শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থতার কারণে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০৬-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থতার কারণে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। গতকাল রাতে আপনাদের সাথে হ্যাংআউট শেষ করার পর আমি প্রায় রাত তিনটা পর্যন্ত প্রাকটিক্যাল লিখেছিলাম। প্রাকটিক্যাল লেখার পরে হঠাৎ আমার মজার মেরুদন্ডের হাড়ের মধ্যে যন্ত্রণা শুরু করে। সে রাত আমি আমার আব্বু এবং আম্মুকে এই সমস্ত কথা বললাম। সারারাত আমার আব্বু এবং আম্মু আমার গা হাত পা শুধু মাত্র তেল দিয়ে মালিশ করছিল। আসলে যন্ত্রণায় আমি ছটফট করছিলাম কিন্তু সেই রাতে কিছু করার ছিল না। সকালবেলায় গোসল শেষ করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিউরো মেডিসিনে ডাক্তার দেখানোর জন্য আমার মামা একটা সিরিয়াল করেছে। আসলে তার আগে আমি কুষ্টিয়াতে এসে পৌঁছে গেছি। তাই মামা বলল চলো আগে মেডিকেল কলেজে একটা ডাক্তার দেখায় আসি। আসলে শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমার কাছে আমার নিজের পরিবারের মতো যদি নিজে বেঁচে থাকি পরিবারের সাথে সময় দিতে হবে, তাই চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে অল্প কিছু সময় দেওয়ার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.........
মামার বাসায় আসার পরে, আমি এবং মামা দুজন মিলে রিক্সায় নিয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে অল্প কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী দেখা শুরু করেছে। তাই মানুষের তেমন ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম না। সেখানে পৌঁছানোর পর আমরা ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করেছি। নিউরো মেডিসিন একজন ডাক্তারকে দেখেছিলাম। তিনি আমাকে তখন বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল। তিনি আমাকে অনেক ধরনের ব্যায়াম শিখায় দিছে এবং কিছু নিয়ম মানতে বলেছে। এটা হওয়ার সবথেকে বড় কারণ বলেছে টেনশন বেশি। আমি বলছিলাম সামনে আমার পরীক্ষা, তিনি বলছিল তুমি মনে হয় পরীক্ষা নিয়ে অনেক টেনশন করো সেজন্য তোমার এমনটা হতে পারে। তারপর তিনি আমার পিসক্রিপশন লেখা শুরু করেছিল।
পিসক্রিপশন লেখা শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তিনি আমাকে মোট চারটা ঔষধ লিখেছে। এবং একটি এক্সরে করাতে বলছে। কিন্তু মেডিকেল হাসপাতালে এখনো এক্সরে চালু হয়নি। তাই সেখান থেকে আমরা তখনই চলে এসেছিলাম। বিকেলে বেসরকারি একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও নিউরো মেডিসিন ডাক্তার দেখানোর কথা আছে। তাই ভাবছিলাম আবারো সেখানে গিয়ে ভালোভাবে দেখিয়ে কি বলে তারপরে এক্সরে করবো। আসলে আমি আমার জীবনে গতকাল রাতে যে কষ্ট পেয়েছি হয়তো আর কখনোই এমন কষ্ট হয়নি। চেষ্টা করছি পরের দিন নিজের পরিবারের সাথে কিছু সময় ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
আমরা যখন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো শেষ করে রিক্সায় চড়ে বাড়িতে আসতে ছিলাম। তখন বেশ কিছু ছবি আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আসলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সত্যি দেখতে বেশ চমৎকার ছিল। নিরিবিলি পরিবেশে বেশ মনোমুগ্ধকর। শহর থেকে একটু বাইরে মেডিকেল কলেজ এজন্য সব থেকে বেশি ভালো হয়েছে। আসলে শহরের মধ্যে অনেক শব্দ দূষণ তাই আমার কাছে মনে হয়েছে ওই জায়গাটাই বেশ পারফেক্ট। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া আমাদের সবার উচিত শারিরীক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা। আসলে অতিরিক্ত টেনশন করলে রোগ বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যাইহোক হসপিটালটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আাশাকরি
অন্য জায়গা থেকে এক্সরে করিয়ে নেবেন । আর ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি একজন সাহসী ও প্রেরণাদায়ক ব্যক্তি। আপনার শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, আপনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা। আপনার সুস্থতা ও সাফল্য কামনা করি।
আসলে ভাই আমার বাংলা ব্লগ আমার নিজের জীবনের একটা অংশ আমার কাছে মনে হয়। তাই চেষ্টা করেছি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও শেয়ার করার জন্য।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে তাহলে রুগী দেখা শুরু করেছে। ব্যাপার টা জেনে ভালো লাগল। এখন আমাদের ভোগান্তি অনেক টা কমবে। মা বাবা এইরকমই হয়। নিজের সন্তান অসুস্থ্য শুনলে এইভাবেই সেবা করতে থাকে। আশাকরি আপনি খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা।।
ঠিক বলেছেন ভাই মেডিকেলে রোগী দেখা শুরু হয়েছে এজন্য আমাদের এলাকার মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1801845029297918009
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শরীর ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। সুস্থতা আমাদের জীবনে অনেক বড় নেয়ামত। সামনে পরীক্ষা আমার মনে হয় আপনি পরীক্ষা নিয়ে অনেক টেনশন করেন। সামনে আমারও পরীক্ষা টেনশন করি তবে আপনার মত এত বেশি না। আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই কামনাই করি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আসলে সামনে আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি আমরা। তাই আমার নিজের কাছে একটু টেনশন মনে হয়। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
সামনে পরীক্ষা আর এই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যেটা আসলেই দুঃখজনক।দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন দোয়া করি।ব্যর্থতার প্রধান কারণ অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলা। টেনশন মানুষকে জানা জিনিসও ভুল করিয়ে দেয়।অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহম আগের তুলনায় এখন অনেকটা সুস্থ আছি আপু। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।