শুশুনিয়ার পথে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


নমস্কার,

পুজো শেষ, এবার উমার ঘরে ফেরার পালা। দিন গোনা শুরু, আবার ১ বছরের অপেক্ষা। বিজয়া দশমীর ঠিক পরের দিনই সকাল সকাল শুশুনিয়া ঘুরতে যাওয়া। হুট করেই যাওয়াটা ঠিক হলো। পুজো শুরুর আগেও শুশুনিয়া যাওয়ার কথা ছিলো না। সপ্তমীর দিন হুট করেই যাওয়া ঠিক হয়েছে। পিসেমশাইদের শ্রীলঙ্কা যাবার কথা ছিলো একাদশীর দিনে, তবে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বেশ খারাপ হওয়ায় দুধের সাথে ঘোলে মেটাতে হলো। রাতে আর ঘুম আসেনি। দশমীর ক্লান্তি নিয়েও রাতে ঘুম এলোনা, চাপা উত্তেজনায়। সাধারণত কোথাও যাওয়ার থাকলেই আমার আগের রাতে আমার ঘুম উবে যায়।


পিসিদের সাথে

সাড়ে ৮ টার মধ্যেই গাড়ি এসে হাজির, হুড়োহুড়ি করে নীচে আসা হলো। দশমীর পরের দিনের সকাল রাস্তা ফাঁকা। ফাঁকা রাস্তা ধরেই গাড়ি চলা শুরু হলো, ঝড়ের গতিতে। গাড়ি পৌঁছে গেলো বালি ব্রিজে। ব্রিজ পেরোলেই কলকাতার শেষ। ঐপারেই হুগলি জেলা।


বিবেকানন্দ সেতু | w3w

ব্রিজ পেরিয়ে ডানকুনি-দুর্গাপুর হাইওয়ে ধরে ছুটছে গাড়ি। সকালবেলা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গাড়ির সিটে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি ঘুম ভাঙলো চা খাওয়ার ডাকে। আহা! হোটেল নবান্নর চা খেয়ে মনটা চনমনে হয়ে গেলো। অল্প আদা আর ছোটো এলাচ।

হোটেল নবান্ন | w3w
এলাচ চা | w3w

মিনিট ১৫ চা খেয়েই আবার রাস্তায় ফেরা হলো। ঠিক করা হলো গান শোনা হবে, কিন্ত দুর্ভাগ্য গাড়িতে স্পিকার না থাকায় গান চালানো গেলো না। রাস্তা দেখতে দেখতে শক্তিগড় পৌঁছে গেলাম। জলখাবারের পালা। ল্যাংচার জন্য বিখ্যাত শক্তিগড় বর্ধমান জেলার সদরের একটু আগেই। ল্যাংচা নগরে ডিম পাউরুটি দিয়ে উদরপূর্তি করলাম।

ল্যাংচা মহল | w3w
ডিম পাউরুটি | w3w

ঘুম আর এলোনা, বাকিটা সময় গল্প করে কাটিয়ে দিলাম। গাড়ি সোজা দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়া জেলায় ঢুকলাম, জেলার পরিবর্তনের সাথে সাথেই প্রাকৃতিক পরিবেশের আমূল পরিবর্তন দেখলাম, এ এক অন্য পৃথিবী। চারিদিকে সবুজের মেলা। বাঁকুড়া শহরের ভেতর দিয়ে গাড়ি ছুটে চলল শুশুনিয়া পাহাড়ের দিকে। দুপুর ১ টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে। বন পলাশী হোটেল। ঘরে ঢুকেই স্নান করে অল্প টিফিন করে নিলাম, শরীর আর দিচ্ছিলো না, দিলাম ঘণ্টাখানেকের ঘুম। বিকেল চারটার দিকে আশপাশ টা একটু ঘুরেও দেখতে হবে।


