২০-শে ভাদ্র, ১৪২৮// চাউমিন, কাজ আর রাকেশের গিফট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


৬-ই সেপ্টেম্বর, ২০২১


নমস্কার,

আজকে সকালবেলা কি মনে হলো হঠাৎ চাউমিন রান্না করার ইচ্ছে জাগলো। আগে মাঝেমধ্যেই চাউমিন বানিয়ে খেতাম, তবে শরীরের কথা ভেবেই আর খাই না। একেই কার্বস তার উপরে এতো তেল তেলে। সেসব কথা থাক। আমরা রান্নার দিকে এগোই।

আমি বাজারে পাওয়া যাওয়া সাধারণ চাউমিন ব্যবহার করেছি। বাড়িতে বেশ কয়েকজন লোক তাই দুটো প্যাকেট লেগেই যায়।


কাঁচা চাউমিন

  • (১) প্রথমে একটা কড়াইতে খানিকটা জল গরম হতে দিলাম। তারপর চাউমিনের প্যাকেটটা মাঝখান থেকে ভেঙে নিলাম। তারপর কড়াইয়ের জলটা একটু হালকা ইসদুষ্ণ হয়ে গেলেই কাঁচা চাউমিন দিয়ে দিলাম।
জল গরম করতে দিলাম
চাউমিন গরম জলে দিলাম

  • (২) মিনিট তিনেক সিদ্ধ করে নিলাম। আঙ্গুল দিয়ে টিপে দেখে নিলাম বাইরেটা পুরো নরম হয়ে গেছে ভেতরটা একটু শক্ত আছে, এই অবস্থায় নামিয়ে চাউমিন গুলোকে ঠান্ডা জলের তলায় রেখে দিলাম। একটু গরম ভাব কমলে জল ঝরতে রেখে দিয়ে অন্য কাজে গেলাম।


চাউমিনের জল ঝরছে

  • (৩) অল্প বিনস, গাজর, পেঁয়াজ আর লঙ্কা কুচি কুচি কেটে ধুয়ে নিলাম।


সবজি পরিষ্কার করে রাখলাম

  • (৪) তারপর ওই কড়াইটা আবার ওভেনে তুলে তেল দিয়ে দিলাম। তেল তেঁতে গেলে সবজি গুলো দিয়ে দিলাম। খানিকটা ভাজার পর সবজির ব্রাউন রং এলো আর অল্প নরম হয়ে গেলো।
সবজি গুলো ভাজছি
ভাজা হয়ে গেছে

  • (৫) এরমধ্যেই চারটে ডিম ফেটিয়ে দিয়ে ডিমের ভুজিয়া বানালাম।


ডিমের ভুজিয়া

  • (৬) অল্প সবজি আর ভুজিয়া একটা বাটিতে দূরে সরিয়ে রাখলাম। আর কড়াইতে বাকি সবজির মধ্যে অর্ধেক চাউমিন দিয়ে দিলাম, একটু মিক্স করে নিয়ে তাতে অল্প ভিনিগার আর অল্প সোয়া সস দিয়ে ভালো করে সব মিশিয়ে দিলাম।
চাউমিন দিয়ে দিলাম
ভালোভাবে মেশাচ্ছি

  • (৭) আজকের সকাল বেলার জলখাবার তৈরী।


সকালের জলখাবার, এগ চাউমিন


সকালে এতো ভারী খাবার খেতে দুপুরে আর কিছু মুখ তুলিনি, স্নান করেই কাজে বেরিয়ে পড়লাম।

নিজস্বী | w3w
কাজ আর চা | w3w
আজকে বিশেষ একটা কাজ নেই, শুধু কিছু ডাটা এন্ট্রি বাকি। সেগুলো করতে বেশি সময় লাগলো না। আজকাল বাড়ি থেকেই কাজ করে দিই তাই কাজের চাপ বিশেষ একটা থাকে না, কিছুদিন টুকটাক কাজ করলেই হয়ে যায়। ধীরে সুস্থে কাজ সেরে রাখলাম।

সন্ধ্যের দিকে বাড়ি ফিরবো ফিরবো করছি হঠাৎ আশীষ বললো আগামীকাল রাকেশের জন্মদিনের গিফট কিনতে যাবো আমি যাবো কিনা। আমি না বলিনি, বেশ ভালো লাগে।এক দোকানে গিয়ে বেশ কিছু ব্লুটুথ হেডফোন কিনে তবেই বাড়ি ফিরলাম।

গিফট কিনতে আমরা | w3w
গিফট | w3w

আগামীকাল আবার বন্ধু বান্ধব সব একসাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হবে।

