পুজো পরিক্রমা ২০২১ : ষষ্ঠীর ফটোগ্রাফি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। দুর্গাপুজোর দিনগুলো ভালো করে কাটান এই কামনা নিয়েই শুরু করলাম পুজা পরিক্রমা ২০২১।
কলকাতা দূর্গা পুজো চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে যায়, মানুষের ঢল নেমে পড়ে রাস্তায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এর অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। মানুষজন অনেকটাই ঘরকুনো হয়েছে।তাছাড়া রয়েছে কোভিড আতঙ্ক। রাস্তাঘাটে লোকজনের পরিমাণ গত বছরের থেকে একটু বেশি হলেও আগে যে পরিমাণে লোকজন ঘুরতে বেরোত তা তুলনামূলক কম।
আমরা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে ঠিক করে রেখেছিলাম একদিন সময় করে বেরোবো। ষষ্ঠীর রাতেই আমরা ৫ জন একসাথে বেরিয়ে পড়লাম, উত্তর কলকাতার কয়েকটা পুজো দেখতে। শুরুটা হলো তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীন দিয়ে।
উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই পুজো ৫৬ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীনের এবারের থিম ছিলো আশ্বাস। উদ্যোক্তারা অক্সিজেন সিলিন্ডারকে পুজোর থিম হিসেবে তুলে ধরেছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার যেভাবে মানুষকে আশ্বাস জুগিয়েছে তেমনিই মা দুর্গা আমাদের আগামীর ভালো দিনের আশ্বাস বয়ে নিয়ে আসছে।
সেখান থেকে সোজা বেরিয়ে যাওয়া হলো শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দেখতে। শ্রীভূমি রাস্তা থেকে ভিড় দেখে এড়িয়ে যাওয়া শ্রেয় মনে হলো তাই এগিয়ে যাওয়া হলো দমদমের দিকে। দমদমের পুজো পরিক্রমা শুরু হলো দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ দিয়ে।
৫৫ বছরের পুরোনো এই পুজার থিম ছিলো অমৃতের সন্ধানে। মা দুর্গাকে সমুদ্র মন্থনে উঠে আসা দেখানো হয়েছে। দেবী মানুষের দৈনন্দিন দুঃখ কষ্ট দূর করতেই উঠে এসেছেন। মানুষের ক্ষুদা, তৃষ্ণা নামক অসুর দমন করতেই দেবীর মর্তে আগমন।
শহরের গলির রাস্তা দিয়ে মিনিট ১৫ হাঁটা দিয়ে তবেই পৌঁছানো গেলো দমদম পার্ক সার্বজনীনে। দমদম পার্ক সার্বজনীনের এবারের থিম ছিলো আবহমান। আবহমান অর্থ, চিরদিন যাহা প্রচলিত। মণ্ডপ সজ্জায় ছিলো যার প্রধান ছাপ। নানান মাপের কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি এই মণ্ডপের মাঝে মায়ের প্রতিমা হয়তো চিরস্থায়ীত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।
কিছুটা দূর এগিয়েই তরুন দলের পুজো। দমদম পার্ক তরুণ দল এবারে ৪৪ তম বছরে পড়েছে। তরুন দলের পুজোর থিম লহে লহে, যার আক্ষরিক অর্থ ধীরে ধীরে। প্রকৃতিকে কোভিড থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো। মণ্ডপের শুরুতেই বাঁশের কাজ দিয়ে সেটাই বোঝানো হয়েছে। মা এখানে নারায়ণ রূপে, যিনি প্রকৃতি মাতৃকাকে রক্ষা করে ধীরে ধীরে হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনছেন।
টালা পার্ক প্রত্যয়ের এবারের থিম নির্বাধ। ৯৬ বছরে পা দেওয়া এই পুজো কোভিডের বাধা সরিয়ে মুক্তি চাইছে। গত ২ বছর ধরে পৃথিবীর যেভাবে করোনার কাছে অবদ্ধ হয়ে আছে সেটা থেকেই মুক্তি। মণ্ডপের মাঝে মায়ের কাছে যেতেও যেন সেই অবদ্ধতা কাটিয়েই যেতে হবে।