বন পলাশী | w3w

ঘুম যখন ভাঙলো, দুপুর ৩:৩০ বাজে। শরীর চাঙ্গা লাগছে। ৪ টের মধ্যে গাড়ি নিয়ে ফের বেরিয়ে পড়া হলো। আশেপাশের জঙ্গল গুলো দেখে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। শুশুনিয়া পাহাড়ের ঠিক পেছনে পৌঁছে যাওয়া গেলো। অল্প আঁধার হয়ে যাওয়ায়, পাহাড়ের নীচেই থালা হলো। সমতলে বসে ফুটবল খেলাম দেখেছিলাম।


পাহাড়ের কোলে ফুটবল | w3w

ছোটো দিনের বেলা এমনিতেই কম, পাহাড়ের গায়ে যেন আরোই কমে গেছে। ফুটবল খেলা দেখতে দেখতে টুক সন্ধ্যে নেমে এলো বোঝাই গেলো না।


শুশুনিয়ার সন্ধ্যে | w3w



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  

দাদা,আপনার পোস্ট অনেক ভালো লেগেছে। বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে পাহাড়দুটোর ছবি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। আগামী দিনের জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ঘুরতে প্রায় সকলেরই ভালো লাগে। অনেকদিন পরে বেরিয়ে আরো ভালো লাগছিলো। ধন্যবাদ তোমাকেও।

 3 years ago 

ওহো দাদা ,আপনি তো আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গিয়েছেন।তো কেমন লাগলো বর্ধমান শক্তিগরের ল্যাংচা? আমার মনে হয় শুশুনিয়া পাহাড়ের দৃশ্য 2 নং পর্বে দেখতে পাবো।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

সক্কাল সক্কাল বলে ল্যাংচা খাওয়া হয়নি। তবে আগে খেয়েছি, আমি সীতাভোগ দারুন লাগে। সন্ধ্যে নেমে আসায় পাহাড় আর ঘোরা হয়নি।

 3 years ago 

শুধুমাত্র আপনার জন্যই বোধহয় আমি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে বসে পুরো কলকাতা ঘুরে ফেলছি।
ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং, কি বলেন?
আপনাকে তো আজকাল দেখাই যায় না। একেবারেই অমাবস্যার চাঁদ!! কবে ঘুরাঘুরি শুরু শেষ করে আমাদের সাথে যোগ দিবেন?

 3 years ago 

হাঃ হাঃ। আরো অনেক কিছুই ছিলো, দুর্গাপুজোর কলকাতার কাছে। তবে সময় হয়ে ওঠেনি। একটু দেখানো গেছে, সেটাই প্রাপ্তি।

সবই দেখি, সবই পড়ি। তবে রুটিন একটু গোলমেলে হয়ে গেছে ।

 3 years ago 

একটু দেখানো গেছে!!!

এতো দেখিয়ে এই কথা!
ডিপ্রেশনে চলে গেলাম আপনার ঘুরোঘুরির পরিমাণের কথা ভেবেই।

 3 years ago 

আপনার পোস্ট পড়ার মধ‍্যে আলাদা একটা মজা আছে। ঠিকই বলেছেন দাদা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগের রাতে ঘুম আসতেই চাই না। এবং আমিতো রীতিমতো ঐ জায়গা নিয়ে অনেকগুলো স্বপ্ন দেখে ফেলি। পাহাড় টা খুবই সুন্দর ছিল। আপনার ভ্রমণটা ভালো হোক সেই কামনা করি।

 3 years ago 

হাঃ হাঃ। আমি স্বপ্ন দেখিনা। তবে একটা উত্তেজনা কাজ করে সেটাই ঘুমের সর্বনাশ করে দেয়।

 3 years ago 

😄

 3 years ago 

দাদা আপনার পোস্ট অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পাহাড়দুটোর ছবি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। গঠনমূলক পোস্ট করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 3 years ago 

পাহাড় একটাই। তবে সময় আলাদা। ২০-৩০ মিনিটের ব্যবধানে। ধন্যবাদ তোমাকেও পোস্ট পড়ার জন্য।

