লাইফ স্টাইল // আমাদের খামারের গরু

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের খামারের গরু নিয়ে একটি পোস্ট। আসলে আমরা বাড়িতে অনেক আগে থেকেই গরু পালন করে থাকি। আসলে আজকে সকালবেলা থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আপনারা জানেন আমি শারীরিকভাবে গত কয়েকদিন থেকে বেশ অসুস্থ। তারপরেও আজকে কোচিং এর একটা পরীক্ষা থাকার কারণে একটা বন্ধু আমাকে নিতে এসেছিল বাড়িতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পরীক্ষা দেওয়া শেষ করে আবারও বন্ধু আমাকে বাড়িতে রেখে গেছে। সত্যিই এই বন্ধুর সাথে আমার অনেক ছোটবেলা থেকেই বেশ ভালো সম্পর্ক। বাড়িতে আসার পরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির খাবারের গরু গুলো ঢাকায় বিক্রি করতে নিয়ে গেছে আমার বাবা। আসলে গরু গুলোকে সত্যিই আমি প্রায় প্রতিনিয়ত দেখতে যেতাম আসলে আমাদের গরুর খামার আমাদের বাড়ির পাশে। প্রত্যেক বছর এই খামারে অনেক বড় বড় গরু পালন করে থাকে আমার বাবা। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

আপনার উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন। আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে একটি কালো গরুর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এটি হচ্ছে আমাদের খামারের সবথেকে বড় গরু। প্রথমে আমার বাবা ভেবেছিল গরুগুলো এবার বাড়ি থেকে বিক্রয় করে দিবে। কিন্তু এত বড় গরু আমাদের এলাকার মানুষ কিনতে সাহস পায়নি। তাই পরবর্তীতে এই গরুগুলো আমার বাবা ঢাকাতে নিয়ে গেছে। আসলে গরু গুলোকে লালন-পালন করার জন্য বাড়িতে প্রায় তিনজন লোক রাখা হয়েছে। আসলে এরাই গরু গুলো ঘাস খাওয়ানো থেকে শুরু করে দেখাশোনা করে। তাই এই গরুর খামার নিয়ে আমাদের তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে প্রায় প্রতিনিয়ত আমরা এমনিতেই দেখাশোনা করতে যাই। এই গরুটা আমরা খামারে প্রায় দুই বছর লালন পালন করছি।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে অনেকগুলো গরুর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে গরু গুলো যখন ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া হবে তার কিছু সময় আগে গরুগুলো বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বাগানের মধ্যে রাখা হয়েছিল। আসলে প্রত্যেকটা অনেক বড় বড় গরু। এই গরুগুলো আজ থেকে প্রায় চার দিন আগে ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসলে গরুগুলো সব খামার থেকে এখন চলে গেছে তাই বেশ খারাপ লাগে খামারের আশেপাশে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘুরে আসছি কিন্তু গরু গুলো দেখা পাচ্ছি না। আশা করি আবার কোরবানির ঈদ পর খামারে নতুন গরু কেনা হবে। আসলে আমার বাবার উদ্যোগে এই খামার তৈরি করা হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগে। আমার বাবার ছোটবেলার অনেক স্বপ্ন ছিল অনেক বড় একটা গরুর খামার তৈরি করবে। তবে পরবর্তীতে আমারও ইচ্ছা আছে এই গরুর খামারটি আরো বড় আকারে গড়ে তোলা। আমার বাবার কথা সব সময় নিজেকে উদ্যোগতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আসলে অন্য ব্যবসার তুলনায় গরুর খামার বেশ ভালো লাভার হওয়া যাই।

এবার আপনাদের উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। লালচে কালো বর্ণের গরুর ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমাদের খাবারের সবথেকে ভদ্র গরু এটা। আমার বাবার সবথেকে পছন্দের গরু। আসলে এই গরুটা অনেক ছোটবেলা থেকেই খামারে নিয়ে আসা হয়েছিল। গরুটার সাথে আমি আমার বাবার ছবিও আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছি। এই গরুটা এবার আমার বাবা ঢাকাতে বিক্রয় করেছে ৫ লক্ষ ১৭ হাজার টাকায়। আশা করি অন্য বারের তুলনায় এবার বেশ ভালো লাভবান হতে গরু পালন করে। আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে বেশ ভালো লাগবে। সকলের মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।