অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৩
নমস্কার বন্ধুরা,
অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ২ এর পর...
মায়ের সাথে গল্প করতে করতে সময় সুন্দরভাবেই কাটছিলো সুদীপ্তর। কখন যে রাত আটটা বেজে গেছে বুঝতেই পারেনি, সুকেশের ফোনে সময়টা ঠাহর হলো। ফোন আসতেই সুদীপ্তর মনে পড়ল, সন্ধ্যের দিকে সুকেশ তাকে কোথাও যেতে চাওয়ার কথা জানিয়েছিলো, ঘুমের তালে যেটাতে সে হ্যাঁ বলেও দিয়েছিলো। ফোন তুলে হ্যালো বলতেই ওপার থেকে ভেসে এলো,
"- সুদীপ্তদা, তাড়াতাড়ি মোটা জামাকাপড় পড়ে বেরিয়ে এসো। সাথে একটা লাঠি আর একটা টর্চ নিও।"
সুকেশের কথা শেষ হতে না হতেই সুদীপ্ত চটপট জামাকাপড় পড়ে নিলো। গায়ে তিনটে জামা তার উপরে একটা জ্যাকেট। আসলে গ্রামের দিকের ঠান্ডাটা একটু বেশিই লাগে। যেটা কলকাতা শহরে মোটেই বোঝা যায় না। তাছাড়া সুদীপ্তর মা বলছিলো আজকের দিনে যেন একটু বেশি ঠান্ডা পড়েছে, সন্ধ্যে না হতেই কুয়াশায় সবদিক ঢেকেও দিয়েছে। যাই হোক যখন সে হ্যাঁ বলেও দিয়েছে আর সাথে অ্যাডভেঞ্চারের অল্প গন্ধ আছে।
ছেলে রাত বিরেতে মাঠে যাবে শুনে সুদীপ্তর বাবা নিষেধ করে দিলেন। গ্রামের দিকে রাত ভালো না। কিন্তু ওদিকে সুদীপ্তও না মানার ছেলে নয়। ছেলের আবদার শুনে শেষ পর্যন্ত বাবাকে মেনে নিতেই হলো। তবে উনি ছেলেকে সাবধান করে দিলেন এবং হাতে একখানা লাঠি ও টর্চ নেওয়ার কথা বললেন। যদিও সেই জিনিস গুলো আগে থেকেই নেওয়ার কথা তার ছিলো।
সুদীপ্ত ভালো করে জামা কাপড় এঁটে হাতে লাঠি এবং টর্চ নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। বাইরে বেরোতেই সুকেশের সাথে দেখা হয়ে গেলো ওর। আসলে সুদীপ্ত ও সুকেশের বাড়িটা একদমই পাশাপাশি। গা লাগোয়া বললেই চলে। সুকেশও মোটা জ্যাকেট পড়েছে, তার এক হাতে একটা লাঠি এবং একটা টর্চ আরেক হাতে ড্রাম জাতীয় কিছু জিনিস। সুদীপ্তকে ঘর থেকে বেরোতে দেখেই সুকেশ আগেই রাস্তা ধরলো। মাঠে যেখানে যাবে সেটা অনেক দূর, হেঁটে প্রায় কুড়ি মিনিট।
রাতের অন্ধকার চিঁড়ে দুজনে এগোতে শুরু করলো। গ্রামের পথ কিছুটা পেরিয়ে মাঠ শুরু হবে। আসলে গ্রামটা তেমন বড়ো না, সদর শহর থেকে অত্যন্ত ভেতর দিকে হওয়ায় এদিকটায় খুব একটা গাড়ি ঘোড়ার আওয়াজ পাওয়া যায় না। বিকেল হতে হতেই নিস্তব্ধটা আরো বেশি ভাবে চেপে আসে। সেখানে শীতের রাত, কোত্থাও কোনো টু মাত্র আওয়াজ নেই।
গ্রামের ভেতরের অন্ধকার কাটিয়ে দুজনে পাকা রাস্তার আসতেই আলোর দেখতে গেলো। কিছুদিন আগে গ্রামের লোকজন মিলে রাস্তার মোড়ে আলো বসিয়ে দিয়েছে, সেই আলোতেই রাস্তাটা বেশ চকচকে হয়ে আছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে কোনো বাবা চায় না যে, তার ছেলে রাত্রে বেলায় মাঠে কিংবা কোথাও যাক। তবে সুদীপ্তের বাবা তাকে খুবই সুন্দর উপদেশ মূলক কথা বলেছেন, সেটা হল রাত্রে বেলায় সঙ্গে করে লাঠি ও টর্চ নিয়ে যাওয়ার কথাটা। যাহোক দাদা, অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।