জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৪ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৪ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রত্যেক দিনের ন্যায় সেহরি খেয়ে আজকে সকাল বেলায় অল্প একটু ঘুমিয়ে ছিলাম যেহেতু কোচিং কালকে থেকে বন্ধ হয়েছে তাই ভেবেছিলাম একটু অল্প সময়ে ঘুমানোর পরেই চুল কাটানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হব। কিন্তু অল্প একটু ঘুমাতে গিয়ে বেলা প্রায় আটটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বাইক বের করে চুল কাটার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সেখানে অনেক ভিড়। তারপরে আমি সিরিয়াল দিয়ে সেখানে আশেপাশে বেশ কিছু সময় বাইক নিয়ে ঘোরাফেরা করেছিলাম। অবশেষে এগারো টার দিকে আমার সিরিয়াল এসেছিল। চুল কাটানো শেষে বাড়িতে এসে অল্প একটু বাজারে গিয়েছিলাম। বাজার থেকে এসে কিছু সময় বসে ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করে ফেলি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে যখন অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো হয়েছিল তখন আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। সবার প্রথমে আপুকে ক্ষীর খাইয়ে ছিল আপুর দাদি। লাল শাড়ি পড়ে ক্ষীর খাওয়াতে এসেছিল আপুর ছোট চাচী। এবং কালো বোরকা গায়ে দিয়ে ক্ষীর খাওয়াতে এসেছিল আপুর মেজ মামি। সকলে যখন অনেক সুন্দরভাবে ক্ষীর খাওয়াতে ছিল আমি তখন ক্যামেরাম্যানের সাথে বেশ দারুন ভাবে আমার মোবাইলেও ছবিগুলো ধারণ করেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আপুর বিয়েতে আমরা সকলেই বেশ মজা করেছিলাম। আপুর বিয়ের প্রায় তিন দিন আগে আপুদের বাসাতে গিয়েছিলাম বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য। সব মিলিয়ে বাড়ি থেকে অনেকদিন পর বেশ কয়েকদিন আত্মীয়র বাড়িতে বাড়ানো হয়েছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। ক্ষীর খাওয়ানো শেষে আপুর সাথে ছবি তোলার জন্য অনেকেই আবদার করেছিল তাই আপুর সকলের সাথেই বেশ কিছু ছবি তুলেছিল। আপুর বড় ফুপুর মেয়ের সাথে আপু বেশ দারুন একটি ছবি তুলেছিল সেটিও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বরপক্ষ যখন খেতেছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে বরের প্লেটের ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। এমনিতেই বিয়ের দিন বর খেতে একটু লজ্জা পায় কিন্তু বরের পাশে বরের দুইটি দুলাভাই ছিল বেশ দারুন খেয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে আপুর বিয়েতে বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারো আপনাদের মাঝে দুটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষে আপুর সাথে দুলাভাইকে যখন বাড়িতে বসানো হয়েছিল তখন বেশ কিছু ছবি তোলা হয়েছিল সেখান থেকে আমিও একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সবার শেষে আমি দুলাভাই এবং আপুর ছোট ভাই তিনজন মিলে আমরা বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম। এমনিতেই ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগে। সব মিলিয়ে আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চুল কাটার শেষে আপনি বাজার থেকে এসে কিছু সময় বসে আপনি আমাদের সাথে আপনার আপুর বিয়ের কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি আপনার আপুর বিয়েতে অনেক আনন্দ করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার আইটেম ও অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
বিয়ে মানে আনন্দ বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া। দেখতে দেখতে আপনি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৪ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললেন। আর এই পর্বে আপনি আপনার আপার মুখে খেত দেয়ার অংশটা তুলে ধরেছেন। আসলে ক্ষীর দেয়ার সময় বাড়ির আশেপাশে চাচা চাচি দাদিরা সবাই খিদেতে আসে এই মুহূর্তটা অনেক সুন্দর। এত চমৎকার একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক আছে মামা আপনি আসলে ক্ষীর দেওয়ার সময় বাড়ির আশেপাশের প্রতিবেশীরা সকলেই ক্ষীর দিতে আসে।
তোমার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে লেখা ১৪ তম পর্বের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিয়ের আনন্দ উপভোগ করার মজাই আলাদা। একই সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেও কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছি।কিছু ফটোগ্রাফিও আগে আপনি শেয়ার করেছিলেন সেই পর্বে।যাইহোক ক্ষীর খাওয়ানোর দৃশ্যটি সুন্দর ছিল।সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে মেয়েদের সবারই একই হলুদ কিংবা সাদা ড্রেসগুলিতে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে মেয়েদের এরকম সাজে আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
আপনি আপনার আপুর বিয়ের পর্বগুলো একের পর এক আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন আজকেও৷ প্রতিনিয়ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ যার মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি৷ আজকে এর ১৪ তম পর্ব শেয়ার করেছেন৷ একইসাথে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেকগুলো পর্ব দেখতে পাবো।
https://x.com/GKibreay/status/1779448018863030733