জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৫ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৫ তম পর্ব। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমেই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। আসলে কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আজকের ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বেলা নয়টার দিকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিব তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করে ডাক্তার দেখাতে যাব। আসলে শরীর মন ভালো না থাকলে কোন কিছুতেই মন বসে না। তাও চেষ্টা করি সারা দিনে অল্প কিছু সময় আপনাদের মাঝে সময় দেওয়ার জন্য। এর আগে একবার এই সমস্যার কারণে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম ডাক্তার আমাকে অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্যাটা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়েছে তাই আজকে আবার ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ হয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা প্রথমে উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বেশ কিছুদিন আগে আমি আপুর বিয়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। আপুর বিয়েতে বেশ মজা করেছিলাম। আপুর বিয়ের বেশ কয়েকদিন আগেই বাড়ি থেকে আমি এবং আমার দাদি দুজন গিয়েছিলাম। প্রথমে ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আপুর পাশে বসে থাকা আপুর বান্ধবী আপুকে অনেক সুন্দরভাবে ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আপনার এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আবারও দুটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। ক্ষীর খাওয়া শেষে আপুর সাথে ছবি তোলার জন্য সবাই বেশ আবদার করেছিল। তাই আপু সহ আপুর ফুফাতো ও মামাতো বোন এবং আমরা সকলে মিলে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। আসলে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম আমি নিজের হাতে। এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল প্রায় রাত নয়টার দিকে তখন ডিএসএলআর ক্যামেরাম্যান ছিল না কিন্তু ডিএসএলআর ক্যামেরা আমার কাছে রেখে গিয়েছিল আমি ক্যামেরা দিয়ে এবং আমার মোবাইল দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। একই রঙের হলুদ শাড়িতে আপু এবং ছোট্ট মেয়েটিকে বেশ মানিয়েছে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আপুর সাথে সেখানে থাকা সকলের ছবি তোলার পরে আমি নিজে আপুর সাথে বেশ কয়েকটি সেলফি তুলে ছিলাম। আসলে আপুদের বাসাতে বেশ কয়েকদিন থাকার পরে আপুর সাথে আমার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমি আর আপু প্রায় সমবয়সী। আপু আমার মূলত কয়েকদিন কার বড়। তারপরে অনেক সুন্দর ভাবে বর আসনে বসে যখন খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছিল তখন আমি সেখান থেকে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । অনেক সুন্দর ভাবে দুলাভাই এবং আপুকে বিয়ে শেষে পাশাপাশি দুইটি চেয়ারে বসানো হয়েছে তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। পাশাপাশি চেয়ারে বসানোর পরে দুলাভাই এবং আপুকে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছিল। মিষ্টি খাওয়ানো শেষে দুলাভাইকে বেশ কিছু গিফ্ট দেওয়া হয়েছিল। তারপরে ক্যামেরাম্যান সহ আমরা বেশ কয়েকজন আপু এবং দুলাভাইকে সাথে নিয়ে ছাদের উপরে গিয়েছিলাম কিছু ছবি তোলার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত দিচ্ছে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপুর বিয়ে অনুষ্ঠানের ১৪ তম পর্ব দেখে আমি ভেবেছিলাম এটাই শেষ পর্ব। তবে পরবর্তীতে আবারো আরেকটি পর্ব দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ছাদে গিয়ে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
তোমার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের 15 তম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম বিয়ের অনুষ্ঠানে এক অন্যরকম আনন্দ অনুভব হয়। যাহোক তোমার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বিয়ের পুরো ফটোগ্রাফি করার জন্য আমরা প্রায় ৬০০০ টাকা দিয়ে ক্যামেরা ভাড়া করে নিয়ে এসেছিলাম।
আপনার বোনের বিয়ের প্রত্যেকটি পর্ব আমার দেখা হয়েছে এবং আজকে এর ১৫ তম পর্ব থেকেও খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে আপনি যেভাবে সবসময় এই পর্বগুলোর মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনেক কিছু শেয়ার করে এসেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগে৷ একইসাথে আপনি সবসময় আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তুলছেন৷
চেষ্টা করেছি ভাই সবকিছু আপনাদের মাঝে বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।