ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ২৩ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১১-০৬-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ২৩ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে বাড়ির পাশে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। খাবার দেওয়া শেষ করে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কোচিং শেষ করে তুহিন মামার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম আজকে। মামা ভাগ্নে বেশ দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপর আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে আজকে আমাদের গরু গুলোকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। তাই আজকে আপনাদের মাঝে সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.....
আপনার প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আমার একটি ছবি শেয়ার করেছি। এই ছবিটি তোলা হয়েছিল সিলেট ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে। আসলে সিলেট ভ্রমণের বন্ধুদের সাথে সত্যিই বেশ দারুন মজা করেছিলাম। এমনিতেই বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় যদি ঘোরাঘুরি করা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। প্রত্যেক বছর আমাদের কলেজ থেকে অনেক বড় বড় ট্যুর দেওয়া হয়। এবার সব থেকে আমাদের কলেজের বড় জার্নি ছিল সিলেট ভ্রমণ। সিলেট ভ্রমণের প্রায় চারদিন আমরা বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম সকলে মিলে।
আপনার এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মধ্যে কর ঝরনার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যিই আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। আসলে এর আগে কখনো আমি পাহাড়ের ঝরনা দেখেছিলাম না। মহান আল্লাহ্ তাআলার অশেষ সৃষ্টির রহমত দেখে সত্যি বেশ অবাক হয়েছিলাম। ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে গোসল করার মজাই ছিল বেশ আলাদা। আসলে সিলেট ভ্রমণের সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে প্রত্যেক জায়গায় গোসল করার মত পর্যাপ্ত পানি ছিল। আমরা প্রত্যেকটি স্পটে গোসল করেছিলাম। ইকো পার্কের মধ্যে পাহাড়ের একটা গুহা ছিল সেটাও দেখতে বেশ দারুন।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। এই ছবি দুইটা আমি সংগ্রহ করেছিলাম সিলেট জাফলং থেকে। আসলে জাফলংয়ে বেশ অপরূপ দৃশ্য দেখতে পেয়েছিলাম আমরা। সেখানে বাংলাদেশ এবং ভারতের দুই দেশের সীমান্ত বেশ স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম। সেখানে আমরা ভারতের ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে পেয়েছিলাম সত্যি এটা সবথেকে আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছিল। হঠাৎ বিজিবি ক্যাম্পের উপরে আমরা দেখতে পারি একজন বিক্রেতা আচার বিক্রয় করছিল। আমি বাড়ির জন্য অল্প কিছু আচার নিয়ে ছিলাম এবং বন্ধুদের সাথে সেখানে আচার কিনে ভাগাভাগি করে খেয়েছিলাম। আমার কাছে চালতার আচার সব থেকে ভালো লেগেছিল।
এবার দেখতে পারছেন আমি যখন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে গোসল করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তার আগ মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করেছি। এবং আমারও যখন বাড়ি থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম মাঝপথে এসে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। হোটেলে খাওয়া দাওয়া শেষে বন্ধুরা বাইরে একটু রেস্ট নিয়েছিলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা তিন বন্ধু অনেক সুন্দর ভাবে সেলফি তুলে ছিলাম। সেখান থেকে আমি একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সব মিলিয়ে লং জার্নি আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে গোসল শেষে ড্রেস চেঞ্জ করে আবারো ছবি তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আসলে সেখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাকে সব থেকে বেশি মুগ্ধ করেছিল। চারিদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড় দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে এর আগে কখনো আমি নিজের চোখে পাহাড় দেখেছিলাম না। এই সিলেট ভ্রমণে পাহাড় দেখে সত্যি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। এমনিতেই বন্ধু-বান্ধবের সাথে যদি কোথাও ঘোরাঘুরি করা যায় বেশ ভালো লাগে। সিলেটের সবথেকে বড় যে জিনিসটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল চা বাগান। কিন্তু চা বাগানে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন আমার মোবাইল বন্ধ ছিল কোন চার্জ ছিল না। তাই চা বাগানের ছবি আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করতে পারি নাই। কিন্তু সেখান থেকে অনেক চা এর পাতি কিনে নিয়ে এসেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/GKibreay/status/1800392175173427301
বন্ধু তুমি আজকে আবারও সিলেট ভ্রমণের আরও একটি নতুন পর্ব নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছো। তোমার এর আগের শেয়ার করা পর্বগুলো আমি দেখেছি। আসলে কোন জিনিসটাই আনন্দের আর তা যদি হয় বন্ধুদের সাথে তাহলে তো সেই মুহূর্তটা আরো বেশি আনন্দের হয়ে থাকে। তোমার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে তোমার বেশ কয়েকটি পোচ এর ছবি দেখে ভালো লাগলো। সেই সাথে তোমরা ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলে এটা বুঝতে পারলাম। খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছ। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
সিলেট জায়গাটি শুনেছি অনেক সুন্দর। সিলেটে হচ্ছে দেখার মতো একটি জায়গা। সাদা পাথর, জাফলং ,শ্রীমঙ্গল, সুনামগঞ্জ হাওর আরো অনেক কিছু। তার ওপর আপনি বন্ধুদের সাথে গেছেন বন্ধুরা মানেই মজা আনন্দ বিনোদন একটুর মাঝেই অনেক মজা। সিলেটে আপনাদের ভাইয়া ও গিয়েছিল ও বলে জায়গাটি অনেক সুন্দর । আর আমি ওর ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও দেখেছি অনেক সুন্দর। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারলাম আসলেই জায়গাটি অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সিলেটের জায়গাগুলো দেখতে সত্যি বেশ চমৎকার। ভাই আর আপনি দুজন মিলে গিয়ে খুব দ্রুত ঘুরে আসেন আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আপনার সিলেট ভ্রমণের ২৩ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই খুশি হলাম৷ এখানে আপনি খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আপনার কাছ থেকে একের পর এক ফটোগ্রাফিগুলো দেখার মাধ্যমে এই সিলেটের সবগুলো জায়গা যেন চেনা হয়ে যাচ্ছে৷ পরবর্তীতে গেলে যেন সবকিছুই পরিচিত মনে হবে৷
ঠিক বলেছেন ভাই এখন জায়গা গুলো দেখে চিনে রাখেন পরবর্তীতে গেলে ভালো লাগবে আশা করি।