলাতে হলো। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোর ক্ষেএে এমনই হয় দাদা। ওরা যেটা বলবে আমাদের সেটা বাধ্য হয়েই মেনে নেওয়া লাগবে। এর পূর্বে আমিও এই পরিস্থিতিতে পড়েছি।

 3 years ago 

খেতে দারুন লাগে। কলকাতায় এলে খাবে ভালো লাগবে, আমাদের স্বাদ হিসেবে বানানো। দক্ষিণ ভারতে একদম আথেন্টিক।

ভেঙেছে আমি দেখেছি, তা নিয়ে পোস্ট আগে করেছিলাম। তবে ব্যাক প্যানেল বদলানোর কারণ বুঝতে পারলাম না।

 3 years ago 

জ্বী দাদা অবশ্যই ভারতে গেলে খাব।।

 3 years ago 

প্রথমেই জিজ্ঞেস করবো আমার নেশার কথা। 🤫😜
না মানে মাটির ভাড়ে কি চা টা খেলেন?ওইযে শেষ ছবিটা। আমার কখনোই মাটির ভাড়ে চা খাওয়া হয়নি তবে আমার যে কি পরিমাণ পছন্দের তা আমি বলে বোঝাতে পারবোনা।
আপনার লেপটপ এর কাহিনীর সাথে আমার লেপটপের কাহিনীও হাল্কা মিল আছে। না মানে আমিও লেপটপ নিয়ে দোকানে যাচ্ছিনা কারণ জানি অযথাই অনেক বেশি বিল উঠাবে আর কখন কোন পার্টস যে চেঞ্জ করে দিবে তা বলাই মুশকিল।
তবে ভালোই ব্যস্ততাময় দিন কাটছে দেখি আপনার।

 3 years ago 

ল্যাপটপের কাহিনী মোটামুটি সবারই মিল থাকে। ওই ভাঁজের জায়গাটাই ভাঙে সবার।

কাজে গেলে চা পর্ব কমপক্ষে একবার না খেলে মাথা ধরে যায়। নেশার জন্য না, সারাদিনে এতো কথা বলতে হয় কিছুই করার থাকে না।

 3 years ago 

হ্যা একদম, চা তেই শান্তি।

 3 years ago 

খুব সুন্দরকরে উপস্থাপন করেছেন দিনটি।বন্ধুদের সাথে আসুস সেন্টারে ভালোই সময় পাড় করেছেন দাদা।শুভেচ্ছা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই। যাতায়াতে বেশ বেগ পেতে হয়। জ্যাম ছিলো প্রচুর।

 3 years ago 

হুম দাদা দেখেই বুঝা যাচ্ছিল

 3 years ago 

প্রতিদিনের কাজের বর্ননা। সাথে চমৎকার কিছু মুহূর্ত এবং লোভনীয় খাবার ।সব মিলিয়ে ফুল প্যাকেজ লাগে তোমার পোস্ট গুলি। শুভেচ্ছা নিবে দাদা।

 3 years ago 

ধন্যবাদ। ধোসা নিয়ে কথা হবে না। ধোসা ইজ লাব।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60728.87
ETH 2661.87
USDT 1.00
SBD 2.50