মাছ ধরার চেষ্টা আর ডিসকর্ড হ্যাং-আউট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


৩০-শে সেপ্টেম্বর, ২০২১


নমস্কার,

দুদিনের প্ল্যানে কলকাতা থেকে সুদূর সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বাড়ি আসবার কারণ একটাই ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানানোর। তাই ৩০ তারিখ অর্থাৎ আজ সকাল থেকেই বাড়িতে হুলুস্থুল কান্ড, মা ঝটপট করে রান্না করছে, তাড়াতাড়ি করে যাবার প্রস্তুতি। আমিই সবার আগে বেরিয়ে যাই, যেখানে কাজ হবার কথা সেখানে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে, তাছাড়া গিয়ে লাইন দিতেও হবে। বেলা দশটার আগেই পৌঁছে গেছি।

নিজস্বী | w3w
তবে ওখানে পৌঁছেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ঢুকেই শুনি আজকে আর কার্ড বানানো হবে না। প্রচুর লোকজন এসেছিলো, সবাই বেজার মুখ করে বাড়ির পথে এগোচ্ছে। কিছুজন আশায় বসে আছে যদি মন পরিবর্তন হয়।


অপেক্ষারত মানুষ | w3w

কলকাতা থেকে এসে কাজের কাজটি হলো না। আমার আসাটাই মাটি হয়ে গেলো। শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক স্ক্যান টাই বাকি ছিলো। যাক কি আর করা, বাড়ি ফিরে আসা ঠিক করলাম। বর্ষার ঠিক পরে, বিশেষ করে সেপ্টেম্বর আর অক্টোবর মাস আমাদের দিকটায় গ্রামাঞ্চল গুলো খুবই সুন্দর দেখায়। বাড়ি আসার পথে এক কিলোমিটার রাস্তায় চারপাশে গাছ গাছালিতে ভর্তি হয়ে থাকে, এই জায়গার একটা ভিডিও শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।


বাড়ি ফেরার পথে | w3w

বাড়ি এসে সোজা পুকুর পাড়ে দৌড়ালাম তার কারণ বাড়িতে নেটওয়ার্কেরই দুরবস্থা তার উপর ইন্টারনেট তো পাওয়াই যায় না। পুকুর পাড়ে বসে মশার কামড়ের খেয়ে স্টিমিট খুললাম, পাশাপাশি আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে চ্যাট করছি। হাফিজ দার সাথে কথায় মনে হলো, বসে বসে মশার কামড় যখন খাচ্ছি সাথে হাত বড়শি দিয়ে মাছ ধরা যেতেই পারে। যেমন ভাবা তেমন কাজ, অল্প পাউরুটির দিয়ে মাছের টোপ নিয়ে বসে পড়লাম।

মাছের চার
ব্যর্থতা কপালে থাকলে কে আটকায়!! প্রায় ঘন্টাতিনেক বসে থাকলাম কিন্তু ভাগ্যে দু এক বার মাছের ঠোকর বাদ দিয়ে কিছুই জুটলো না। সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকলাম, একটা মাছের আশায়। শেষপর্যন্ত ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই জোটেনি।


মাছের আশায়


সন্ধ্যে বেলায় চা খেয়ে মোবাইল চার্জে বসিয়ে দিলাম, তারপর মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে কখন ২ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। ৮:৩০ দিকেই অনলাইন হয়ে গেলাম, নটা থেকে শুরু। রাতের বেলা তাই পুকুরপাড়ে আর যাইনি বাড়ির পেছনে কুয়োর পাশে বসলাম।

কুয়োর পাড়
হ্যাং আউট রাত নটার সময় শুরু হলেও কার্যক্রম শুরু হতে একটু সময় লেগে যায়। তারপর প্রতি সপ্তাহের মতোই এডমিনরা তাঁদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিলেন। আমারা কিভাবে আরো ভালো ব্লগার হতে পারবো তা নিয়ে অনেক কিছু জানালেন। আজকে আরেকবার হিরোইসম প্রজেক্ট নিয়ে দাদা আমাদের সাথে আলোচনা করলেন। চললো পুরস্কার বিতরণ আর গান। রাত সাড়ে এগারটা পর্যন্ত বসে থাকার পরে আমি আর পারছিলাম না। মশার কামড়ে আর খিদের জ্বালায় সবাইকে শুভরাত্রি জানিয়ে বিদায় নিলাম।

Sort:  
 3 years ago 

ভাইয়া মাছ না পেলেও এটা কিন্তু খুব ভালো লাগা ছিল আমি মনে করি। মাছ ধরতে যাওয়ার ভিতর একটা আলাদা ফিল কাজ করে। ধন্যবাদ অল্প কথায় হ্যাং আউট এর বিষয় তুলে ধরার জন্য।

 3 years ago 

হ্যাঁ, খুব মজা পেয়েছি। কতদিন পরে ছিপ নিয়ে বসলাম নিজেই জানিনা। ধন্যবাদ ভাই 🤗♥️

 3 years ago 

মাছ না পাওয়ার হতাশা আশা করি মশার কামড়ে ভুলে গেছেন। 🤪
মাছ পেলে দেখাবেন কিন্তু অবশ্যই।
মাছ ধরা দেখতে খুব ভালো লাগে আমার।যদিও পারিনা একদম।

 3 years ago 

সে আর বলতে! যা খেলাম পুরো চাকা চাকা দাগ করে দিয়েছে। 😭

 3 years ago 

দিনটি মনে হচ্ছে খুবই পেরেশানির মধ্যে গেছে। শুভ কামনা রইলো।

 3 years ago 

কাজ না হলে একটু খারাপ লাগেই। তবে সবই তেনাদের ইচ্ছে। 😆

 3 years ago 

আগে আমিও ঠিক এভাবে মাছ ধরতাম আপনার মাছ ধরা দেখে অনেক ভালো লাগলো আর পুকুরের মাছ ধরার মজাই আলাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া

 3 years ago 

সত্যিই খুবই মজা লাগে। তবে আর বাড়ি আসাও হয় না, সময় পাওয়াও যায় না। ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

গ্রামের বাড়ীতে গেলে মাছ ধরাটা বেশ উপভোগ করি আমি, তবে আপনার জন্য দুঃখ হচ্ছে দাদা, একটা মাছও ধরতে পারলেন না। মাছেরা সব দল বেধে আপনাকে এইভাবে ফাঁকি দিলো, হি হি হি।

আমাদের এই দিকে এখন খুব একটা কুয়ো দেখা যায় না। ধন্যবাদ

 3 years ago 

মাছ ধরতে পারি নি তবে অনেক মশা মেরেছি। খিক খিক।

আমাদের দিকেও কুয়ো কমে গেছে তবে আমাদের বাড়িতে এটাই এখন ভরসা।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.11
JST 0.035
BTC 67073.39
ETH 3222.70
USDT 1.00
SBD 4.12