অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৪

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা,

অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৩ এর পর...


অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৪


দুজনে আলো চকচকে রাস্তা থেকে মাঠের আলে নেমে পড়লো। মাঠে দু পা এগোতেই দুজনে বুঝতে পারলো অন্ধকার জাকিয়ে বসেছে। সুদীপ্ত তাই বলে উঠলো

"আজ যেন একটু বেশিই অন্ধকার আছে তাইনা রে। আমার মনে হয় অমাবস্যার সাথে ঘন কুয়াশা আছে বলেই হয়তো অন্ধকার টা আরো বেশি লাগছে।"

সুকেশ সুদীপ্তর কথায় আলতো করে মাথা ঝাঁকিয়ে হুঁ বলে সম্মতি জানিয়ে মাঠের এবড়ো থেবড়ো পথ দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে থাকলো। দিনের বেলায় যে পথ ধরে হাঁটতে খুব একটা অসুবিধা হয় না, রাতে এখন বুঝে শুনে ধাপ ফেলতে হচ্ছে। মাঠের কিছুটা দূর যেতে টর্চের আলোও কাজ কম করা শুরু করলো। আসলে ঘন কুয়াশার অন্ধকারে দু হাত দূরেই আলো পৌঁছাচ্ছে না। এমত অবস্থায় দুজনের হাঁটার গতি আরো কমে গেলো। মিনিট পাঁচেক এভাবে হাঁটতে হাঁটতে সুদীপ্ত পিছন ফিরে তাকিয়ে গ্রামের মোড়ের রাস্তার আলোর রেখাটা দেখতে পেল না।

PXL_20221213_205501496_copy_1209x907.jpg


সুদীপ্ত মনে মনে ভাবতে শুরু করলো, যখন সে গ্রামে ছিলো তখন এরম কুয়াশা দেখেছে কিনা তার ঠিক মনে পড়ছে না। শুধু কি কুয়াশা, যেমন ঘন কুয়াশা তেমন কনকনে ঠান্ডা।

মেঠো পথ ধরে মিনিট পাঁচেক হাঁটতে হাঁটতে দুজনেই হাপিয়ে পড়লো। যদিও তাদের মূল গন্তব্য আরো বহু দূরে, সুকেশের ক্ষেতের দিকে। যেখানে আর কদিন পর গম বোনা হবে। আর সেকারণে খাড়ি থেকে ক্ষেতে জল সেচ চলছে, যেটা সারারাত ধরেই চলবে। জল সেচের মেশিন যাতে সারারাত ধরে চলে তাই তেল ভরতে যাওয়া। সুকেশ ঠিক করেছিলো রাত্রি আটটার নাগাদ গিয়ে মেশিনের তেল ভরে চলে আসবে তারপর সারা রাত নিশ্চিন্ত। সেজন্য সুকেশ হাতে ১০ লিটারের তেলের জারকিনটা ছিলো। ভারী তেলের জারকিন নিয়ে সুকেশের হাঁটার গতি ধীরে ধীরে আরো কমছিলো। তাছাড়া কুয়াশার জন্য জোরে হাটারও উপায় নেই।

PXL_20221213_204537691_copy_1209x907.jpg

প্রায় কুড়ি মিনিট হাঁটার পর সুদীপ্তর কানে ক্ষীণ মেশিনের ভটভট আওয়াজ এলো। মেশিনের আওয়াজ শুনে সুদীপ্ত বুঝলো তারা গন্তব্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।


চলবে...



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 last year 

শীতের দিনে ফসলের মাঠে ঠান্ডা আরো বেশি থাক। তাছাড়া দিনের আলোতেই ফসলের মাঠে হাটা মুশকিল সেখানে তো রাতের অন্ধকার। সুদীপ্ত হয়তো আটটার মধ্যে তেল ভরে আসতে পারলে ভালো হতো। যাই হোক মনে হয় মেশিনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে । গল্পটি পুরনো পর্বগুলো না পড়লেও এই পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর গুছিয়ে লেখা দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আর সেই সময়ে হু হু করে হাওয়া চলে। বাপরে বাপ। ভয়ানক ঠান্ডা হয়।

 last year 

আজকের পর্বটিও বেশ রহস্য রেখে শেষ করে দিলেন। অবশেষে সুদিপ্ত এই কন কনে ঠান্ডায় মেশিনের বটবট শব্দ শুনতে পেল। এবার মনে হয় সুদীপ্ত পৌছে গেল তার গন্তব্যে। অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্বের জন্য।

 last year 

রহস্য অল্প বজায় থাকুক। 😁

 last year 

আসলে ঘন কুয়াশার মধ্যে রাত্রিবেলায় হেঁটে চলা খুবই কঠিন। মেশিনের আওয়াজ শোনার পরে নিশ্চয়ই তারা নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে যাবে এবং নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে তারা কি করবে সেটা জানার জন্য প্রিয় দাদা আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঘন কুয়াশায় এমনিতেই কিছু দেখা যায় না আরো রাত্রিবেলা পথচলা সে এক মহাবিপদ।
রাত্রি 8:00 টার ভিতরে তেল ভরে আসতে পারাটা অনেক ভালো ছিল। সেজন্য সুকেশের হাতে 10 লিটারের তেলের জারটি ছিল। জারটি ভারী ছিল জন্য হাটার গতি ও কম ছিল। যাইহোক সম্পূর্ণ গল্পটি যদিও পড়া হয়নি তবে এই পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং পরবর্তী পর্বের আশায় থাকলাম। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62065.67
ETH 2429.85
USDT 1.00
SBD 2.68