১০% পেআউট @shy-fox কে

Sort:  
 3 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর করে চাউমিন তৈরী করেছেন। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই 🤗। তবে রেসিপি কম দিনপঞ্জি বেশি। খেতে ভালোই হয়েছিল। সরু চাউমিন টা সেদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি হয় তাই খুব সাবধান থাকতে হয়।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 3 years ago 

আমারও এটি ভীষণ পছন্দের একটা রেসিপি। আমার খুবই প্রিয়। তুমি খুব সুন্দর বানিয়েছেন। অনেক শুভেচ্ছা রইলো দাদা

Esos fideos tienen muy buena pinta 😋

 3 years ago 

Gracias! Bit overfried (my mistake) but no compromise in taste.

 3 years ago 

খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি দাদা।চাউমিন আমার খুবই পছন্দের খাবার কিন্তু বেশি খেতে পারি না।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

একদিন ভালো করে রেসিপিটা লিখবো। আজকে দিনপঞ্জিই ছিলো।

চাউমিন আমারও খুবই পছন্দ

 3 years ago 

আপনার চাউমিন রান্না রেসিপি টা খুবই ভালো হয়েছে। চাউমিন আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা

 3 years ago 

চাউমিন আমারও খুব ভালোলাগে, তবে অনেক তৈলাক্ত বলে খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাই 🤗

রান্নার রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন।বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়টি মনে হচ্ছে খুব আনন্দের ছিল।গিফট আইটেম টা বেশ ভালো হয়েছে।

আগামীকাল আবার বন্ধু বান্ধব সব একসাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হবে।

অগ্রিম চমক এটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 3 years ago 

হুট করে রান্না করার কথা মনে হলো। আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবো। আরেকদিন আরো পরিপাটি করে বানাবো।

চমক তো আছেই। জন্মদিনে দারুন মজা করা হয়েছে।

 3 years ago 

চাউমিন খাবারটা সাথে আমার আলাদা একটা ভাব আছে।ব্যাপারটা খুব জটিল তা আবার না।মানে হচ্ছে একদম ঝটপট বানিয়ে নেওয়া যায়, তার উপর আবার খুব ঝাল ঝাল করে করলে তো কথাই নেই।আমি আবার অসম্ভব ঝাল প্রেমী। ঝাল ঝাল চাউমিন রান্না করতে ও সময় লাগে খুব কম।তার জন্য আপনার রেসিপিটাও আমার কাছে এক্কেবারে ১০০ তে ১০০ খাঁটি এবং প্রিয়।

 3 years ago 

ঝাল খাওয়া তো রক্তে, তাইনা! তবে আমি বিশাল ঝাল দিইনা। বাড়ির অন্যদের অসুবিধে হয়। বিশেষ করে আমার দিদির। তবে খাবার সময় আমি অল্প লঙ্কা কুঁচিয়ে নিয়ে নিই 😁।

কোথায় আর পারলাম। কমিউনিটিতে আরো ভালো ভালো রেসিপি হয়।

 3 years ago 

না না। ভালো রেসিপির চেয়ে বড় ব্যাপার চোখের শান্তি।আহা, দেখেই তো ভালোই লাগে।
আমি আমার ওদিকটায় একটু খারাপ।ঝাল দিয়ে ফেলি বেশি। পরে আম্মু বকে কারণ ছোট ভাইরা খেতে তো পারেনা।

 3 years ago 

চোখের শান্তি তো বটেই। বাইরের থেকে বেশি ভালো। ঝাল আমিও ভালোবাসি। তবে যা গরম আবহাওয়া পুরো ঘেমে নিয়ে একসা হয়ে যাই।

 3 years ago 

তারা কি ব্যাচেলর জীবন যাপন করছেন? আপনার রান্না ভাব দেখেয় তেমনই মনে হচ্ছে। চাওমিন আমারও পছন্দের খাবার। তবে সবসময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয়। বাসায় নরমাল নুডুলস খাওয়া হয়। অল্পের ভিতরে সুন্দর করে রান্না করেছেন। দাদার দেখছি বিভিন্ন রকম দাওয়াত লেগেই আছে। বেশ মজা করে জীবনটা পার করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

কারা ব্যাচেলর দাদা?

দোকানের খাই। তবে মাঝে মধ্যে বাড়িতেও বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করে। তাই সোয়া সস আর ভিনিগার সব সময় মজুত রাখি 😁।

খাওয়া তো লেগেই থাকে। তবে ইদানীং একটু বেশিই রিচ খাবার খেয়ে ফেলছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57431.51
ETH 3085.99
USDT 1.00
SBD 2.35