ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৬ তম পর্ব

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। আসলে কয়েকদিন ধরে শারীরিক সমস্যার কারণে বেশ কষ্টের মধ্যে রয়েছে। ঘুম থেকে ওঠার পরেই বাইক নিয়ে বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে বের হয়েছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম খালাদের বাসাতে সেখানে গিয়ে সকলের সাথে দেখা করার পরে অনেক সময় খালাদের বাসাতে ছিলাম। কিছু সময় পরে আমার দুলাভাই ফোন দিয়ে বলে ভাইয়া আজকে চলে যাবে তাই বাইক নিয়ে রাখতে যেতে হবে। তারপরে সেখান থেকে আমি আবারো ভাইয়াকে রাখার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ভাইয়াকে বাসে তুলে দিয়ে এসে আবারো বাড়িতে বসে আছি আসলে শরীরটা বেশ ভালো নয় তাই আপনাদের মাঝে যুক্ত হতে পারছি না সময়মতো চেষ্টা করছি নিজের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। ঘুম থেকে উঠে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা বন্ধুরা মিলে একসাথে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে একটি গ্রুপ ফটো শেয়ার করেছি। আসলে যদি কোন জায়গা ভ্রমণ করা যায় সেখানে যদি বন্ধুরা সকলে মিলে যাওয়া যায় সত্যি বেশ মজা হয়। বিশেষ করে কলেজ থেকে পিকনিকে গেলে সব থেকে বেশি মজা হয়। আমরা কলেজ থেকে সিলেট ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম আসলে সেখানে প্রায় চার দিন আমরা ছিলাম। আসলে যে কোন জায়গা ভ্রমণ করার মধ্যে সেখানে যদি কয়েকদিন থাকা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। তবে সিলেটে বেশ দেখার মত কিছু জায়গা রয়েছে। আশা করি সবগুলো আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করব।

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আমার দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে আমি যেখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাই সেখানে নিজের ছবি তুলতে এবং প্রকৃতির ছবি তুলতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সেখানে ছবি তোলার মতো বেশ কিছু জায়গা ছিল। প্রথমেই সেখানে একটি নৌকা রাখা ছিল সেই নৌকার উপরে আমি বেশ কিছু স্টাইলে ছবি তুলেছিলাম। তারপরে নৌকা থেকে নামার পরে বন্ধুদের সাথে পানির মধ্যে বেশ কিছু স্টাইলে ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রত্যেকটি স্পটে গোসলের জায়গা ছিল সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আমরা বন্ধুরা যখন নৌকায় করে লালাখালে যেতে ছিলাম তখন নৌকাতে বসে বেশ কিছু ছবি তোলা হয়েছিল। আমরা নদী পথে যখন যাত্রা শুরু করেছিলাম সত্যি বেশ ভয় লাগছিল কিন্তু আমাদের পাশের নৌকাগুলোর মানুষ বেশ সুন্দরভাবে দারুন দারুন গান গাইতে গাইতে নৌকা মাধ্যমে পথ পাড়ি দিয়েছিল। এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার দুইটি বন্ধুর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দুই বন্ধু একই স্টাইলের শাট কিনেছিল। আসলে আমাদের সকলের যদি একই শাট হয়তো তাহলে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো। এমনিতেই আমার এই দুই বন্ধুর স্টাইল আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আবারও দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণে আমরা সর্বপ্রথম জাফলং দেখার জন্য গিয়েছিলাম। বাস থেকে নামার পরে জাফলং অনেক সুন্দর ভাবে আমি বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম। শীতের সময় গিয়েছিলাম সকালবেলায় সেখানে বেশ কুয়াশা পড়েছিল। নদীর মধ্যে থেকে অনেক দূর থেকে পাহাড়গুলো বেশ দারুন লেগেছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।