রেস্টুরেন্ট রিভিউ : জিপসি, আ গ্রুপ অফ আমিনিয়া // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাইরে খেতে যাওয়ার ইচ্ছে মনে আসছিলো, তবে কোথাও যাওয়া যায়নি। দুর্গাপুজোর সময়ে সুবর্ণ সুযোগ আসলেও সময়াভাবে যাওয়া হয়নি। আজকে অবশেষে ঢুঁ মেরেই এলাম, জিপসি, আ গ্রুপ অফ আমিনিয়া। বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাবুর্চি রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়েছিল তবে এবারের অনুভূতি একটু ভিন্ন ধরনের ছিলো। অনেকদিন পরে গেলে যা হয় আরকি।
রেস্টুরেন্টে যাওয়া হবে আগে থেকেই এরম কোনো পরিকল্পনা ছিলো না, তবে কাজ শেষে কোথাও খেতে যাওয়া হবে হবে এটা ভেবে রেখেছিলাম। কাজকর্ম শেষ হতেই আমি আর আশীষ বেরিয়ে পড়লাম, মাঝপথে আশীষের তেনাকে সাথে করে নিয়ে সোজা মেট্রো স্টেশন।
মেট্রো করে মাত্র চারটে স্টপেজ। গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে উঠতেই যেন গন্তব্য চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশন চলে এলো। স্টেশন থেকে একটু বেরিয়েই হাঁটা পথে মিনিটদুয়েক হাঁটতেই, জিপসি।
জিপসি, আমিনিয়া গ্রুপের একটি সব ব্র্যান্ড। আমিনিয়া হলো কলকাতার বিরিয়ানির প্রধান তিনটির মধ্যে একটি। আমিনিয়া রেস্টুরেন্টের সাব ব্র্যান্ড হলেও বাইরে থেকে খুব একটা ঝাঁ চকচকে না। বাইরেটা সাদামাটা, অন্যান্য আমিনিয়া রেস্টুরেন্টের থেকে একদম আলাদা। তবে বাইরে যেমনটাই হোক রেস্টুরেন্টের ভেতরটা বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
পরিমিত আলো সাথে বাতানুকূল, খুব সুন্দর আরামদায়ক পরিবেশ তৈরী করেছিল। আর সাথে ছিল অসাধারণ কিছু মসলার গন্ধ। খুবই ছিমছাম মেনু, যেটা আমার খুবই পছন্দ।
রেস্টুরেন্ট এর বিশেষত্ব অর্ডার দিয়েই শুরুটা হলো। তন্দুরি চিকেন। তন্দুরি অর্ডার দিয়ে বসে মিনিট পাঁচেক গল্প করতেই তন্দুরি চিকেন চলে এলো। প্লেট আসার সাথে সাথে যেটা চোখে ধরলো তা হলো তন্দুরি চিকেনের রং। অসাধারন লেগেছে তন্দুরির রংটা। তন্দুরি চিকেনের সাথে ছিলো রেস্টুরেন্টের নিজস্ব চাটনি। স্যালাড।
তন্দুরির মসলা টা ছিলো খুবই ফ্রেস ও সুস্বাদু। মাংসের ভেতরটা ছিলো নরম আর রসালো। আমার খাওয়া অন্যতম সেরা তন্দুরি।
তন্দুরি শেষ হতেই আমাদের মেইন কোর্স চলে এলো, আমার আর আশীষের জন্য বাটার নান ও চিকেন বাটার মাসালা। আর আশীষের তেনার জন্য ডিম বিরিয়ানি।
তন্দুরি চিকেন খেয়ে যতটা উচ্ছসিত ছিলাম বাটার নান কিংবা চিকেন বাটার মাসালা কোনোটারই কোয়ালিটি ভালো ছিলো না। আশায় করেছিলাম, তবে এই দুই পদে বেশ আশাহত হলাম। বাটার নান নরম হয়, সে তুলনায় বেশ শক্ত ছিলো। মনে হলো সাধারণ নানরুটির উপরে বাটার মাখিয়ে দিয়েছে। বাটার মাসালা ভালো ছিল তবে ভালো এটাই নয় আমি এর থেকেও আরো ভালো খেয়েছি।
বাটার মাসালাতে কোনো কার্পণ্য করেনি তবে স্বাদের দিকে কিছু একটা কমতি ছিলো। চিকেন গুলো টেন্ডার ছিলো তবে তন্দুরি খেয়ে যতটা আশা ছিলো তাঁর অর্ধেকও পূরণ হয়নি।
জিপসি, আ গ্রুপ অফ আমিনিয়া চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের একদমই কাছে। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে নেমে গণেশ চন্দ্র এভিনিউয়ের রাস্তায় বেদান্ত কম্পিউটারের দিকে হেঁটে গেলেই একদম দোকানের মুখে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মানে কি?
এটার মানে কি এসি?
তন্দুরি চিকেনের রংটা দেখে আমার ও তো লোভ লাগছে।
বেশিরভাগ সময় এই কাজ ই করে অনেকে।
হ্যাঁ। এসি। 😁। ক্যামেরা আরো ভালো হলে বোঝানো যেতো। দেখতে যেমন খেতেও তেমন।
আমি খুবই হতাশ। ৩/৫ এর বেশি রেটিং দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে বেশি পাবে পরিচ্ছন্নতায়।
😂😂 এদিকে নেই
ওদিকে আছে।
ভাইয়া মাশাল্লাহ খাবারের ছবি দেখেই বুঝেছি খুব কোয়ালিটি ফুল খাবার তৈরি করে এই রেস্টুরেন্টে। আর হ্যা কোন রেস্টুরেন্টে ভালো খাবার পেলে মন টা সেখানে টানে👌👌👌🥰🥰🥰
আবার কবে আসবেন এখানে 😁। আপনাকে কিন্তু মাশাল্লাহ সব সময় খুব কিউট লাগে।
কোয়ালিটি বেশ ভালো। তবে আরো ভালো হবার অবকাশ আছে।
কিউট লাগে 🤣🤣🤣। জোকসটা দারুন।
ওইটা দাদা জোকস ছিল না ওটা আসলে সত্যি ।সত্যি অনেক কিউট আপনি ।শুধু কিউট না বরং একটা কিউট এর ডিব্বা।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসাধারণ একটি মুহূর্ত কেটেছে আপনার।আর বিশেষ করে তন্দুরি চিকেন টা দেখেই সেই মনে হচ্ছে।আর আপনাকে তো পুরো সিনেমার নায়ক এর মত লাগছে দাদা।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।🥰❤️
সিনেমার নায়ক। হাঃ হাঃ। যতটা আশা ছিলো ততোটা ভালো লাগলো না। তবে মিলিয়ে মিশিয়ে সময়টা ভালোই কাটলো। ধন্যবাদ ভাই 🤗
আমি মাঝেমধ্যে অনেক নামকরা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে ধরা খাই কারণ অনেক সময় অনেক নাম শুনে যাই কিন্তু গিয়ে দেখি অবস্থা বেশি খারাপ।
আপনার মাসালা দেখে ভালো লাগতেছে তবে স্বাদ বারোটা।
এদের নাম প্রচুর না, তবে এর যে ব্রান্ডের নামে চলে তাদের বেশ নাম এবং তারা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়। আশাহত হলাম, বিশেষ করে বাটার নানে।
তন্দুরি বেশ ভালো তবে বাকিগুলো খুব একটা না।
আপনি সম্ভাবত ওপার বাংলা থেকে বলছেন, জিপসি নাম টা আমার অনেক কমন এর আগেও আমি ফেসবুক পেজ এ একটা ফুড ব্লগার এর রিভিও এর মাঝে শুনেছিলাম। আপনাদের মেট্রো চালু হয়েছে, আমাদের মেট্রো ও হবে, সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার সংক্ষিপ্ত অনুভূতির বিবরন পড়ে।
অসাধারণ সুন্দর লেগেছে ভাই আপনার রেস্টুরেন্ট রিভিউ টি। বিভিন্ন সুস্বাদু খাদ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি এবং দারুন উপস্থাপন আমার মুগ্ধ করেছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল