ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রবেশিকা পরীক্ষায় // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আর পাঁচটা রোববারের থেকে এই রোববারটা একটু ভিন্ন ছিল, সৌজন্যে আমার ভাইপো। তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলাম ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির পরীক্ষায়। নবম শ্রেণী থেকেই ওর ইচ্ছে ছিল ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রবেশিকামূলক পরীক্ষায় বসার। নিয়মানুযায়ী সেই পরীক্ষায় একমাত্র একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার দেবার পরেই বসা যায়। গতবছরই ভাইপো একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দেবার সাথে সাথে এনডিএ ফর্ম ফিলাপ করে কিন্তু দুর্ভাগ্য করোনার প্রকোপের কারণে পরীক্ষাটাই দিতে পারেনি। এবছরের যখন সুযোগ পেলো পরীক্ষায় বসবার, হাতছাড়া করেনি। আর পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক, দ্বিতীয় কোনো বাধাও ছিল না তাই পরীক্ষা দিতে এসেছিল সুদূর দক্ষিন দিনাজপুর জেলা থেকে।
পরীক্ষার সিট ছিলো সন্তোষপুর শিক্ষায়তনে, একদম কলকাতার উত্তরে। কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পাশেই। ও দিকটায় আমার যাতায়াত নেই কিন্তু এখন তো কোনো কিছুই আর দূরে নয় যখন হাতের মুঠোয় গুগল ম্যাপ। আবহাওয়া সকাল থেকেই বেশ মেঘলা ছিলো, সাথে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। আকাশ ভালো না লাগলেও দিনের বাড়ার সাথে সাথে মেঘলা আকাশের সুফল পাই।
ইএম বাইপাস ধরে সোজা পৌছালাম কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতার এই অংশটা পরিকল্পনামাফিক তৈরী তাই সবকিছুই যথেষ্ট গোছানো। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামটাও নতুন, আগে যাদবপুর স্টেডিয়াম নামেই পরিচিত ছিল। ২০২০ পুরো সালে করোনাকালীন সময়ে পুরো স্টেডিয়ামটাকেই করোনা হাসপাতাল পরিণত করা হয়েছিল। ২০২১ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজ্য সরকার আমূল সংস্কার করে নতুনভাবে খুলে দেয়। মূলত কলকাতার প্রিমিয়ার লিগের মাঠ হিসেবে পরিচিত মাঠটিতে ১২ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর হোম গ্রাউন্ড।
কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পাশ দিয়ে মিনিট পনেরো হেঁটেই পরীক্ষার কেন্দ্র সন্তোষপুর শিক্ষায়তনে পৌঁছে যাওয়া গেলো। পরীক্ষার্থীদের ভীড় সকাল থেকেই ছিলো তবে নিট পরীক্ষায় যে পরিমাণে পরিক্ষার্থী ছিলো তাঁর এক চতুর্থাংশই দেখতে পেলাম। আর উৎসাহে যথেষ্ট ভাটা ছিল, কারন জানা নেই তবে আমার মনে হলো, ঠান্ডা আবহাওয়াই এর মূল কারন।
পরীক্ষা দুই হাফে, প্রথম হাফে অঙ্ক আর দ্বিতীয় হাফে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইতিহাস, সাধারণ জ্ঞান। প্রবেশিকামূলক পরীক্ষায় পাশ করলে তারপরে ইন্টারভিউ হয়, চলে তিন সপ্তাহ জুড়ে। ইন্টারভিউয়ে পাশ করতে পারলে ৪ বছরের পড়াশোনা সাথে ট্রেনিং। কোর্সের শেষে ভারতীয় স্থল সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা আর ভারতীয় জল সেনার কোনো একটি বিভাগে কমিশন প্রাপ্তি। খুব সম্মানীয় পদ।
ভাইপোকে পরীক্ষায় ঢুকিয়ে আমি আর দাদা ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম। মশালা ধোসা। জানিনা কেন, বসে থাকলে যেন বেশি খিদে পায়, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই আবার খিদে পেয়ে। প্রথম হাফের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই এক প্লেট করে চিকেন বিরিয়ানি কোথায় উবে গেলো! সারাদিন ফুটপাতে বসে থাকার উপঢৌকন বললেও চলে 😛। মাঝে মাঝে নিজের এবিলিটি নিয়ে আশ্চর্য হয়ে যাই 🤐। স্ববিরোধী আচরণ আরকি। খিক খিক।
পরীক্ষা শেষে ভাইপোর অভিজ্ঞতা শুনে বেশ ভালো লাগলো।আমি নিজে এনডিএ পরীক্ষায় বসিনি, জেলার দিকে এসবের বিশেষ প্রচার নেই। যদি জানা থাকতো অবশ্যই চেষ্টা করতাম। ভাইপোর আমাদের মুখে শুনে চেষ্টাটা অন্তর করলো, এখন শুধু ফলাফলের অপেক্ষা...
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার ভাইপোর জন্য দোয়া রইলো,সামনের পথ চলা সুন্দর এবং সাফল্যের বাতাসে সুবাসিত হোক। অনেক সুন্দর দিন কাটিয়েছেন খাবারটা অনেক সুন্দর ছিলো। সব থেকে বেশি ছিলো আপনার মুখের হাসিটা দাদা। আপনার কথা যেমন সুন্দর হাসিটা তার চেয়ে অন্বক বেশি সুন্দর। আপনার জন্য মন থেকে দোয়া রইলো দাদা।
ফুটপাথে বসেই সারাটা দিন কাটলো ভাই! হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ ভাই 🤗
প্রথমেই বলি তোমার ভাইপোর জন্য শুভকামনা রইল যাতে অবশ্যই সে উত্তীর্ণ হয়। আর যে কথাটা না বললেই নয় ভালোই একা একা খাচ্ছ বলো। যাইহোক খুব ভালো লাগলো তোমার রোববার টা খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছো দেখে। ধন্যবাদ তোমার অভিজ্ঞতা টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ভেবেছিলাম চন্দননগর যাবো, Idea দিলাম আর তোমরা তো দুজনে মিলে ভোর ভোর চলেই গেলে। Idea আর share করছি না 😛।
ভাই আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাই বলতে কি আমার বাসা বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা।আপনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুর কিছুটা মিল রয়েছে। আপনার ভাইপোর জন্য শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
মিল তো রয়েছেই। পাশাপাশিই! এপার আর ঐপার। ধন্যবাদ 🤗
আজকের জন্যে সব কিছু সুন্দর ছিল , দাদা যেই না হাসি দিলেন আপনি বাকি কিছু আর দেখার দরকার পরে নাই ,খাবার গুলা অনেক টেস্টি ছিল সেটা দেখে অনুমান করা যাই , তবে এই ধোসা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে , আপনার ভাগিনার জন্যে অনেক দয়া রইলো দাদা , সবসময় এমনি ভাবে ভালো কাটুক।
ধন্যবাদ 🤗। হাঃ হাঃ! ধোসাটা সত্যিই দারুন ছিলো।
ভাইপো 😛
এটাকে আমাদের এখানে আইএসএসবি বলে।
আমাদের এখানে এই কমিশন অফিসারদেরকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদবি দেওয়া হয়।
আপনার ভাইপোর জন্য শুভকামনা আর আপনি চেষ্টা করলেও হয়তো ভালো করতেন কারণ আপনার কথা বলার ভঙ্গিমাটা অনেক সুন্দর যেটা ভাইবার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাহ! সব দেশেই প্রায় একইরকম।
ভালোভাবে প্রিপারেশন নিলে হয়তো ইন্টারভিউ রাউন্ড পর্যন্ত যেতেই পারতাম।
ভাইপোর কি হয় দেখা যাক। ধন্যবাদ দাদা 🤗
দোয়া করি আপনার ভাইপোর পরীক্ষার ফলাফল যেনো খুব বেশি ভালো হয়। আর আসলে আমিও চিন্তা করছি এতগুলো খাবার কি করে পেটে হজম হয়ে যায়!!
বলুন তো এটা কি পেট নাকি কোনো ছোট খাটো ট্যাংক?
বলবেন কিন্তু হিহিহিহি। 😜
আমিও অবাক হয়ে যাই। হয়তো মাঝে মাঝে পেটটা ট্যাংক হয়ে যায় 😁।
পরীক্ষা দিয়ে অতন্ত শান্তি পেলো।