ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৯ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৭-০৫-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৯ তম পর্ব। আজকে সকালবেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে কোচিং শেষ করে বাজারে গিয়েছিলাম অল্প কিছু কেনাকাটার জন্য। বাজারে যাওয়ার পরে দুইটা টি-শার্ট কিনেছিলাম। যেহেতু বাড়িতে আসতে অনেক দেরি হয়েছিল তাই সকালবেলায় হোটেল থেকে খিচুড়ি ডিম ভাজি খেয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে বেশ কিছুক্ষণ পাড়ার ছেলেদের সাথে বসে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে একটি গাছ থেকে আম পেড়ে খেয়েছিলাম বিট লবণ দিয়ে। বাড়িতে এসে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে আসার পরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করা যাক.......
আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সিলেট ভ্রমণের বেশ কয়েকটি ছবি। আসলে আমরা মূলত কলেজ থেকে পিকনিকের উদ্দেশ্যে সিলেট গিয়েছিলাম। আমরা চার দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। বাড়ি থেকে আমাদের সিলেটে যেতে প্রায় ২৭ ঘন্টা সময় লেগেছিল। যাওয়ার পথে আমরা বেশ কয়েক জায়গায় বাস থামিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আমরা সিলেটে গিয়ে সর্বপ্রথম ভোর পাঁচটার দিকে পৌঁছেছিলাম। সেখানে একটি হোটেল ছিল হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা নদীতে গিয়েছিলাম সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আসলে শীতের সময় কুয়াশা তেমন কিছু ভালো বোঝা যাচ্ছিল না। যখন আবহাওয়া ফ্রেশ হয়েছিল তখন বেশ দারুন লেগেছিল সিলেট দেখতে। সবথেকে পাহাড়ের দৃশ্য গুলো দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন আমরা গিয়েছিলাম রাতারগুল দেখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাতারগুল যাওয়ার পথে বেশ ছোট রাস্তা ছিল তাই আমাদের বাস ওই রাস্তায় প্রবেশ করতে পেরেছিল না। আমাদের বাস সিলেট বিমানবন্দরের পাশে রেখে আমরা সিএনজি ভাড়া করে গিয়েছিলাম রাতারগুল দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি নদীর পাড়ে অনেক নৌকা আছে নৌকায় চড়ে আবারো নদী পথ পাড়ি দিয়ে রাতারগুল যেতে হবে। আমরা যখন গিয়েছিলাম নদীতে তখন তেমন বেশি পানি ছিল না তাও দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। রাতারগুলের নিরিবিলি পরিবেশ আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমরা বন্ধুরা যখন নৌকায় চড়ে রাতারগুল যেতে ছিলাম তখন বেশ দারুণভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এখানের নৌকাগুলো বেশ ছোট ছোট ছিল। তাই আমরা প্রত্যেকটি নৌকাতে ছয় জন করে চড়েছিলাম। সত্যি বলতে আমরা বন্ধুরা বেশ মজা করেছিলাম। সব থেকে বেশি মজা হতো যখন রাতের বেলায় আমরা বন্ধুরা মিলে হোটেলে একই রুমে অনেক বন্ধু একসাথে ঘুমাতে যেতাম । আসলে এই দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে সিলেট কেন্দ্র করে আমার বেশ দুঃখ জনক একটি ঘটনা আছে সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি না। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম সিলেট ভ্রমণে।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আমার দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আমি যখন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর দেখতে গিয়েছিলাম সেখানে নদীর মধ্যে গোসল করার জন্য নেমেছিলাম। আসলে সেখানে পানির ঢেউ আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল। তবে পানিতে নামার সময় ক্যামেরাম্যান অনেক সুন্দর ভাবে আমার বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছিল। আমি পানিতে নামার সাথে সাথে পানির ঢেউ এসে আমাকে নদীর ভোগে যখন নিয়ে চলে যাচ্ছিল তখন বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি। কিন্তু কয়েক মিনিট পরে আবার নদীর ঢেউ থেমে গিয়েছিল। সেখানে অনেক পর্যটক ছেলে-মেয়ে সকলেই নদীতে গোসল করছিল সত্যি কি যে আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিলেটের সব থেকে সুন্দর জায়গা হলো এই ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। আপনার প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর হয়ছে। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর নদীর পানিটা কত সুন্দর। পানিতে নিজের চেহেরা দেখা যাচ্ছে। সবাই মিলে দারুন এনজয় করেছেন। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি সিলেটের সবথেকে সুন্দর জায়গা হলো ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর।
সিলেট ভ্রমণের আবারো নতুন একটি পর্ব আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার সুন্দর এই পর্বটা দেখে আরো ভালো লাগলো। ইতিপূর্বে একের পর এক অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছেন আপনি। আজকে ১৯ তম পর্ব জেনে আরো ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন সেখান থেকে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা মামা আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
কলেজ থেকে আপনারা সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এখান থেকে আপনাদের যেতে সময় লেগেছে ২৭ ঘন্টা। এত লং জার্নি করতে গেলে এমনিতেই তো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। এরপরে সেখানে গিয়ে আপনারা খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের এত সুন্দর সুন্দর ফটো গুলো দেখে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি আবারো নতুন একটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।
আসলে আমাদের মধ্যে বেশ কিছু ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এত লং জার্নিতে।
সিলেট ভ্রমণের এ পর্বে দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
আসলে এরকম ভ্রমণ করলে জ্ঞানের পরিধিত বাড়ে সেই সাথে যে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো পার করা যায় সেগুলো আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে।
এ পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভাল ছিল।
চেষ্টা করেছি ভাই সিলেট ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সিলেট ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে আমার নিজের ভোলাগঞ্জ ঘুরে আসার ঘটনা মনে পড়ে গেলো। বিশেষ করে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের দৃশ্য এবং নদীর ঢেউগুলোর বর্ণনা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি ভাই আপনাদের মাঝে সুন্দর কিছু বর্ণনা দেওয়ার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1788155989608608135
আপনি সিলেট ভ্রমণের একের পর এক পর্বগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে এই পর্বগুলো দেখার মাধ্যমে সিলেট ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ যেন প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ আজকে আপনার কাছ থেকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেলাম৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম।