(ক্রিয়েটিভ রাইটিং)// ছোটবেলায় পান চুরি করে খাওয়ার গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-০৫-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ছোটবেলায় পান চুরি করে খাওয়ার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কোচিং শেষ হবার পরে হঠাৎ খালা ফোন দিয়েছে আজকে নানি বাড়ি যাওয়ার কথা বলছে। তারপরে আমি বাইক নিয়ে মুস্তাফিজুর মামার স্কুলে গিয়েছিলাম বেশ কিছু সময় মামার সাথে গল্প করে স্কুল ছুটির পরে দুজনে একসাথে বাড়িতে গিয়েছিলাম। নানি বাড়ি যাওয়ার পরে দুপুরে খাবার খেয়ে রুমের মধ্যে রেস্ট করার সময় পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আমি আজকে আপনাদের মাঝে যেই ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি এটি আমার অনেক ছোটবেলার একটি ঘটনা। আসলে যখন ছোট ছিলাম গ্রামের সকল ছেলেরা একসাথে বেশ দুষ্টামি করে বেড়াতাম। ছোটবেলায় আমরা পাড়ার সকল ছেলেরা মিলে প্রায় প্রতিনিয়ত গোসল করতে যেতাম স্যালো মেশিন। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়তাম এই ঘটনাটি তখনকার। যখন ক্লাস ফোরে পড়তাম আমরা তখন আমাদের স্কুল টাইম শুরু হতো দুপুর বারোটার দিকে। তাই গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করেই স্কুলে যাওয়া হতো সেই সময় প্রতিদিন। আমাদের বাড়ির পাশে আমরা প্রায় চার পাঁচ জন ছেলে একসাথে পড়তাম। সব সময় যেকোনো কাজ এক সাথেই করতাম সবাই মিলে। আমরা একদিন হঠাৎ সকাল নয়টার দিকে বসে বসে সকলে মিলে প্লান করছিলাম আজকে স্যালো মেশিনে গোসল করতে যাওয়ার সময় পান চুরি করে খাব। কিন্তু আমরা যেই পানের বরজ থেকে পান চুরি করবো সেই পানের বরজের মালিক আমার দাদা হয়। আমরা যখন এই প্ল্যান গুলো করছিলাম তখন শুধুমাত্র আমরা বন্ধুরাই ছিলাম একসাথে। এবং আমাদের এই প্লান প্রোগ্রামের ধারণা দিয়েছিল বন্ধু সজীব।
বেলা দশটার কিছু সময় আগে আমরা বাড়ি থেকে পান খাওয়ার জন্য যে সকল সামগ্রী লাগে সেগুলো নিয়েই বের হয়ে গেলাম। বাড়ির পাশে একটি বাগান ছিল সেখানে বেশ কিছু সময় সকল ছেলেরা একসাথে উপস্থিত হয়েই পান চুরির জন্য সেখান থেকে পানের বরজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমরা পান চুরি করতে গিয়েছিলাম মূলত ছয় জন বন্ধু। প্রথমে স্যালো মেশিনে গোসল করতে যাওয়ার পথে আমরা প্রায় ছয় থেকে সাতটি পান চুরি করেছিলাম। পানের বরজের চারিদিকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরা থাকে। আমরা এক সাইড দিয়ে পানের বরজের মধ্যে হাত দিয়ে একটি পান গাছ ছেড়ে নিয়েই চলে এসেছিলাম। একটি গাছে প্রায় ছোট-বড় অনেকগুলো পান ছিল, সেগুলো আমরা সকলে ভাগ করে গোসল করতে যাওয়ার পথে খেয়েছিলাম। আসলে ছোটবেলায় বেশ বদমাশ টাইপের ছিলাম আমি এখন সবাই বলে শুনে বেশ মজা পাই।
আমরা পান গুলো খাবার সময় প্রত্যেকেই নিজে নিজের পান নিজে নিজেই সাজিয়ে নিয়েছিলাম। আমি আমার নিজের পানি একটু জর্দা এবং চুনের পরিমাণ বেশি দিয়েছিলাম। জর্দা এবং চুন বেশি দেওয়ার কারণে মুখের মধ্যে বেশ জ্বলে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরে আমি পান ফেলে দিয়েছিলাম আসলে এগুলো খাওয়ার অভ্যাস নেই তাই খেতে পেরেছিলাম না। কিন্তু সবাই বেশ ভালোভাবেই পান খেয়েছিল। এভাবে গোসল শেষ করলাম আমরা সবাই মিলে। আসলে গোসলের সময় আমরা বেশ মজা করেছিলাম। যে জায়গায় স্যালো মেশিন পানি আসতো সেই জায়গায় অনেক সুন্দর ভাবে ইট দিয়ে গাথা রয়েছে সেখানে বসে গোসল করার জায়গা ছিল। সকল বন্ধুরা মিলে আনন্দের সাথে গোসল করা শেষ করেছিলাম। আমরা একটি গামছা এবং প্যান্ট নিয়ে যেতাম সেখানে গোসল করতে যাওয়ার সময়। গামছা দিয়ে গা হাত পা মুছে আবারো প্যান্ট পড়ে বাড়িতে চলে আসতাম।
বাড়িতে আসার পথে ভাবলাম আবারও আমরা পান চুরি করব। পান খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে আমার সকল সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম এখনো বেশ খানিক রয়েছে। ভাবলাম এবার পান চুরি করে সবাই সবকিছু অল্প অল্প করে নিয়ে পান খাবো। আমাদের মধ্য থেকে দুইজন বন্ধুকে পান চুরির জন্য আমরা সবাই পাঠালাম। এবার পান চুরি করতে এসে দুই বন্ধু ধরা পড়ে গিয়েছে। আমরা তখন মাঠের একটি গাছের নিচে বসে আছি, বন্ধুরা আসছে না বলে আমরা সকলে খুজতে চলে আসলাম। এসে দেখি পানের মালিকের হাতে ধরা পড়েছে সেই বন্ধু। তারপরে আমরা সকলে মিলে সেই পানের মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম বলেছিলাম ছোট মানুষ ভুল হয়েছে আর কখনো এমন ভুল হবে না। তারপর আমরা বলেছিলাম এই কথা যেন আমাদের বাড়িতে বলবেন না তাহলে বাড়ি থেকে মারবে। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে এসে আমার আম্মুকে বলেছিল আমার আম্মু আমাকে অনেক বকা দিয়েছিল। তারপর থেকে আর কখনো এভাবে কারো জমি থেকে কোন কিছু চুরি করে খাওয়া হয় না। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/GKibreay/status/1794637988959531322
পান চুরি করার ঘটনাটি বেশ আনন্দদায়ক। ছোটবেলায় সবাই এরকম না বুঝেই অনেক দুষ্টুমি করে থাকে। এরকম দুষ্টুমি করেছিলেন আপনিও পান চুরি করে। তবে আপনার খাওয়ার অভ্যাস না থাকায় মুখে ধরে ছিল পানগুলো কিন্তু তবুও খেতেই হবে ওই যে দুষ্টুমি করতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক পোস্টটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।