লাইফ স্টাইল // হোটেলে কিছু খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি হোটেলে কিছু খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে তাও কোচিং এখনো ছুটি হয়নি। তাই আজকে কোচিং শেষে ছেলেমেয়েরা স্যারের কাছে ছুটি চেয়েছিল স্যার সামনে সোমবারের দিন আমাদের ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কোচিং শেষ করে ঈদের শপিং এর জন্য বাজারে বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করেছিলাম। পায়ে দেওয়ার জন্য একটি জুতা কেনা হয়েছে। ২৭ রমজানের দিন আমরা গ্রামের ছেলেরা মিলে ইফতারি দেবো এজন্য ইফতারের বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করেছিলাম। ইফতারির প্রধান দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়েছে। আসলে এইসব দায়িত্ব পালন করতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। বাজার শেষ করে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে যোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে ভাবলাম আপনাদের মাঝে আজকে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে প্রথমে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে যেই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি এটি অনেকদিন আগে ছবি তোলা হয়েছিল। হোটেলের মধ্যে প্রথমেই আমরা তিন বন্ধু যাওয়ার পরে সেখানে বেশ কিছু সময় বসে রেস্ট নিয়েছিলাম। তারপরে হঠাৎ করে আমাদের একজন ওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করল আপনারা কি খাওয়া দাওয়া করবেন। আমরা তারপর সেখানে তিনজন বন্ধু তিনটা বার্গার এবং লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম। আমাদের সামনে যখন বার্গার দিয়ে গিয়েছিল বলছিল আপনারা খেতে থাকুন আমরা লাচ্ছি আবারো আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি। আমার সামনে বসে থাকা দুজন বন্ধু অনেক সুন্দরভাবে আমার একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। ছবিটা দেখার পরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। তারপরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে মোবাইলটা হাতে নিয়ে আমি নিজের হাতে তিনটি বার্গার এক জায়গায় রেখে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে এই বার্গার খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এর আগেও বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব সাথে এখানে আমরা খেতে এসেছিলাম। তাই প্রায় কয়েকদিন পরপরই বন্ধু বান্ধব সাথে এভাবেই হোটেলে খেতে দেওয়া হয়। সবাই মিলে যদি একসাথে খাওয়া যায় তাহলে বেশ আড্ডা এবং গল্প হয়। আসলে এগুলো আমি প্রতিনিয়ত বেশ উপভোগ করি। আমাদের কাছ থেকে প্রত্যেকটি বার্গারের দাম নিয়েছিল মাত্র ৮০ টাকা করে। শীতের সময় আমরা বন্ধুরা মিলে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম সেই হোটেলে খাওয়া দাওয়ার সময়।
এবার আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি গ্লাসে লাচ্ছি এর ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আমাদের মধ্য থেকে একজন বন্ধুর ঠান্ডা খাওয়া নিষেধ ছিল তাই লাচ্ছি খেয়েছিল না আমাদের সাথে। এমনিতেই শীতকালে আমাদের সেই বন্ধুর গলায় টনসিল ফলে তাই সে আমাদের সাথে লাচ্ছি খেতে পেরেছিল না। সব মিলিয়ে বন্ধুরা মিলে সেই দিন হোটেলে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমাদের কাছ থেকে প্রতিটা গ্লাসের লাচ্ছি এর দাম নিয়েছিল মাত্র ৭০ টাকা করে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধুদের সাথে হোটেলে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বার্গার গুলো তো দেখছি গোলাপি রঙের। এরকম বার্গার এর আগে খাওয়া হয়নি। আপনারা বার্গার এবং লাচ্ছি অর্ডার করে খেয়েছেন। তবে খাবারের দাম গুলো তো দেখছি তেমন বেশি নয় মোটামুটি কম রয়েছে। আপনার মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো।
আসলে আপু লাইট এর কারনে বার্গার গুলো দেখতে গোলাপি কারণ মনে হচ্ছে কিন্তু এটির স্বাভাবিক কালার ছিল।
আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় যাওয়া খাওয়া-দাওয়া সব সময় অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটে। পবিত্র রমজান মাস অনেক ভালো কাটলো আমারও। আপনি বন্ধুদের সাথে বার্গার খেয়েছিলেন সেই দৃশ্যগুলো যখন দেখছিলাম ইচ্ছাটা জাগছিল কিন্তু রোজা থাকা অবস্থায় এই ধরনের খাবারের প্রতি তেমন একটা আকাঙ্ক্ষা দেখানো উচিত নয়।😋 অনেক ভালো লাগলো। আমাদের সাথে সেই মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
হোটেলে যে কোন কিছু খাওয়া-দাওয়া সব সময় আর বেশ ভালো লাগে। আপন এবং আপনার বন্ধুরা মিলে বেশ চমৎকার কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছেন বার্গার এবং লাচ্ছি এই দুইটা জিনিস আমার বেশ প্রিয়। আপনার এক বন্ধুর গলায় টনসিল হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই ঠান্ডা লাগছে খাইনি এটা বেশ ভালো করেছে। টনসিল থাকলে ঠান্ডা তার জন্য বিপদজনক। বেশ চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
মামা আপনার কাছে বার্গার এবং লাচ্ছি বেশ প্রিয় জানতে পেরে সবচেয়ে ভালো লাগলো। আমরাও কোন একদিন মামা-ভাগ্নে হোটেলে এমন খাবার খেয়ে নেব মামা।
মামা আপনার কাছে বার্গার এবং লাচ্ছি বেশ প্রিয় জানতে পেরে সবচেয়ে ভালো লাগলো। আমরাও কোন একদিন মামা-ভাগ্নে হোটেলে এমন খাবার খেয়ে নেব মামা।
হোটেলে কিছু খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা৷ হোটেলে খাওয়ার মাঝে আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ হোটেলের খাবারগুলো যেন একটু আলাদা বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে৷ আপনি এবং আপনার বন্ধুরা মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং কিছু খাবার খেয়ে তার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে বন্ধুদের সাথে মিলে যখন হোটেলে এমন খাবার খাওয়া যায় তখন বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত হয়।
বন্ধুরা মিলে এভাবে খাওয়া-দাওয়া করা এবং আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা ভাই। তবে আমি অবাক হয়েছি বার্গারের এরকম কালার দেখে। যদিও বার্গারের দাম ৮০ টাকা হিসেবে আমার কাছে ঠিকঠাকই মনে হয়েছে। কিন্তু লস্যির দাম ৭০ টাকা হিসেবে একটু বেশি নিয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। তবে সেটা বড় কথা নয়, বন্ধুরা মিলে সেই দিন হোটেলে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন, এটাই হলো আসল ব্যাপার।
আসলে ভাই সেখানে হোটেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ছিল তাই বার্গারের কালারটা দেখতে এমন লেগেছে কিন্তু কালা স্বাভাবিক ছিল।
আচ্ছা ভাই , এইবার বুঝতে পারলাম বার্গারের ওরকম কালারের আসল কারণ টা।
https://x.com/GKibreay/status/1778835371809550726