 3 years ago 

বিবেকানন্দ সেতু অনেক সুন্দর লাগলো আপনি মুহূর্তটি খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন। এককথায় এলাচ চা খুবই ভালো এবং আপনি নবান্ন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করছেন এবং ডিম পাউরুটি অনেক ভালোভাবে ইনজয় করছেন। নিজের ফ্যামিলির সাথে অনেকদিন পর ঘরে ফিরছেন অনেক ভাল ছিল কথাগুলি এবং মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল

 3 years ago 

হ্যাঁ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটার পরে প্রথম ট্যুর। রাতে ঘুম হয়নি এটাই যা।

 3 years ago 

ডিম পাউরুটি দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম পিজ্জা মনে হয় হাহাহাহহা। পরে পোস্ট পড়ে বুঝলাম না ভুল ভেবেছিলাম আমি। অনেক ভালোবাসা রইল প্রিয় ভাই জান।

 3 years ago 

এতো পিজ্জা খেলে তো হুদকো মোটা হয়ে যাবো 😆

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার ঘুরতে যাওয়া আপনার সাথে মনে হয় আমিও উপভোগ করলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন।
আপনার ব্রীজের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। আর চায়ের কথা কি বলব, আমি কলকাতায় গিয়ে এরকম মাটির ভাড়ে চা খেয়েছিলাম ।সত্যিই অসাধারণ।

 3 years ago 

চায়ের ভাঁড়ের চায়ের স্বাদ টাই যেন আলাদা রকমের হয়। আমার তো বেশ লাগে।

বিবেকানন্দ সেতু অনেক সুন্দর লাগলো আপনি মুহূর্তটি খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন।ঠিকই বলেছেন দাদা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগের রাতে ঘুম আসতেই চাই না। এবং আমিতো রীতিমতো ঐ জায়গা নিয়ে অনেকগুলো স্বপ্ন দেখে ফেলি। পাহাড় টা খুবই সুন্দর ছিল। আপনার ভ্রমণটা ভালো হোক সেই কামনা করি।

 3 years ago 

আপনার কমেন্ট টি @emon42 এবং @razuan12 এই দুজন ইউজারের থেকে কপি করেছেন। এছাড়াও আপ্নার আইডি চেক করে দেখলাম আপনি এই ধরনের কমেন্ট অনেক পোস্ট এ করেছেন । অন্যজনের কমেন্ট কপি করে আপনি আপনি নিজে একটি কমেন্ট করেছেন এটা আসলে খুবই মারাত্মক অপরাধ। আপনি যদি নিজের মাথা থেকে কোন কমেন্ট না বের হয় তাহলে আপনি কমেন্ট করার প্রয়োজন নেই , অন্যের লেখা কমেন্ট কেন আপনি নিজে করবেন আবার। এই অপরাধে আপনার আইডি 36 ঘন্টা ,মিউট করা হলো আপনি আমাদের সাথে discord এ যোগাযোগ করবেন আপিল সেকশনে।

 3 years ago 

ভাই আমি কী কোনো অপরাধ করেছি। যদি একটু বলতেন।

 3 years ago 

@emon42, আরিফ ভাইয়ের কমেন্ট টা আরেকবার পড়ো। তোমরা কিছুই করোনি, @farhanshadik তোমার কমেন্ট কপি পেস্ট করেছে।

 3 years ago 

ও বুঝেছি দাদা। ধন্যবাদ। আসলে আরিফ ভাইয়ের মেনশন দেখে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।

 3 years ago 

প্রতিটা মুহূর্তই খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে নদীর পাড়ের মুহূর্তটা এবং বিকেল বেলা পাহাড়য়ের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হইয়াছি। খুবই ভালো লেগেছে আর আশা করি আপনার দিনটা অনেক আনন্দের সাথে উদযাপন করেছেন।

 3 years ago 

নদীর পাড় না ভাই, ওটা ব্রিজ ছিলো। ঘুমহীন দিন 😆

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66794.56
ETH 3501.55
USDT 1.00
SBD 2.71