কালীপুজোয় কাটানো কিছু মুহূর্ত // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
কালী পূজার মূল চিন্তাই মন্দের উপরে ভালোর জয়ের। প্রতিবছরই দীপাবলি ও কালীপুজো একই দিনে হয়। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার কিছু অংশে কালীপুজোটাই বেশি দেখা যায়, তবে ভারতে বাকি অংশে এই দিনটা দীপাবলি হিসেবে পালন করা। কালীপুজো সঠিক কবে শুরু হয়েছিল জানা না গেলেও, আলোকসজ্জা করে আতশবাজি ফাটিয়ে কালীপুজোর প্রচলন হয়, অষ্টাদশ শতাব্দীতে। প্রথম কৃষ্ণচন্দ্র রায় আড়ম্বর করে কালী পুজোর প্রচলন করেন।
আজকের দিনটাতেই দীপাবলি। পৌরাণিক ইতিহাস অনুযায়ী আজকের দিনেই ভগবান শ্রী রাম ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যা ফিরেছিলেন। সে আনন্দে রাজ্যের প্রজারা প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রী রাম কে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তারপর থেকেই দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানো হয়। দীপাবলির আক্ষরিক অর্থই হলো, প্রদীপের সমষ্টি। সেসব কথা অন্যদিন হবে।
সকাল থেকে আমার লক্ষ্য ছিলো একটাই, রাতে বাজি ফাটানো। আমার তর সইছিলো না, তবে প্রথমে ক্লায়েন্টদের কাছে নেমতন্ন রক্ষা করতে যেতেই হয়েছিল। গতবারে নেমতন্ন থাকা সত্ত্বেও যাওয়ার সাহস হয়নি। এবারে বাদ দিইনি।
অবাঙালিদের মধ্যে দীপাবলির দিন মিষ্টি মুখ করায়। প্রত্যেক ক্লায়েন্ট দের দোকানে মিষ্টি খেয়ে খেয়ে, কমকরে ১২-১৩ খান মিষ্টি খেয়ে নিলাম।
বাড়ি ফিরে বাজি নিজেই সোজা দৌড় মারলাম ছাদে, চারিদিকে তখন শুধুই বাজি ফাটছে। আমার মন উশখুশ করছিলো। এতো দৌড়ঝাঁপ করে কিনে আনলাম। বছরের একটাই দিন।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চললো বাজি ফাটানো, প্রথম রং মশাল দিয়ে শুরু। সবমিলিয়ে পাঁচটা রং এর ছিলো। আমার তুবড়ি বেশি পছন্দ তাই তুবড়ি গুলো অল্প অল্প করে জ্বালিয়ে দিলাম।
কালীপুজোর রোশনাইটা যেন এবারে তুলনামূলক ফিকে ছিলো, করোনার পর থেকে লোকজনের আনন্দ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবুও অল্প আতশ বাজি ফাটতে দেখলাম। আমি প্রায় ১০-১২ পরে বাজিতে হাত দিয়েছি, এতো বছর পরে ফাটিয়ে যেন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিলো। বাচ্চা বেলার স্মৃতি, হয়তো বাজি ফাটিয়ে নিজের ছোটবেলা যাওয়ার চেষ্টা ছিলো মাত্র।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
দাদা দিপা বলি সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। জেনে খুবই ভাল লাগলো, আর অজানা তথ্য জানতে আমার খুবই ভালো লাগে আতস বাজি ফুটিয়েছেন বেশ মজাও করেছেন। ধন্যবাদ আপনার আনন্দ ঘন দিনটি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো।
আরো অজানা ইতিহাস আছে, সেসব অন্যদিন।
বাজি ফাটিয়ে বেশ আনন্দ পেয়েছি ভাই। ধন্যবাদ 🤗
দীপাবলি মিলন আর আতশবাজি করে বেশ মজা করেছেন।প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চললো বাজি ফাটানো,আহ্ কি আনন্দ
প্রথম রং মশাল দিয়ে শুরু। সবমিলিয়ে পাঁচটা রং এর ছিলো। তাছাড়া তুবড়ি বেশি পছন্দ করেন আপনি। তাই তুবড়ি গুলো অল্প অল্প করে জ্বালিয়ে দিলেন। বেশ মজা করেছেন।শুভকামনা আপনার জন্য♥
বেশ আনন্দ পেয়েছি। ছোটবেলায় এরমই এভাবেই বাজি ফাটাতাম। ধন্যবাদ দিদি 🤗
অনেক অজানা তথ্য ছিল দাদা আপনার পোস্টে। এটা আমার আগে জানা ছিল না। এবং বাজি ফাটানোর জন্য অপেক্ষা না করতে পারাটাই স্বাভাবিক। ৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে বাজি কিনে এনেছেন বলে কথা। বাজি ফাটানোর ভিডিও টা অনেক সুন্দর ছিল দাদা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভিডিওটার ফোকাস নেই। দিদি ভালো করে করতে পারেনি। তুবড়ি আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই 🤗
শুভ দীপাবলি ।
দাদা দেখছি বেশ মজা করেছেন। শুরুটা খুব ভালো লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম। আর আপনি এত মিষ্টি খেতে পারেন! বাপরে বাপ। আমার তো গা গোলাবে। হিহিহিহি। কাশ্মীর থেকে ফিরে শরীরটা হালকা একটু খারাপ। তাই এবার অত কিছু করে উঠতে পারিনি। যেটুকু পেরেছি মজা করেছি।
কালীপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা নিও বোন।
আনন্দ হয়েছে। খুব আনন্দ। মিষ্টি খেতেই হয়, সবার কাছে গিয়েই খেতে হলো।
ঘুরে এসেই শরীর খারাপ হলো! যাহ। আবহাওয়া পরিবর্তন মূল কারণ। আমারও সর্দি-কাশি হয়ে গেছে 😑
এই কাজ আমার দ্বাড়া অসম্ভব প্রায়। আমি মিষ্টি খুব একটা পছন্দ করিনা।বড় জোর একটা খেতে পারি। সবসময় অর্ধেক ও নাই।
মিষ্টিমুখ এর ওই প্লেট গুলোতে মাঝে কি ওইগুলা সমুচা?দেখে মনে হচ্ছে আমার।
ওগুলো ছোটো সিঙ্গাড়া। 😛
মিষ্টি মাঝে মধ্যে খাই টাইম অসুবিধে হয়। আমার অল্প Sweet tooth আছে। 😛
শ্যামা পুজা বা কালি পুজার আতশবাজির রং মশাল ফটোগ্রাফিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।
এতো সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ স্যার! 🤗
ভাইয়া এক দিনেই ১২-১৩ খানা মিষ্টি খেয়ে নিলেন! ভাইয়া ৪৫ মিনিট ধরে বেশ ভালই বাজি পুড়িয়েছেন। রং মশালের আলো গুলো খুবই সুন্দর লাগে আমার কাছে। বেশ ভালই আনন্দে কাটিয়েছেন দীপাবলি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।