শতবর্ষ পেরিয়ে এবারের টালা বারোয়ারীর পুজো ১০১ তম বর্ষে। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর থিম আঁচল। পুরো মণ্ডপ জুড়েই আঁচলের ছোঁয়া। এলোমেলো বাঁশের মধ্যে লাল আলোর ছটা। আমরা যেমন মায়ের আঁচলে এসে শান্তি খুঁজে পাই, তেমনই বিগত ২ বছর ধরে চলা অসহায় এই পৃথিবীর দরকার মায়ের আঁচলের প্রশান্তি। মমতাময়ী মা এখানে লাল শাড়িতে।
আজ এখানেই থাক। আগামীকাল সপ্তমীর কিছু ছবি নিয়ে আবার হাজির হবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আশা করছি আপনার দিনটা খুবই সুন্দর ভাবে পালন করেছেন।এবং অনেক আনন্দ করেছেন। বিশেষ করে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর জায়গায়গুলো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
পুজো পরিক্রমা ২০২১, ষষ্ঠীর ফটোগ্রাফি খৃব সুন্দর হয়েছে ভাই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ও শুভকামণা রইল।
ধন্যবাদ দাদা 🤗
দিনটি বেশ ভালো কাটিয়েছেন। তবে আমার অবিশ্বাস্য যে ৫৬ তম দুর্গোৎসব এটি। সমস্ত বিষয় মিলিয়ে খুব সুন্দর ছিল
ধন্যবাদ ভাই 🤗
আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল। আপনি আপনার দায়িত্ব যেন সুন্দর এবং সুষ্ঠভাবে চালিয়ে যেতে পারেন সেই কামনা করছি।
ধন্যবাদ
পূজো পরিক্রমা ২০২১ ষষ্ঠীর ফটোগ্রাফি তে আপনার ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবিগুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে দাদা।তাছাড়া বেশ আনন্দ আর উৎসাহের সাথে কাটাচ্ছেন দূর্গা পূজোর উৎসব। আপনার উৎসব সফলতায় হোক পরিপূর্ণ এই শুভকামনা করি।ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ ভাই। আপনার পুজোর দিন গুলো কাটুক ভালো ভাবে। 🙏🏾🤗
অনেক ঘুরাঘুরি হচ্ছে, এখনকার সময় গুলা আপনাদের জন্য অনেক আনন্দের। অনেক ভাল লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি 🤗
বাবাহ!এতো রকমের যে থিম হতে পারে তাই তো আমার জানা ছিলোনা।
জানা বলতে কখনো থিম দেখিনি,টুকটাক টিভি, ইইউটিউব এ যা দেখেছি।
আপনার কারণে আজ অনেককিছু দেখলাম।
বেশি ভালো লেগেছে বাঁশের থিম টা। জাস্ট এক্সট্রা ইউনিক।
করোনা না থাকলে আরো ভালো ভাবে পালন হতো। আরো থিম, আরো মানুষ।
অনেক কটাই বাঁশের থিম ছিলো তবে পুজোর থিমের পেছনের চিন্তাভাবনা বেশ ভালো।
বাহ দাদা ষষ্ঠীর দিনই এতো ঘুরলেন। আরও তো দিন পড়েই রইল। প্রত্যেকটা মন্ডপের থিম সুন্দর। কিন্তু আমার কাছে দমদম পার্কের তরুন দলের পুজোর থামটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে। আপনাকে দূর্গাউৎসব এর শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক মজা করুন। ঘুরে বেড়ান।
হ্যাঁ। আমারও ওদেরটা বেশ ভালো লেগেছে।
✌✌
দূর থেকে পূজারপ্যান্ডেল ও থীম সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।সত্যিই এখনো মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।প্রত্যেকটি প্যান্ডেল খুব সুসজ্জিত।তাছাড়া কলকাতা দুর্গাপূজায় বিখ্যাত।
আতঙ্ক না থাকলে মানুষের ঢল নামতো। বর্ধমানের পুজো তো ভালোই হচ্ছে?
হ্যাঁ দাদা,মোটামুটি ভালো।
অনেক আনন্দের মাঝে পূজার সময়টা পার করছেন। সকল মন্ডপগুলো অসম্ভব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার জন্য পূজার শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
দলবলে চলাফেরার মজাই আলাদা। ভাল ছিল।হ্যাঁং আউটে কথা শুনে ভাবছিলাম, আমার দাদার বয়সী। এখন দেখে মনে হচ্ছে আবার বিয়ে করান যাবে হে হে হা হা
সত্যিই! বন্ধুদের সাথে পুজোয় ঘোরার মজা আলাদা রকমেরই হয়।
বিয়ে দেরী আছে দাদা 😆🤗
স্বাগতম