জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১০ তম পর্ব

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১০ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে বাড়িতে এসেছিলাম আজকে বেলা ১১ টার দিকে। বাড়িতে আসার পরে জানতে পারলাম আজকে কুষ্টিয়াতে যেতে হবে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম আমরা দুই চাচা মিলে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনবো। তারপরে বাড়ি থেকে কিছু সবজি বাজার নিয়ে মামাকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়াতে রওনা দিয়েছিলাম এবং ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। অবশেষে আজকে ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। বাড়িতে আসতে প্রায় আসরের আযান দিয়ে দিয়েছিল। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করেছিলাম। তারপরে ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য আমরা দুই চাচা মিলে একটু বাইক নিয়ে বাইরে বের হয়েছিলাম। বাড়িতে এসে ইফতারি শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারাবির নামাজ শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....

এবার আপনার উপর ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে যখন ক্ষীর খাওয়ানোর আসনে বসিয়ে ক্ষীর খাওয়ানো হয়েছিল তখন আমি বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপুকে এবার ক্ষীর দিয়েছিল আমার বড়মা তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। ক্ষীর খাওয়ানো শেষে আপুর সাথে আমরা বেশ কয়েকজন ছবি তোলার জন্য বেশ আবদার করেছিলাম। তারপরে আপুর বাড়ির পাশের বেশ কয়েকজন মেয়ে আপুর সাথে যখন বসেছিল তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে কিছু ছবি তুলে দিয়েছিলাম। ছবিগুলো তোলার সময় বেশ সুন্দরভাবে স্টাইল নিয়ে বসেছিল আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যখন বরযাত্রী এসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে রেখেছিলাম। ছবিগুলো বেশ সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করেছি। বরযাত্রী খাওয়া শেষে আমি এবং আমার ছোট ভাই দোলা ভাইকে অনেক সুন্দর ভাবে হাত ধুয়ে দিয়েছিলাম। তখন বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছিল পাশের একটি ছোট ভাই। সেই ছবিগুলো আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আমরা দুলাভাইকে হাত ধুয়ে ৮ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। আসলে টাকা গুলো পেয়ে আমরা সকলে বেশ খুশি ছিলাম। আপুর বিয়ের দিন রাতে আমরা আবার সেই টাকা সব ভাইবোন মিলে ভাগ করে নিয়েছিলাম সত্যি বেশ মজা করেছিলাম আপুর বিয়েতে।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বরযাত্রী যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে তখন আপুকে এবং দুলা ভাইকে অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি চেয়ারে বসানো হয়েছিল বেশ কিছু গিফ্ট দেওয়া হয়েছিল সেখানে। সেখানে দুলাভাইয়ের একটি মোবাইল ফোন এবং গলার চেইন দেওয়া হয়েছিল। তারপর আমরা সবাই মিলে ফটোশুট করার জন্য ছাদের উপরে চলে গিয়েছিলাম। ছাদের উপরে গিয়ে আমি এবং আমার একটি ছোট ভাই দুলাভাইয়ের সাথে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সব মিলিয়ে আপুর বিয়েতে সত্যি বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।