ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৭ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৭ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে আজকে সেকেন্ড ইয়ারে ফরম ফিলাপ করার জন্য কলেজে গিয়েছিলাম। কিন্তু কলেজে যাওয়ার পরে জানতে পারি কলেজ সাত দিন জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরে আবারো সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে মুস্তাফিজুর মামাদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে দুপুরবেলায় খেয়েছিলাম। তারপরে রুমে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম ঠিক পেয়েছিলাম না একবারে বিকেল বেলায় ঘুম থেকে উঠেছি। বিকেল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আমাদের পাশের গ্রামে মাহফিল হচ্ছে ওখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে পড়তে বসেছি তারপরে ফিউচার আর্টিকেল পোস্ট সংক্রান্ত রবিবারের আড্ডায় জয়েন করেছিলাম। নির্দিষ্ট যেই পাঁচজনকে ডাকা হয়েছিল তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ছিল না তাই আমাকে আড্ডায় অতিথি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। সত্যি অতীত হিসেবে থাকতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল। তারপরেই আবারো পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণে যাওয়ার প্রথম দিন সকালবেলায় গাড়ি থেকে নামার পরে সিলেট জাফলং আমরা পৌঁছেছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পরেই সকালবেলায় আমরা নদীতে নেমেছিলাম বন্ধুরা মিলে। নদীর নামার পরে সেখানে একটি প্লাস্টিকের নৌকা দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে এই নৌকায় করে নদী এলাকার মানুষ নদীতে মাছ ধরতে যায়। সেখানে বসে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তারপরে যখন পর্যটকদের ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম। তারপর সেখানে একটি উঁচু জায়গা ছিল সেখানে গিয়ে আমি সকলের ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছিলাম। আসলে প্রত্যেকদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ পর্যটক আসে সিলেটের এই জায়গা গুলো দেখার জন্য।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটির দিকে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি পাহাড়ের উপরে উঠে অনেক সুন্দর ভাবে যেখান থেকে পানি বের হচ্ছিল সেখানে গিয়ে পানি হাতে ধরেছিলাম এবং আমার বন্ধু ছবি তুলেছিল। আসলে এই পাহাড়ের উপরে ওঠা কিন্তু বেশি রিক্স তাও আমরা বন্ধুরা মিলে জায়গাটি দেখতে গিয়েছিলাম। সত্যি আমরা যেখানে উঠেছিলাম নিচ থেকে অনেক মানুষ দেখে ভয় পেয়েছিল। তারপর আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সিলেটের মিয়া বাড়ির সামনে অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মিয়া বাড়িতে দেখার মত কিছু নাই কিন্তু আমরা তাও বন্ধুরা মিলে সকলেই রিকশায় চড়ে মিয়া বাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম। তবে বাড়ির মধ্যের পরিবেশটা সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
আবারো আমি আমার দুইটি ছবি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের এই ছবিগুলো দিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ছবিগুলোর দিকে তাকালেই সেই স্মৃতিগুলো আবারও ভেসে আসে। দুপুরবেলায় আমরা বন্ধুরা মিলে যখন খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেস্ট নিয়েছিলাম তারপরেই এই ছবিগুলো আমি তুলেছিলাম। আসলে আমি এবং আমার বন্ধু পারভেজ বেশ দারুন ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বন্ধু পারভেজের সাথে অনেক সুন্দর একটি ছবি তুলেছেন দেখছি। তাছাড়াও সিলেটের প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগলো দেখে। আপনার পোস্ট পড়ে ও ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এটা তো বোঝা যাচ্ছে যে সিলেট জায়গাটের খুবই সুন্দর। সময় করে অবশ্যই একদিন সিলেট ভ্রমণ করতে যেতে হবে। আপনার পোস্ট দেখে ও পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন ভাবে শেয়ার করার জন্য।
সিলেট ভ্রমণের ১৭ তম পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি শুরু থেকে এই পর্যন্ত যত পোস্ট শেয়ার করেছেন সব আমি লক্ষ্য করেছি। বেশি ভালো লাগলো আপনার সমস্ত পর্ব গুলো দেখে। সিলেটের অচেনা জায়গা গুলো দেখার সুযোগ হয়েছে আপনার মাধ্যমে। আশা করবো আরো যদি ফটো থাকে অবশ্যই আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।
চেষ্টা করব মামা এখনো সিলেট ভ্রমণের পোস্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনার সিলেট ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার সুন্দর এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আমি সিলেটের অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করছি আপনি এই বিষয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। আজকেও অনেক সুন্দর সব ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো, আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
দেখতে দেখতে আজকে এই সিলেট ভ্রমণের ১৭ তম পর্ব শেয়ার করেছেন আপনি৷ আজকের এই পর্ব এর মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং সব সময় আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করার মাধ্যমে ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার মাধ্যমে অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলছেন৷ এখানে দেখছি অনেক মানুষও আছে।
আসলে ভাই সিলেট ভ্রমণের ওই দিন বেশ ধারণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
তা আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালোভাবে বুঝে গেলাম৷ অনেক ধন্যবাদ।